বৈষ্ণব পদাবলি SLST প্রশ্ন উত্তর
বৈষ্ণব পদাবলি প্রাক আধুনিক বাংলা সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য একটি ধারা। এই অংশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের একটা সিরিজ হবে, যা SLST-র উপযোগী। এই লেখায় প্রথম পর্বের কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর আলোচনা করা হলো।
1➤ গৌরাঙ্গ বিষয়ক পদাবলি কাকে বলে?
[উ] মহাপ্রভু গৌরাঙ্গকে কেন্দ্র করে ষোড়শ শতকে ও পরবর্তীকালে যে সব বৈষ্ণব পদ রচিত হয়েছে সে সব পদাবলিকেই গৌরাঙ্গ বিষয়ক পদাবলি বলে। যেমন, গোবিন্দদাস কবিরাজের “পতিত হেরিয়া কাঁদে” পদটি।
2➤ পুর্বরাগের সংজ্ঞা দাও।
[উ] নায়ক-নায়িকার পারস্পপরিক মিলনের পূর্বে দর্শন, শ্রবণ প্রভৃতি থেকে জাত মিলনেচ্ছাময় রতি যখন সঞ্চারিভাব ও উপযুক্ত অনুভব দ্বারা পুষ্ট হয়ে প্রকাশিত হয় তখন তাকে পূর্বরাগ বলে। যেমন, চণ্ডীদাসের “সই, কেবা শুনাইল শ্যাম নাম” পদটি।
,
3➤ পূর্বরাগের শ্রেণিবিভাগ লেখ।
[উ] দর্শন ও শ্রবণের ফলে পূর্বরাগ হয়। দর্শনজাত পূর্বরাগ তিন রকমের—ক] চিত্রপটে দর্শন খ] স্বপ্নে দর্শন গ] সাক্ষাৎ দর্শন। শ্রবণজাত পূর্বরাগ পাঁচ রকমের---ক] দূতি মুখে শ্রবণ খ] সখীমুখে শ্রবণ গ] ভাট মুখে শ্রবণ ঘ] বংশ ধ্বনি শ্রবণ ঙ] গায়ক মুখে শ্রবণ
,
4➤ অনুরাগ কাকে বলে?
[উ] যে রাগ নিত্য নবায়মান হয়ে সদা প্রিয়জনকে অনুভব করায় এবং প্রতি মুহূর্তে নবীনতা দান করে তাকেই অনুরাগ বলে। যেমন, অনুরাগের অন্যতম একটি পদ হলো বিদ্যাপতির “সখি কি পুছসি অনুভব মোয়। সোই পিরিতি অনুরাগ বাখানিতে তিলে তিলে নূতন হোয়”।
,
5➤ অভিসার শব্দের অর্থ কী?
[উ] সংকেত স্থানের অভিমুখে অগ্রসর হওয়া। কিন্তু কালক্রমে শব্দটি প্রেমিক প্রেমিকার মিলনের উদ্দেশ্যে গমনকেই বোঝায়।
,
6➤ মান-এর সংজ্ঞা দাও।
[উ] প্রেমিক-প্রেমিকা পরস্পরের প্রতি গভীর ভাব অনুরক্ত হওয়া সত্ত্বেও এবং নিকটে অবস্থান করা সত্ত্বেও যে বিশেষ মানসিক অবস্থা উভয়ের মিলনের পথে বাধা সৃষ্টি করে তাকেই মান বলে।
7➤ প্রেমবৈচিত্ত্যের সংজ্ঞা দাও।
[উ] প্রেমের উৎকর্ষ হেতু নায়ক নায়িকা পরস্পরের সমীপবর্তী থেকেও বিরহ বিচ্ছেদ কাতরতায় যে আর্তি প্রকাশ করে তাকে প্রেমবৈচিত্ত্য বলে।
,
8➤ প্রবাস কাকে বলে?
[উ] পূর্বে মিলিত নায়ক নায়িকার মধ্যে কেউ যদি দেশান্তর গমন করেন তখন তাকে বলে প্রবাস। প্রবাস দুই ধরণের—সুদূর ও অদূর প্রবাস।
বৈষ্ণব পদাবলি SLST প্রশ্ন উত্তর
1➤ গৌরাঙ্গ বিষয়ক পদাবলি কাকে বলে?
[উ] মহাপ্রভু গৌরাঙ্গকে কেন্দ্র করে ষোড়শ শতকে ও পরবর্তীকালে যে সব বৈষ্ণব পদ রচিত হয়েছে সে সব পদাবলিকেই গৌরাঙ্গ বিষয়ক পদাবলি বলে। যেমন, গোবিন্দদাস কবিরাজের “পতিত হেরিয়া কাঁদে” পদটি।
2➤ পুর্বরাগের সংজ্ঞা দাও।
[উ] নায়ক-নায়িকার পারস্পপরিক মিলনের পূর্বে দর্শন, শ্রবণ প্রভৃতি থেকে জাত মিলনেচ্ছাময় রতি যখন সঞ্চারিভাব ও উপযুক্ত অনুভব দ্বারা পুষ্ট হয়ে প্রকাশিত হয় তখন তাকে পূর্বরাগ বলে। যেমন, চণ্ডীদাসের “সই, কেবা শুনাইল শ্যাম নাম” পদটি।
,
3➤ পূর্বরাগের শ্রেণিবিভাগ লেখ।
[উ] দর্শন ও শ্রবণের ফলে পূর্বরাগ হয়। দর্শনজাত পূর্বরাগ তিন রকমের—ক] চিত্রপটে দর্শন খ] স্বপ্নে দর্শন গ] সাক্ষাৎ দর্শন। শ্রবণজাত পূর্বরাগ পাঁচ রকমের---ক] দূতি মুখে শ্রবণ খ] সখীমুখে শ্রবণ গ] ভাট মুখে শ্রবণ ঘ] বংশ ধ্বনি শ্রবণ ঙ] গায়ক মুখে শ্রবণ
,
4➤ অনুরাগ কাকে বলে?
[উ] যে রাগ নিত্য নবায়মান হয়ে সদা প্রিয়জনকে অনুভব করায় এবং প্রতি মুহূর্তে নবীনতা দান করে তাকেই অনুরাগ বলে। যেমন, অনুরাগের অন্যতম একটি পদ হলো বিদ্যাপতির “সখি কি পুছসি অনুভব মোয়। সোই পিরিতি অনুরাগ বাখানিতে তিলে তিলে নূতন হোয়”।
,
5➤ অভিসার শব্দের অর্থ কী?
[উ] সংকেত স্থানের অভিমুখে অগ্রসর হওয়া। কিন্তু কালক্রমে শব্দটি প্রেমিক প্রেমিকার মিলনের উদ্দেশ্যে গমনকেই বোঝায়।
,
6➤ মান-এর সংজ্ঞা দাও।
[উ] প্রেমিক-প্রেমিকা পরস্পরের প্রতি গভীর ভাব অনুরক্ত হওয়া সত্ত্বেও এবং নিকটে অবস্থান করা সত্ত্বেও যে বিশেষ মানসিক অবস্থা উভয়ের মিলনের পথে বাধা সৃষ্টি করে তাকেই মান বলে।
7➤ প্রেমবৈচিত্ত্যের সংজ্ঞা দাও।
[উ] প্রেমের উৎকর্ষ হেতু নায়ক নায়িকা পরস্পরের সমীপবর্তী থেকেও বিরহ বিচ্ছেদ কাতরতায় যে আর্তি প্রকাশ করে তাকে প্রেমবৈচিত্ত্য বলে।
,
8➤ প্রবাস কাকে বলে?
[উ] পূর্বে মিলিত নায়ক নায়িকার মধ্যে কেউ যদি দেশান্তর গমন করেন তখন তাকে বলে প্রবাস। প্রবাস দুই ধরণের—সুদূর ও অদূর প্রবাস।