পথের দাবী থেকে ১৫টি ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্নের উত্তর | দশম শ্রেণি |15 Question-Answers From Pather Dabi By Sarat Chandra Chattopadhyay| Class 10 | PDF Download
পথের দাবী থেকে ১৫টি ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্নের উত্তর | দশম শ্রেণি |15 Question-Answers From Pather Dabi By Sarat Chandra Chattopadhyay| Class 10 | PDF Download
(১)
“এতক্ষণে অপূর্ব তাহার পরিচ্ছদের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া মুখ ফিরাইয়া হাসি গোপন করিল।”– কার পরিচ্ছদের কথা বলা হয়েছে? সেই
পরিচ্ছদের বর্ণনা দাও।
[উ] [] শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের
দাবী’ রচনার অন্তর্গত ‘পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট’ গিরীশ মহাপাত্র অর্থাৎ সব্যসাচী মল্লিকের
পরিচ্ছদের কথা এখানে বলা হয়েছে।
[] সব্যসাচীর মাথার সামনের দিকে বড়ো
বড়ো চুল। অত্যন্ত ছোটো করে ছাঁটা বলে ঘাড় ও কানের দিক বিরল কেশ বলে মনে হয়। মাথায়
চেরা সিঁথি ও তেলের স্বল্পতায় মাথার চুল কঠিন ও রুক্ষ। মাথার চুল থেকে লেবুর তেলের
গন্ধ ভেসে আসছে। রামধনু রং-এর জাপানি সিল্কের চুড়িদার, পাঞ্জাবির বুক পকেটে বাঘ-আঁকা
রুমালের কিছু অংশ দেখা যাচ্ছে। পায়ে বার্নিশ করা পাম্প শু, সবুজ মোজা যা লাল ফিতে
দিয়ে বাঁধা, হাতে হরিণের শি-এর হাতল দেওয়া বেতের ছড়ি ছিল।
(২) “যাঁকে খুঁজছেন তার কালচারের কথাটা একবার ভেবে দেখো।”—কে, কাকে খুঁজছেন? ‘তার’ কী ধরনের ‘কালচরের’ কথা বলা হয়েছে?
[উ] [] শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের
দাবী’ রচনার অন্তর্গত দারোগা নিমাইবাবু বিপ্লবী সব্যসাচীকে খুঁজছেন। কথাটি অপূর্ব বলেছিল।
[] বিপ্লববাদে বিশ্বাসী সব্যসাচী অত্যন্ত
উচ্চশিক্ষিত। তিনি জার্মানি থেকে চিকিৎসাশাস্ত্র ইত্যাদি বিভিন্ন বিদ্যায় শিক্ষালাভ
করেছেন। এছাড়া আমেরিকাতেও অধ্যয়ন করা উচ্চশিক্ষিত সব্যসাচীর উন্নত ‘কালচার’ বা ‘সংস্কৃতমনস্ক’
তা্র কথা অপুর্ব বলেছেন।
(৩) ‘বুড়ো মানুষের কথাটা শুনো।”—বুড়ো মানুষ কে? তার কোন্ কথা শুনতে বলা হয়েছে?
[উ] শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের
দাবী’ রচনার অন্তর্গত ‘বুড়ো মানুষ’ হলেন প্রবীণ দারোগা নিমাইবাবু।
[] বিপ্লবী সব্যসাচী ওরফে গিরীশ মহাপাত্রের
পকেট থেকে পুলিশি তল্লাশিতে অন্যান্য অনেক জিনিসের সঙ্গে একটা গাঁজার কলকে বের হয়।
পুলিশের প্রশ্নের উত্তরে সে জানায় যে, সে নিজে গাঁজা না খেলেও কুড়িয়ে পাওয়া কলকেটিকে
অন্যের সেবার জন্য রেখেছে। দারোগা নিমাইবাবু অশক্ত শরীর ও কাশতে কাশতে হাঁপাতে থাকা
গিরীশের কথা বিশ্বাস করেননি। দুর্বল শরীরের গিরীশকে তিনি গাঁজা না খাওয়ার পরামর্শ
দেন।
(৪)
‘চুরি না করুক সাহায্য করেচে!’—কে, কাকে বলেছিলেন? প্রসঙ্গটি লেখ।
[উ] [] শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের
দাবী’ রচনার অন্তর্গত এই কথাগুলি অপূর্ব বলেছিলেন রামদাস তলওয়ারকরকে।
[] অফিসে যখন অপূর্ব কর্মরত ছিলেন তখন
তার বিশ্বস্ত পরিচারক তেওয়ারি বর্মা নাচ দেখতে ফয়ায় যায়। এই সুযোগে তালা ভেঙে চোর
যখন চুরি করতে থাকে তখন ওপরতলায় থাকা ক্রিশ্চান মেয়েটির চিৎকারে চোর পালায় ও ভারতী
নামের সেই মেয়েটি নিজে অন্য একটি তালা লাগিয়ে দেয়।
অফিস ফেরত বিধ্বস্ত
অপূর্বকে ভারতী এ কথা জানিয়েছিল। এর সামান্য আগে এই পরিবারটির সঙ্গে অপূর্বদের নানা
সংঘাত হয়েছিল বলে পরিচারক তেওয়ারির দৃঢ়বিশ্বাস ভারতী নামের মেয়েটি চুরি না করলেও
চুরিতে সাহায্য করেছিল। রামদাসকে চুরি সংক্রান্ত ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে অপূর্ব পরিচারক
তেওয়ারির আশঙ্কার কথাকেই ব্যক্ত করেছেন।
(৫)
"হঠাৎ হাসির ছটায় যেন দম আটকাইবার উপক্রম হইল।'—কার এরকম
হয়েছিল? কেন হয়েছিল?
[উ] [] শরৎচন্দ্রের ‘পথের দাবী' রচনাংশে
এরকম অবস্থা হয়েছিল অপূর্বের।
[] পুলিশস্টেশনে অপূর্ব যে বিচিত্র
অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিল সে কথা মনে পড়ায় তার হাসি আর বাঁধ মানে না। পুলিশের লোকেরা
যে গিরীশ মহাপাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল, তার অদ্ভুত পোশাক, গাঁজার কলকে রাখার কারণ
জেনে অপুর্বের হাসি থামতে চায় না।
(৬)
"গভর্নমেন্টের কত টাকাই না এরা বুনো হাঁসের পিছনে ছুটোছুটি করে অপব্যয় করলে!'—'এরা' বলতে
কারা? প্রসঙ্গটি ব্যাখ্যা করো।
[উ] [] শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের
দাবী’ রচনার অন্তর্গত ‘এরা’ বলতে ইংরেজ শাসকদের বিশ্বস্ত পুলিশবাহিনীর কথা বলা হয়েছে।
[] বিপ্লবী তরুণ সব্যসাচী ক্রমশই ব্রিটিশ
রাজশক্তির কাছে ভীতিপ্রদ হয়ে উঠেছিলেন। রেঙ্গুন পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অক্লেশে
নিজেকে গিরীশ মহাপাত্র বলে অভিহিত করেন। সাধারণ চেহারা ও পোশাকের সব্যসাচী কেমন শক্তিশালী
ব্রিটিশ পুলিশকে নাস্তানুবাদ করেন সে কথা অপূর্ব রামদাসকে সকৌতুকে বিবৃত করেন। বুনো
হাঁস যেমন ইচ্ছেমতো জায়গায় উড়ে যায়, তেমনই সব্যসাচীও সরকারি টাকায় পুষ্ট পুলিশকে
বোকা বানিয়ে নিজের ইচ্ছেমতো জায়গায় যেতে পারেন।
(৭) "উপরন্তু এই সূত্রে দেশটাও একবার দেখা হইবে।–সূত্রটি কী? কে দেশ দেখবেন?
[উ] [] শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের
দাবী’ রচনার অন্তর্গত অপূর্বর দেশ দেখা হবে।
[] অফিসের বড়ো সাহেব একটি টেলিগ্রাম
নিয়ে অপুর্বের ঘরে আসেন। বার্মায় থাকা বোথা কোম্পানির সমস্ত অফিসে গোলযোগের কারণে
স্বাভাবিক ব্যাবসায়িক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। বড়োসাহেব তাই চান অপূর্ব আপাতত রেঙ্গুন
ত্যাগ করে যেন সমস্ত কার্যালয়গুলিতে যান।এরফলে বিভিন্ন অফিস দেখার সূত্রে বর্মা দেশটাও
দেখার বাসনা পূর্ণ হবে অপূর্বর।
(৮) “তুমি তো ইউরোপিয়ান নও।”--কে, কাকে বলেছিলেন? ইউরোপিয়ান না হওয়ার ফল কী হয়েছিল?
[উ] [] শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের
দাবী’ রচনার অন্তর্গত ভামোর উদ্দেশ্যে যাওয়া ট্রেনযাত্রী অপূর্বকে এই কথাগুলি বলেছিলেন
বর্মা পুলিশের জনৈক সাব-ইন্সপেক্টর।
[] বিপ্লবী সব্যসাচীর বর্মা আসার খবর
পেয়ে আতঙ্কিত ব্রিটিশ প্রশাসন ট্রেনযাত্রী বিভিন্ন অ-ইউরোপিয়ানকে নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ
করতে থাকে। প্রথম শ্রেণির যাত্রী অপূর্বও একাধিকবার রাতে তল্লাশির মুখে পড়ে প্রতিবাদী
হন। কিন্তু পরাধীন জাতির কালো চামড়ার লোকের প্রতিবাদ অবহেলিত হয়। বর্মা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টরের
আচরণে এই উক্তিটির মধ্য দিয়ে সেই দাম্ভিকতাই প্রকাশিত হয়।
(৯)
‘অপমান আমাকে কম বাজে না।'—বক্তা কাকে এ কথা বলেছিলেন? কোন্ অপমান
তাঁকে ব্যথিত করেছিল?
[অথবা]
‘মনে হলে দুঃখে লজ্জায় ঘৃণায় নিজেই যেন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে যাই'–কোন ঘটনা
মনে হলে বক্তার এই প্রতিক্রিয়া হয়?
[অথবা]
“কই এ ঘটনাতো আমাকে বলেন নি?'— বক্তা কে? উদ্দিষ্ট ব্যক্তি তাঁকে কোন্
ঘটনা বলেন?
[উ] [] কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্রের ‘পথের
দাবী’ রচনাংশে অপূর্ব এই কথাগুলি রামদাস তলওয়ারকরকে বলেছিলেন।
[] চাকুরি করতে রেঙ্গুনে আসার পর বাঙালি
যুবক অপূর্ব রেলস্টেশনে একদল ফিরিঙ্গির হাতে নির্মমভাবে অপমানিত হন। স্টেশনে পরাধীন
দেশের কালো চামড়ার যুবক অপূর্বকে লাথি মেরে ফিরিঙ্গি যুবকেরা ফেলে দিলে প্রতিকারের
আশায় স্টেশন মাস্টারের কাছে গেলে তিনিও দুর্ব্যবহার করেন। একই সঙ্গে সেখানে থাকা স্বদেশীয়রা
অপূর্বের হাড়-পাঁজরা ভাঙেনি বলে বরং খুশিই হয়। নিজের অপমান ও নিজের দেশবাসীদের কাপুরুষতা
অপূর্বকে গভীরভাবে পীড়িত করে।
(১০) ‘পুলিশ-স্টেশনে প্রবেশ করিয়া দেখা গেল’— পুলিশ-স্টেশনে প্রবেশ করে কী দেখা গেল?
[উ] শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের
দাবী’ শীর্ষক পাঠ্যাংশের অন্যতম চরিত্র অপূর্ব চুরির অভিযোগ জানাতে পুলিশস্টেশনে এসে
দেখে সামনের হলঘরে জন-ছয়েক বাঙালি মোট-ঘাট নিয়ে বসে আছে৷ জগদীশবাবু তাদের টিনের তোরঙ্গ
ও ছোটো-বড়ো পুঁটলি খুলে তদারকি শুরু করে দিয়েছেন। বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিক বলে যাকে
সবচেয়ে বেশি সন্দেহ হয়েছে সেই লোকটির নাম গিরীশ মহাপাত্র। তাকে একটা আলাদা ঘরে আটকে
রাখা হয়েছে। এরা সবাই বার্মা অয়েল কোম্পানির তেলের খনির কারখানায় মিস্ত্রির কাজ
করত। এদের নাম-ধাম-বিবরণ লিখে নেওয়া হচ্ছে।
(১১) ‘সহসা আশঙ্কা হয় সংসারের মিয়াদ বোধকরি বেশি দিন নাই।’–কার সম্পর্কে, কেন এই ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে?
[উ] [] ‘পথের দাবী’ পাঠ্যাংশ থেকে উদ্ধৃত
গিরীশ মহাপাত্র সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে।
[] বয়স ত্রিশ-বত্রিশের গিরীশ মহাপাত্র
ছিলেন যেমন রোগা তেমনি দুর্বল। তার ফরসা শরীর রোদে পুড়ে তামাটে হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের
প্রয়োজনে নিমাইবাবুর সামনে দাঁড়ানোর সময় তিনি কাশতে কাশতে আসেন। সামান্য কাশির পরিশ্রমেই
তিনি হাঁপাতে শুরু করেন। তাঁর হাঁপ-ধরা, ব্যাধিগ্রস্ত দুর্বল শরীরের দিকে তাকিয়ে সহজেই
বোঝা যায় কোনো এক রোগে শরীরটা তার দ্রুত ক্ষয়ের দিকে ছুটে যাচ্ছে। তার মৃত্যু আসন্ন।
তাই এই ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে।
(১২)
‘বাবুটির স্বাস্থ্য গেছে, কিন্তু শখ ষোলো আনাই বজায় আছে’—বাবুটির
সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্যের কারণ লেখ।
[উ] ‘বাবু’টি বলতে এখানে স্টেশনে শরৎচন্দ্র
চট্টোপাধ্যায়ের 'পথের দাবী' রচনাংশের গিরীশ মহাপাত্রের কথা বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্যের দিক
থেকে গিরীশ মহাপাত্র যেমন রোগা তেমনি দুর্বল। কিন্তু গায়ে তার জাপানি সিল্কের রামধনু
রঙের চুড়িদার পাঞ্জাবি। পরনে বিলেতি মিলের কালো মখমল পাড়ের সুক্ষ্ম শাড়ি। পকেটে
বাঘ আঁকা রুমাল। পায়ে সবুজ রঙের ফুল মোজা—হাঁটুর ওপর লাল ফিতে দিয়ে বাঁধা, পায়ে বার্নিশ
করা পাম্প শু। হাতে হরিণের শিঙের হাতল দেওয়া একগাছি বেতের ছড়ি। বিশেষভাবে ছাঁট দেওয়া
মাথার চুলে অপর্যাপ্ত লেবুর তেল। সাজের এই বাহার দেখে এই মন্তব্য করা হয়েছে।
(১৩) ‘ইহা যে কত বড়ো ভ্রম তাহা কয়েকটা স্টেশন পরেই সে অনুভব করিল।–ইহা বলতে কী বোঝানো হয়েছে? কীভাবে প্রমাণ হলো সেটা ভ্রম?
[উ] শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের
দাবী’ রচনার অন্তর্গত অপূর্ব ভামো যাত্রাকালে ট্রেনের প্রথম শ্রেণির যাত্রী হিসেবে
আশা করেছিলেন—প্রভাতকাল পর্যন্ত তার নিদ্রার ব্যাঘাত ঘটবে না।‘ইহা’
বলতে তাঁর এই আশার কথাই বলা হয়েছে।
[] অপূর্বের এই আশা একটা বড়ো ভুল বলে
প্রমাণিত হয়েছে কয়েকটি স্টেশন পরেই। কারণ, সেই রাতের মধ্যে তিন বার তাঁর ঘুম ভাঙিয়ে
পুলিশের লোক তাঁর নাম, ধাম ও ঠিকানা লিখে নিয়েছে। প্রথম শ্রেণির যাত্রী হিসেবে যে
নিরাপত্তা, শান্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য তাঁর প্রাপ্য ছিল ইউরোপীয় না হওয়ায় তিনি তা পান
নি।
(১৪) ভামো নগরে যাত্রাকালে কীভাবে অপূর্বকে বিরক্ত করা হয়েছিল? এর প্রতিবাদের ফল কী হয়েছিল?
[উ] 'পথের দাবী' রচনাংশে অপূর্ব ভামো
নগরে যাত্রাকালে প্রথম শ্রেণির যাত্রীর প্রাপ্য সুবিধা পাননি। রাতের মধ্যে বার তিনেক
তার ঘুমভাঙিয়ে পুলিশের লোক তাঁর নাম, ধাম ও ঠিকানা লিখে নেওয়ার নামে বিরক্ত করেছিলেন।
সাহেব
কটু কণ্ঠে জবাব দিয়ে বলেছিলেন যে, তিনি ইউরোপিয়ান নন। নিজেকে প্রথম শ্রেণির যাত্রী
বলে উল্লেখ করে অপূর্ব বলেছিলেন যে, রাতে তার ঘুমের বিঘ্ন তারা করতে পারেন না। সেই
ইন্সপেক্টর হেসে বলেছিলেন যে, তিনি পুলিশ। ইচ্ছে করলে তিনি তাকে টেনে নীচে নামাতে পারেন।
(১৫)
“বাবাই একদিন এঁর চাকরি করে দিয়েছিলেন।”—বক্তা কে? তার বাবা কাকে কী চাকরি করে
দিয়েছিলেন?
[উ] শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত
‘পথের দাবী’ গদ্যাংশ থেকে নেওয়া অংশটির বক্তা অপূর্ব হালদার।
[] বাঙালি পুলিশ অফিসার নিমাইবাবু অপূর্বর
বাবার বন্ধু। তাঁর বাবাই তাঁকে পুলিশের চাকরি দিয়েছিলেন। রেঙ্গুন পুলিশ পোলিটিক্যাল
সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিককে ধরতে গিয়ে জাহাজঘাট থেকে যাদের ধরে আনে, তাদের মধ্যে একজনকে
সন্দেহ হলেও বাঙালি পুলিশ অফিসার নিমাইবাবুর মতো ব্যক্তিদের মনে হয়, যাকে তাঁরা খুঁজছেন
উক্ত ব্যক্তি তিনি নন, তাই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এরূপ ঘটনায় অপূর্ব
মনে করে যে, সরকার নিমাইবাবুর মতো পুলিশের বড়ো কর্তাদের জন্য কতটাই না ব্যয় করছে,
অথচ সঠিক কাজ তারা করতে পারছে না। এই প্রসঙ্গেই অপূর্ব জানান যে, তাঁর বাবাই নিমাইবাবুকে
পুলিশের চাকরি করে দিয়েছিলেন। আসলে নিমাইবাবুর মতো পুলিশকর্তাদের এই ব্যর্থতার জন্য
অপূর্ব লজ্জিত বলে জানান।
[পিডিএফ লিংক নিচে দেখুন]
- জ্ঞানচক্ষু [প্রশ্ন উত্তর]
- অসুখী একজন [প্রশ্ন উত্তর]
- আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি [প্রশ্ন উত্তর]
- আফ্রিকা [প্রশ্ন উত্তর]
- হারিয়ে যাওয়া কালি কলম [প্রশ্ন উত্তর]
- বহুরূপী [প্রশ্ন উত্তর]
- অভিষেক [প্রশ্ন উত্তর]
- সিরাজদৌল্লা [প্রশ্ন উত্তর]
- প্রলয়োল্লাস [প্রশ্ন উত্তর]
- পথের দাবী [প্রশ্ন উত্তর]
- সিন্ধুতীরে [প্রশ্ন উত্তর]
- অদল বদল [প্রশ্ন উত্তর]
- অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান [প্রশ্ন উত্তর]
- বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান [প্রশ্ন উত্তর]
- নদীর বিদ্রোহ [প্রশ্ন উত্তর]
- কোনি [প্রশ্ন উত্তর]
আমাদের টেলিগ্রাম ও ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হোন
👇👇👇👇
---------------------------
----------------------------
লোক টি কাশিতে কাশিতে আসিল। লোকটি কে।লোকটি র সাজপোশাক ওঅভিনয় দক্ষতার পরিচয়. দাও।