অলৌকিক গল্প থেকে বড়ো প্রশ্ন রচনাধর্মী প্রশ্ন ২০২২ কর্তার সিং দুগ্গাল | দ্বাদশ শ্রেণি | Aloukik By Kartar Singh Duggal 2022 | Long Question Answer | PDF Download
অলৌকিক গল্প থেকে বড়ো প্রশ্ন রচনাধর্মী প্রশ্ন ২০২২ কর্তার সিং দুগ্গাল | দ্বাদশ শ্রেণি | Aloukik By Kartar Singh Duggal 2022 | Long Question Answer | PDF Download
[১] ‘অলৌকিক’ গল্পে হাত দিয়ে পাথরের চাঁই থামানোর ঘটনাটি লেখক প্রথমে বিশ্বাস করেননি কেন? পরে কিভাবে সেই ঘটনা তাঁর কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠল? [২০১৮]
[অথবা] ‘অলৌকিক’ গল্পে বর্ণিত অলৌকিক কাহিনি কীভাবে কথকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেছিল তা লেখ।
[উ]
[অথবা] ‘অলৌকিক’ গল্পে বর্ণিত অলৌকিক কাহিনি কীভাবে কথকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেছিল তা লেখ।
[উ]
প্রথম অংশ =
কর্তার সিং দুগ্গাল রচিত ‘অলৌকিক’ গল্প থেকে অংশটি গৃহীত। গুরু নানক তাঁর হাতের ছোঁয়ায় একটি গড়িয়ে আসা পাথরের চাঙড়ের গতিরোধ করেছিলেন এবং আজও সেই পাথরে তাঁর হাতের ছাপ লেগে আছে। এই গল্প শুনে আধুনিক যুক্তিবাদী লেখকের মনে হয়েছিল, এই কাহিনি বানানো এবং পরবর্তীকালে ওই পাথরের গায়ে কেউ ওই ছাপ খোদাই করেছে। কারণ পাথরে হাতের ছোঁয়ার ছাপ থাকার কাহিনি লেখকের অযৌক্তিক বলে মনে হয়েছিল।
দ্বিতীয় অংশ =
লেখকের এরূপ ধারণা যে ভ্রান্ত ছিল, তা পরবর্তীকালে লেখকের মায়ের বান্ধবীর মুখে একটি ঘটনা শোনার ফলে বোঝেন। দূরের একটি শহরে ইংরেজরা নিরস্ত্র ভারতীয় বিপ্লবীদের উপর গুলি চালায় এবং বিপ্লবীদের বন্দি করে অন্যত্র পাঠানো হয়। তারা ছিল তৃষ্ণার্ত, একইসঙ্গে ক্ষুধার্ত ও মৃতপ্রায়। ফিরিঙ্গিরা হুকুম দেয়—বন্দিরা মারা গেলেও ট্রেন কোথাও থামানো হবে না।
কিন্তু পাঞ্জাসাহেবের অধিবাসীরা অভুক্ত বন্দিদের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করে রাখে। কিন্তু আবেদন-নিবেদন করেও তারা ট্রেন থামানোর ব্যবস্থা করতে পারে না। তখন শহরবাসী রেললাইনে শুয়ে পড়ে। তাদের বুকের উপর দিয়ে ট্রেনের চাকা চলে যায় এবং অবশেষে দাঁড়ায়। পাঞ্জাসাহেবের মানুষদের জীবনের বিনিময়ে স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করানোর কাহিনি শোনার প্রেক্ষিতে নিজের ধারণা যে ভ্রান্ত তা বুঝতে পারেন গল্পকথক এবং এরপর পূর্বের ঘটনাটি তাঁর কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে।
কর্তার সিং দুগ্গাল রচিত ‘অলৌকিক’ গল্প থেকে অংশটি গৃহীত। গুরু নানক তাঁর হাতের ছোঁয়ায় একটি গড়িয়ে আসা পাথরের চাঙড়ের গতিরোধ করেছিলেন এবং আজও সেই পাথরে তাঁর হাতের ছাপ লেগে আছে। এই গল্প শুনে আধুনিক যুক্তিবাদী লেখকের মনে হয়েছিল, এই কাহিনি বানানো এবং পরবর্তীকালে ওই পাথরের গায়ে কেউ ওই ছাপ খোদাই করেছে। কারণ পাথরে হাতের ছোঁয়ার ছাপ থাকার কাহিনি লেখকের অযৌক্তিক বলে মনে হয়েছিল।
দ্বিতীয় অংশ =
লেখকের এরূপ ধারণা যে ভ্রান্ত ছিল, তা পরবর্তীকালে লেখকের মায়ের বান্ধবীর মুখে একটি ঘটনা শোনার ফলে বোঝেন। দূরের একটি শহরে ইংরেজরা নিরস্ত্র ভারতীয় বিপ্লবীদের উপর গুলি চালায় এবং বিপ্লবীদের বন্দি করে অন্যত্র পাঠানো হয়। তারা ছিল তৃষ্ণার্ত, একইসঙ্গে ক্ষুধার্ত ও মৃতপ্রায়। ফিরিঙ্গিরা হুকুম দেয়—বন্দিরা মারা গেলেও ট্রেন কোথাও থামানো হবে না।
কিন্তু পাঞ্জাসাহেবের অধিবাসীরা অভুক্ত বন্দিদের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করে রাখে। কিন্তু আবেদন-নিবেদন করেও তারা ট্রেন থামানোর ব্যবস্থা করতে পারে না। তখন শহরবাসী রেললাইনে শুয়ে পড়ে। তাদের বুকের উপর দিয়ে ট্রেনের চাকা চলে যায় এবং অবশেষে দাঁড়ায়। পাঞ্জাসাহেবের মানুষদের জীবনের বিনিময়ে স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করানোর কাহিনি শোনার প্রেক্ষিতে নিজের ধারণা যে ভ্রান্ত তা বুঝতে পারেন গল্পকথক এবং এরপর পূর্বের ঘটনাটি তাঁর কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে।
[২] ‘হঠাৎ শিষ্য মর্দানার জল তেষ্টা পেল।‘—তেষ্টা মেটানোর জন্য মর্দানাকে কী করতে হয়েছিল? তাঁর তেষ্টা শেষ অবধি কীভাবে মিটেছিল? [২০২০]
[উত্তর]
[উত্তর]
সূচনা = কর্তার সিং দুগ্গাল রচিত গল্পের বাংলা অনুবাদ ‘অলৌকিক’ গল্প থেকে উদ্ধৃতাংশটি নেওয়া হয়েছে। আলোচ্য অংশে গুরু নানকের শিষ্য মর্দানার প্রসঙ্গ এসেছে।
মর্দানা যা করেছিল =
হাসান আব্দালের জঙ্গলে গুরু নানকের সঙ্গে চলতে চলতে তাঁর শিষ্য মর্দানা পথশ্রমে, পরিশ্রমে, গরমে, জলপিপাসায় কাতর হয়ে বসে পড়েছিল। গুরু নানক ধ্যানের মাধ্যমে জেনে তাকে বলেন যে, পাহাড়ের চূড়ায় বলী কান্ধারী নামক দরবেশের কুটিরের কুয়োতে জল রয়েছে। গুরু নানকের কথামতো মর্দানা সেখানে যায়।
বলী কান্ধারী মর্দানার পরিচয় জানতে চাইলে মর্দানা জানায় সে পীর নানকের সঙ্গী। একথা শুনে বলী তাকে জল না দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। গুরু নানকের কাছে এসে মর্দানা একথা জানালে তিনি পুনরায় নানক দরবেশের অনুচর পরিচয়ে তাকে বলীর কাছে পাঠান। কিন্তু বলী এবারও মর্দানাকে তাড়িয়ে দেয় । মর্দানা তখন গুরু নানকের কাছে ফিরে এসে সব জানায়। এবার গুরু নানক ‘জয় নিরঙ্কার’ ধ্বনি উচ্চারণ করে মর্দানাকে পুনরায় বলীর কাছে পাঠান। গুরুর আদেশ অমান্য করতে না পেরে মদীনা খুব কষ্ট করে বলীর কাছে পৌঁছে এবারেও জল পায় না। তারপর সে গুরু নানকের কাছে ফিরে প্রায় অজ্ঞান হয়ে যায়।
মর্দানার তেষ্টা মিটেছিল যেভাবে =
গুরু নানক যখন দেখলেন বলী কান্ধারীর কাছে গিয়ে মর্দানা বারবার জল না পেয়ে প্রায় মূর্ছিত হয়ে পড়েছে, তখন তিনি শান্ত স্বরে ‘জয় নিরঙ্কার’ ধ্বনি উচ্চারণ করে শিষ্যকে সস্নেহে ডেকে সামনে অবস্থিত পাথরটা তুলতে বলেন। গুরুর কথামতো পাথরটা সরাতেই সেকাহ্ন থেকে জলের ঝরনা বেরিয়ে আসে। এই জলপান করে মর্দানা তৃষ্ণা মেটায়।
[৩] “গল্পটা আমাদের স্কুলে শোনানো হল।”—গল্পটা কী? স্কুলে গল্পটা শুনে লেখকের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল ? [২০১৫]
[উত্তর]
মর্দানা যা করেছিল =
হাসান আব্দালের জঙ্গলে গুরু নানকের সঙ্গে চলতে চলতে তাঁর শিষ্য মর্দানা পথশ্রমে, পরিশ্রমে, গরমে, জলপিপাসায় কাতর হয়ে বসে পড়েছিল। গুরু নানক ধ্যানের মাধ্যমে জেনে তাকে বলেন যে, পাহাড়ের চূড়ায় বলী কান্ধারী নামক দরবেশের কুটিরের কুয়োতে জল রয়েছে। গুরু নানকের কথামতো মর্দানা সেখানে যায়।
বলী কান্ধারী মর্দানার পরিচয় জানতে চাইলে মর্দানা জানায় সে পীর নানকের সঙ্গী। একথা শুনে বলী তাকে জল না দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। গুরু নানকের কাছে এসে মর্দানা একথা জানালে তিনি পুনরায় নানক দরবেশের অনুচর পরিচয়ে তাকে বলীর কাছে পাঠান। কিন্তু বলী এবারও মর্দানাকে তাড়িয়ে দেয় । মর্দানা তখন গুরু নানকের কাছে ফিরে এসে সব জানায়। এবার গুরু নানক ‘জয় নিরঙ্কার’ ধ্বনি উচ্চারণ করে মর্দানাকে পুনরায় বলীর কাছে পাঠান। গুরুর আদেশ অমান্য করতে না পেরে মদীনা খুব কষ্ট করে বলীর কাছে পৌঁছে এবারেও জল পায় না। তারপর সে গুরু নানকের কাছে ফিরে প্রায় অজ্ঞান হয়ে যায়।
মর্দানার তেষ্টা মিটেছিল যেভাবে =
গুরু নানক যখন দেখলেন বলী কান্ধারীর কাছে গিয়ে মর্দানা বারবার জল না পেয়ে প্রায় মূর্ছিত হয়ে পড়েছে, তখন তিনি শান্ত স্বরে ‘জয় নিরঙ্কার’ ধ্বনি উচ্চারণ করে শিষ্যকে সস্নেহে ডেকে সামনে অবস্থিত পাথরটা তুলতে বলেন। গুরুর কথামতো পাথরটা সরাতেই সেকাহ্ন থেকে জলের ঝরনা বেরিয়ে আসে। এই জলপান করে মর্দানা তৃষ্ণা মেটায়।
[৩] “গল্পটা আমাদের স্কুলে শোনানো হল।”—গল্পটা কী? স্কুলে গল্পটা শুনে লেখকের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল ? [২০১৫]
[উত্তর]
সূচনা =
কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ পাঠ্যাংশে গল্পকথক তাঁর মায়ের কাছে যে গল্পটি শুনেছিলেন সেই গল্পের কথাই আলোচ্য অংশে বলা হয়েছে।
প্রথম অংশ =
গুরু নানক একবার প্রচন্ড গরমের সময় তাঁর অনুচরদের নিয়ে পথ চলতে চলতে হাসান আব্দালের রুক্ষ-পাথুরে জঙ্গলে এসে পৌঁছোন। সেখানে তাঁর শিষ্য মর্দানা এতই তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ে যে, গুরু নানক তাকে শত বুঝিয়েও আর-এক পাও নড়াতে পারেন না। এরপর গুরু নানকের নির্দেশে মর্দানা ওই এলাকার একটিমাত্র জলপূর্ণ কুয়োর অধিকারী বলী কান্ধারী নামে এক দরবেশের কাছে যায় এবং জল প্রার্থনা করে। কিন্তু মর্দানা ‘পির নানকের সঙ্গী', জানতে পেরে বলী তখনই তাকে অপমান করে তাড়িয়ে দেন। একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটার পর গুরু নানক মৃতপ্রায় মর্দানাকে একটি পাথর সরানোর নির্দেশ দেন এবং তখন সেখানে একটি ঝরনার উৎপত্তি ঘটে, অন্যদিকে বলীর কুয়ো জলশূন্য হয়ে যায়। তখন ক্ষিপ্ত বলী গুরু নানককে হত্যার জন্য একটি পাথরখণ্ড নিক্ষেপ করলে গুরু নানক ‘জয় নিরঙ্কার’ ধ্বনি উচ্চারণ করে হাত দিয়ে পাথরটি থামিয়ে দেন। তাঁর হাতের ছাপবিশিষ্ট পাথরটির নাম 'পাঞ্ঝাসাহেব'। এবং স্থানটির নামও পাঞ্জাসাহেব বলে পরিচিতি পায়।
দ্বিতীয় অংশ =
গল্পটা শুনে লেখকের যে প্রতিক্রিয়া হয়েছিল তা হল, পাথরের তলা থেকে জল বেরিয়ে আসার ঘটনাটা বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য হলেও পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়া চাঙড় হাত দিয়ে থামিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য বলে মনে হয়েছিল। ব্যাপারটি কথক একেবারেই মেনে নিতে পারেনি।
কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ পাঠ্যাংশে গল্পকথক তাঁর মায়ের কাছে যে গল্পটি শুনেছিলেন সেই গল্পের কথাই আলোচ্য অংশে বলা হয়েছে।
প্রথম অংশ =
গুরু নানক একবার প্রচন্ড গরমের সময় তাঁর অনুচরদের নিয়ে পথ চলতে চলতে হাসান আব্দালের রুক্ষ-পাথুরে জঙ্গলে এসে পৌঁছোন। সেখানে তাঁর শিষ্য মর্দানা এতই তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ে যে, গুরু নানক তাকে শত বুঝিয়েও আর-এক পাও নড়াতে পারেন না। এরপর গুরু নানকের নির্দেশে মর্দানা ওই এলাকার একটিমাত্র জলপূর্ণ কুয়োর অধিকারী বলী কান্ধারী নামে এক দরবেশের কাছে যায় এবং জল প্রার্থনা করে। কিন্তু মর্দানা ‘পির নানকের সঙ্গী', জানতে পেরে বলী তখনই তাকে অপমান করে তাড়িয়ে দেন। একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটার পর গুরু নানক মৃতপ্রায় মর্দানাকে একটি পাথর সরানোর নির্দেশ দেন এবং তখন সেখানে একটি ঝরনার উৎপত্তি ঘটে, অন্যদিকে বলীর কুয়ো জলশূন্য হয়ে যায়। তখন ক্ষিপ্ত বলী গুরু নানককে হত্যার জন্য একটি পাথরখণ্ড নিক্ষেপ করলে গুরু নানক ‘জয় নিরঙ্কার’ ধ্বনি উচ্চারণ করে হাত দিয়ে পাথরটি থামিয়ে দেন। তাঁর হাতের ছাপবিশিষ্ট পাথরটির নাম 'পাঞ্ঝাসাহেব'। এবং স্থানটির নামও পাঞ্জাসাহেব বলে পরিচিতি পায়।
দ্বিতীয় অংশ =
গল্পটা শুনে লেখকের যে প্রতিক্রিয়া হয়েছিল তা হল, পাথরের তলা থেকে জল বেরিয়ে আসার ঘটনাটা বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য হলেও পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়া চাঙড় হাত দিয়ে থামিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য বলে মনে হয়েছিল। ব্যাপারটি কথক একেবারেই মেনে নিতে পারেনি।
[৪] “ঝড়ের বেগে ছুটে আসা ট্রেন থামানো গেল, পাথরের চাঁই থামানো যাবে না কেন?"—ট্রেন থামানোর দরকার হয়েছিল কেন? ট্রেন কীভাবে থামানো হয়েছিল? [২০১৬]
অথবা, ‘অবাক বিহ্বল বসে আছি, মুখে কথা নেই।'-মুখে কথা নেই কেন? [২০১৯]
অথবা, “চোখের জলটা তাদের জন্য"—বক্তা কাদের জন্য চোখের জল উৎসর্গ করেছেন? যে ঘটনায় চোখে জল এসেছিল সেই ঘটনাটি সংক্ষেপে লেখো।[২০১৭]
[উত্তর]
প্রথম অংশ =
কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পটিতে পাঞ্জাসাহেবে ট্রেন থামানোর এক অলৌকিক আখ্যান বর্ণিত হয়েছে। পরাধীন ভারতবর্ষে খিদে-তেষ্টায় কাতর স্বাধীনতা আন্দোলনকারী বন্দিদের জল-রুটি দেওয়ার জন্য পাঞ্জাসাহেবে ট্রেন থামানো হয়েছিল।
দ্বিতীয় অংশ =
পাঞ্জাসাহেব গুরু নানকের শিষ্য মর্দানার তৃষ্ণা নিবারণের জন্য প্রসিদ্ধ। সেই পাঞ্জাসাহেবের মানুষদের কাছে এক আশ্চর্য বার্তা এসে পৌঁছোয়। দূরের শহরে ফিরিঙ্গিরা গুলি চালানোয় বহু নির্দোষ ভারতীয়'র মৃত্যু হয়েছে এবং জীবিতদের বন্দি করে অন্য শহরের জেলে পাঠাতে ট্রেনে তোলা হয়েছে।
বিপ্লবীরা খিদে-তেষ্টায় কাতর। কিন্তু ট্রেন কোথাও থামানোর নিয়ম নেই। গুরু নানকের স্মৃতিবিজরিত পাঞ্জাসাহেবের অধিবাসীরা এ নির্দেশ মানেনি। তারা প্রথমে আবেদন-নিবেদনের পথে গেল। ইংরেজরা তবু মানল না। জল-রুটি না পেয়ে খিদেয় কাতর বন্দিদের কাছে খাবার পৌঁছোতে পাঞ্জাসাহেবের অধিবাসীরাও পিছপা নয়। তারা স্টেশনে রুটি, পায়েস, লুচি-ডাল-এর ব্যবস্থা করে রাখে।
মূল কাহিনিটি লেখক জেনেছিলেন তাঁর মায়ের বান্ধবীর থেকে। এ কাহিনি বাস্তব হলেও লেখকের কাছে এ এক অত্যাশ্চর্য ঘটনা। পাঙ্খাসাহেবের অধিবাসীরা বন্দিদের খাদ্য-পানীয় দিতে ট্রেন থামানোর জন্য এক আশ্চর্য উপায় নেয়, যা ঘটনাক্রম অনুসারে অলৌকিক কাহিনিতে পরিণত হয়। তারা নিজেরাই ট্রেন লাইনে শুয়ে পড়ে। সেইসময় পাঞ্জাসাহেবের বাতাস ‘জয় নিরঙ্কার' ধ্বনিতে মুখরিত। তীক্ষ্ণ হুইসেল দিতে দিতে ছুটন্ত ট্রেন তাদের উপর দিয়ে কিছু দূর চলে যায়। তারপর বাধ্য হয়ে থামে। নিজেদের জীবন দিয়ে পাঞ্জাসাহেবের অধিবাসীরা এভাবেই ট্রেন থামায়।
এ ঘটনা শুনে লেখক বিহ্বল হয়ে যান। তাঁর সমস্ত দ্বিধা-দ্বন্দ্ব মুহূর্তে বিলুপ্ত হয়ে যায়। তিনি বিশ্বাস করেন, ট্রেন থামানো গেলে পাথরের চাঁইও থামানো যায়। ট্রেন থামানোর জন্য আত্মদানকারী অধিবাসীদের জন্য ভক্তি শ্রদ্ধায় কথকের চোখে জল চলে আসে।
কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পটিতে পাঞ্জাসাহেবে ট্রেন থামানোর এক অলৌকিক আখ্যান বর্ণিত হয়েছে। পরাধীন ভারতবর্ষে খিদে-তেষ্টায় কাতর স্বাধীনতা আন্দোলনকারী বন্দিদের জল-রুটি দেওয়ার জন্য পাঞ্জাসাহেবে ট্রেন থামানো হয়েছিল।
দ্বিতীয় অংশ =
পাঞ্জাসাহেব গুরু নানকের শিষ্য মর্দানার তৃষ্ণা নিবারণের জন্য প্রসিদ্ধ। সেই পাঞ্জাসাহেবের মানুষদের কাছে এক আশ্চর্য বার্তা এসে পৌঁছোয়। দূরের শহরে ফিরিঙ্গিরা গুলি চালানোয় বহু নির্দোষ ভারতীয়'র মৃত্যু হয়েছে এবং জীবিতদের বন্দি করে অন্য শহরের জেলে পাঠাতে ট্রেনে তোলা হয়েছে।
বিপ্লবীরা খিদে-তেষ্টায় কাতর। কিন্তু ট্রেন কোথাও থামানোর নিয়ম নেই। গুরু নানকের স্মৃতিবিজরিত পাঞ্জাসাহেবের অধিবাসীরা এ নির্দেশ মানেনি। তারা প্রথমে আবেদন-নিবেদনের পথে গেল। ইংরেজরা তবু মানল না। জল-রুটি না পেয়ে খিদেয় কাতর বন্দিদের কাছে খাবার পৌঁছোতে পাঞ্জাসাহেবের অধিবাসীরাও পিছপা নয়। তারা স্টেশনে রুটি, পায়েস, লুচি-ডাল-এর ব্যবস্থা করে রাখে।
মূল কাহিনিটি লেখক জেনেছিলেন তাঁর মায়ের বান্ধবীর থেকে। এ কাহিনি বাস্তব হলেও লেখকের কাছে এ এক অত্যাশ্চর্য ঘটনা। পাঙ্খাসাহেবের অধিবাসীরা বন্দিদের খাদ্য-পানীয় দিতে ট্রেন থামানোর জন্য এক আশ্চর্য উপায় নেয়, যা ঘটনাক্রম অনুসারে অলৌকিক কাহিনিতে পরিণত হয়। তারা নিজেরাই ট্রেন লাইনে শুয়ে পড়ে। সেইসময় পাঞ্জাসাহেবের বাতাস ‘জয় নিরঙ্কার' ধ্বনিতে মুখরিত। তীক্ষ্ণ হুইসেল দিতে দিতে ছুটন্ত ট্রেন তাদের উপর দিয়ে কিছু দূর চলে যায়। তারপর বাধ্য হয়ে থামে। নিজেদের জীবন দিয়ে পাঞ্জাসাহেবের অধিবাসীরা এভাবেই ট্রেন থামায়।
এ ঘটনা শুনে লেখক বিহ্বল হয়ে যান। তাঁর সমস্ত দ্বিধা-দ্বন্দ্ব মুহূর্তে বিলুপ্ত হয়ে যায়। তিনি বিশ্বাস করেন, ট্রেন থামানো গেলে পাথরের চাঁইও থামানো যায়। ট্রেন থামানোর জন্য আত্মদানকারী অধিবাসীদের জন্য ভক্তি শ্রদ্ধায় কথকের চোখে জল চলে আসে।
-------------------------------
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা থেকে অন্য প্রশ্ন
------------------------
ক্লাস ১২ এর অন্যান্য বিষয়ের লেখ
---------------------------
PDF Download Link নিচে
------------------------
আমাদের টেলিগ্রাম ও ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হোন
👇👇👇👇
------------------------------
------------------------------