বাঙালির ক্রীড়াচর্চা থেকে বড়ো প্রশ্ন রচনাধর্মী প্রশ্ন ২০২২ | দ্বাদশ শ্রেণি | Bangalir Krira Charcha 2022 | Long Question Answer | PDF Download
বাঙালির ক্রীড়াচর্চা থেকে বড়ো প্রশ্ন রচনাধর্মী প্রশ্ন ২০২২ | দ্বাদশ শ্রেণি | Bangalir Krira Charcha 2022 | Long Question Answer | PDF Download
প্রশ্ন ১—ক্রিকেটে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অবদান লেখ।
[অথবা] আন্তর্জাতিক স্তরে সুনাম অর্জন করেছেন, এমন একজন বাঙালি ক্রীড়াবিদের কৃতিত্বের পরিচয় দাও। [২০১৯]
সূচনা—ইংল্যান্ডে প্রথম ক্রিকেট খেলা শুরু হয়। ১৫৫০ খ্রি. নাগাদ ইংল্যান্ডে এই খেলা জনপ্রিয়তা লাভ করে। ভারতে ক্রিকেটে সূচনা হয় ইংল্যান্ডের হাত ধরেই। বর্তমানে ক্রিকেটে ভারতের একচ্ছত্র অধিকার লক্ষ করা যায়।
বাঙালির ক্রিকেট যাত্রা শুরু হয় অষ্টাদশ শতকের শেষ দিকে। বাঙালি ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আন্তর্জাতিক স্তরে যথেষ্ট কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন।
অবদান—
ফুটবল খেলা দিয়ে জীবন শুরু করলেও পরবর্তীকালে ক্রিকেটার হিসেবে জনপ্রিয়তার শিখরে অবতীর্ণ হন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৯৮৯ সালে বাংলার হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে হাতেখড়ি। তারপর নানান উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে অদম্য লড়াকু মানসিকতায়
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। বাঁহাতি ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এখনও পর্যন্ত ভারতের সফলতম টেস্ট অধিনায়ক বলে বিবেচিত হন। তাঁর অধিনায়কত্বে ভারত ৪৯টি টেস্ট ম্যাচের মধ্যে ২১টি ম্যাচে জয়লাভ করে। ২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে তার অধিনায়কত্বেই ভারত ফাইনালে পৌঁছে যায়। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কেবলনার একজন আগ্রাসী মনোভাবাপন্ন অধিনায়কই ছিলেন না, তাঁর অধীনে যে সকল তরুণ ক্রিকেটারেরা খেলতেন, তাঁদের কেরিয়ারের উন্নতিকল্পেও তিনি প্রভূত সহায়তা করতেন।
একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিশেষ খ্যাতিসম্পন্ন ক্রিকেটার। ভারতীয় ক্রিকেটের দুঃসময়ে সৌরভ ভারতীয় দলের হাল ধরে ভারতবর্ষকে বিশ্বের ক্রিকেট মানচিত্রে অন্যতম সেরা আসনে বসান। বাংলার ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে রোল মডেল হয়ে উঠেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দ তিনি ভারত সরকার প্রদত্ত অর্জুন পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মাননা প্রদান করা হয়।
পরিসংখ্যান—
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ১১৩টি টেস্ট ম্যাচ, ৩১১টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ এবং ২৫৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেন। একদিনের ক্রিকেটে তার মোট রান এগারো হাজারেরও বেশি। টেস্টে মোট ৭২১২ রান, একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ১১৩৬৩ রান এবং প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৫৬৮৭ রান তার বিশেষ কৃতিত্বের পরিচায়ক। বোলার হিসেবে তিনি ৩২টি টেস্ট উইকেট ও একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ১০০টি উইকেট দখল করেন।
সূচনা—ইংল্যান্ডে প্রথম ক্রিকেট খেলা শুরু হয়। ১৫৫০ খ্রি. নাগাদ ইংল্যান্ডে এই খেলা জনপ্রিয়তা লাভ করে। ভারতে ক্রিকেটে সূচনা হয় ইংল্যান্ডের হাত ধরেই। বর্তমানে ক্রিকেটে ভারতের একচ্ছত্র অধিকার লক্ষ করা যায়।
বাঙালির ক্রিকেট যাত্রা শুরু হয় অষ্টাদশ শতকের শেষ দিকে। বাঙালি ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আন্তর্জাতিক স্তরে যথেষ্ট কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন।
অবদান—
ফুটবল খেলা দিয়ে জীবন শুরু করলেও পরবর্তীকালে ক্রিকেটার হিসেবে জনপ্রিয়তার শিখরে অবতীর্ণ হন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৯৮৯ সালে বাংলার হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে হাতেখড়ি। তারপর নানান উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে অদম্য লড়াকু মানসিকতায়
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। বাঁহাতি ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এখনও পর্যন্ত ভারতের সফলতম টেস্ট অধিনায়ক বলে বিবেচিত হন। তাঁর অধিনায়কত্বে ভারত ৪৯টি টেস্ট ম্যাচের মধ্যে ২১টি ম্যাচে জয়লাভ করে। ২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে তার অধিনায়কত্বেই ভারত ফাইনালে পৌঁছে যায়। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কেবলনার একজন আগ্রাসী মনোভাবাপন্ন অধিনায়কই ছিলেন না, তাঁর অধীনে যে সকল তরুণ ক্রিকেটারেরা খেলতেন, তাঁদের কেরিয়ারের উন্নতিকল্পেও তিনি প্রভূত সহায়তা করতেন।
একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিশেষ খ্যাতিসম্পন্ন ক্রিকেটার। ভারতীয় ক্রিকেটের দুঃসময়ে সৌরভ ভারতীয় দলের হাল ধরে ভারতবর্ষকে বিশ্বের ক্রিকেট মানচিত্রে অন্যতম সেরা আসনে বসান। বাংলার ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে রোল মডেল হয়ে উঠেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দ তিনি ভারত সরকার প্রদত্ত অর্জুন পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মাননা প্রদান করা হয়।
পরিসংখ্যান—
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ১১৩টি টেস্ট ম্যাচ, ৩১১টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ এবং ২৫৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেন। একদিনের ক্রিকেটে তার মোট রান এগারো হাজারেরও বেশি। টেস্টে মোট ৭২১২ রান, একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ১১৩৬৩ রান এবং প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৫৬৮৭ রান তার বিশেষ কৃতিত্বের পরিচায়ক। বোলার হিসেবে তিনি ৩২টি টেস্ট উইকেট ও একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ১০০টি উইকেট দখল করেন।
প্রশ্ন ২—বাংলার ক্রিকেটের জনক কাকে বলা হয়? ক্রিকেটে তাঁর অবদান লেখ।
সূচনা—
ইংল্যান্ডে প্রথম ক্রিকেট খেলা শুরু হয়। ১৫৫০ খ্রি. নাগাদ ইংল্যান্ডে এই খেলা জনপ্রিয়তা লাভ করে। ভারতে ক্রিকেটে সূচনা হয় ইংল্যান্ডের হাত ধরেই। বর্তমানে ক্রিকেটে ভারতের একচ্ছত্র অধিকার লক্ষ করা যায়।
বাঙালি ক্রিকেটার হিসেবে চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পিতামহ সারদারঞ্জন রায়চৌধুরীর বিশেষ স্থান রয়েছে। তিনি বাংলার ক্রিকেটের জনকরূপে পরিচিত।
ক্রিকেটে অবদান—
সারদারঞ্জন রায়চৌধুরী (১৮৫৯-১৯২৬) চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পিতামহ। জন্ম তাঁর কিশোরগঞ্জের মধুয়া গ্রামে, বিখ্যাত রায়চৌধুরী পরিবারে। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের কারণে তাঁকে বলা হত বাঙালি ডব্লিউ জি গ্রেস (কিংবদন্তী ব্রিটিশ ক্রিকেটার)।
'যখন ছোট ছিলাম' বইয়ে সত্যজিৎ রায় লিখেছিলেন, 'ঠাকুরদার পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে দুই ভাই ছাড়া সবাই ব্রাহ্ম হয়েছিলেন। সারদা ও মুক্তিদা হিন্দুধর্মে থেকে গেলেন। এই দুই ভাই খেলাধুলা করতেন। ক্রিকেট শুরু করেন সারদা, তারপর সেটা রায় পরিবারে হিন্দু ব্রাহ্ম সব দিক ছড়িয়ে পড়ে’। তাঁর কথাটি যেন অক্ষরে অক্ষরে সত্য। নিজেদের নেশা পরিবারে আটকে না থেকে ছড়িয়ে গেছে সারা দেশে। সত্যজিৎ রায় বাংলা চলচ্চিত্রকে পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বস্তরে। আর সাহেবদের হাত থেকে বাংলায় ক্রিকেটযাত্রা শুরু করেন গণিতের অধ্যাপক সারদারঞ্জন রায়।
সে সময় ক্রিকেট খেলত ইংরেজরাই। ক্যালকাটা ক্রিকেট ক্লাব ছিল সবচেয়ে প্রভাবশালী দল। রায়চৌধুরীরা পাঁচ ভাই মিলে গড়ে তুলেছিলেন ঢাকা কলেজ ক্রিকেট ক্লাব। পরে টাউন ক্লাবও গড়ে তোলেন কলকাতায় (১৮৮৪)। দুই দলেরই ক্যাপ্টেন ছিলেন সারদারঞ্জন। দুটি দলই নিয়মিত সাহেবদের দলের বিরুদ্ধে খেলত। বাংলায় জেলাভিত্তিক ক্রিকেট দল গড়ে তুলে তাঁরা আন্তঃজেলা টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে থাকেন। ক্রিকেটের নিয়মকানুন নিয়ে প্রথম বাংলা বই ‘ক্রিকেট খেলা’ লিখেছিলেন সারদারঞ্জনই।
১৮৮৪ সালে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ক্যালকাটা প্রেসিডেন্সি ক্লাবের সঙ্গে এক খেলায় ঢাকা কলেজ জয়লাভ করে। এই খেলায় নেতৃত্বে ছিলেন সারদারঞ্জন রায়চৌধুরী।
প্রশ্ন ৩—কাবাডির ইতিহাস ও তার পরিচয় দাও।
পরিচয়—
পুরাণে কথিত আছে শ্রীকৃষ্ণ গোপবালকদের সঙ্গে হা-ডু-ডু খেলতেন। ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে কবাডি নানান নামে পরিচিত। দক্ষিণ ভারতে চি-ডু-গু-ডু, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাটে হু-টু-টু, কেরলে ওয়ান্ডিকালি, উত্তর ভারতে কবাডি এবং পশ্চিমবঙ্গে হা-ডু-ডু। এছাড়াও শ্রীলঙ্কায় খেলাটি গু-ডু, থাইল্যান্ডে থিকাব, বাংলাদেশে চু-কিত-কিত নামে প্রচলিত।
কাবাডিচর্চা—
১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় অষ্টম সর্বভারতীয় অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় প্রথম কবাডি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার ইডেন উদ্যানে মেয়েদের কবাডি প্রতিযোগিতা প্রথম আয়োজিত হয়। ১৯৫৯ খ্রি. School games Federation of India তাঁদের ক্রীড়াসূচিতে কবাড়িকে একটি নির্ধারিত ক্রীড়া হিসাবে গ্রহণ করেন। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত All India Kabaddi Federation ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৭ মে Amateur Kabaddi Federation of India (AKFI) নামে পরিচিত হয়। ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতবর্ষ, বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিত্ব নিয়ে গড়ে ওঠে Asian Amateur Kabaddi Federation.
১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় প্রথম এশিয়ান কবাডি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সাফ গেমসে কবাডি মূল ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিষয় হিসেবে স্থান পায় এবং তাতে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়। বাংলাদেশ রানার্স হয়। ১৯৯০ সালের বেজিং এশিয়ান গেমসে কবাডি মূল ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় স্থান পেয়েছে।
নারায়ণচন্দ্র ঘোষ পশ্চিমবঙ্গে কবাডির প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ স্থান গ্রহণ করেন। ভূপতি মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সরোজমোহন রায়চৌধুরীর সম্পাদনায় ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গে কবাডি অ্যাসোসিয়েশন গড়ে ওঠে। বাংলার কবাড়িতে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নাম ফণী ভট্টাচার্য, অচিন্ত্য সাহা, রণজিৎ ধর।
-------------------------------
দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা থেকে অন্য প্রশ্ন
------------------------
ক্লাস ১২ এর অন্যান্য বিষয়ের লেখ
---------------------------
PDF Download Link নিচে
------------------------
আমাদের টেলিগ্রাম ও ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হোন
👇👇👇👇
--------------------
--------------------