নবম শ্রেণির ধীবরবৃত্তান্ত থেকে ব্যাখ্যাধর্মী 20টি প্রশ্ন, Natok Dhibar Brittanta Questions Answers, WB Class 9 Bengali, PDF Download
প্রিয় শিক্ষার্থীরা,
আজকে তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো ধীবর বৃত্তান্ত SEQ ব্যাখ্যাধর্মী ৩ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর || বিদ্যালয়ের পরীক্ষায় ধীবরবৃত্তান্ত SEQ ব্যাখ্যাধর্মী ৩ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর লিখতে হয়, প্রশ্নমান ৩ || | Class 9 IX Bengali Dhibar Brittanta by Kalidas | 9th Standard | এগুলি তোমাদের ফাইনাল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
নবম শ্রেণির ধীবরবৃত্তান্ত থেকে ব্যাখ্যাধর্মী 20টি প্রশ্ন, Natok Dhibar Brittanta Questions Answers, WB Class 9 Bengali, PDF Download
নাট্যাংশ
ধীবরবৃত্তান্ত
কালিদাস
প্রশ্নমান = ৩
প্র। শকুন্তলা কার আশ্রমে প্রতিপালিতা হয়েছিলেন? রা তাঁর এমন নামকরণের কারণ কী?
(উত্তর) শকুন্তলা মহর্ষি কম্বের আশ্রমে প্রতিপালিতা হয়েছিলেন। ঋষি বিশ্বামিত্র ও স্বর্গের অপ্সরা মেনকার কন্যা হলেন শকুন্তলা। মেনকা তার সদ্যজাত কন্যা শকুন্তলাকে মালিনী নদীর তীরে ফেলে রেখে স্বর্গে ফিরে গিয়েছিলেন। পিতা-মাতা পরিত্যক্ত শকুন্তলার নামকরণ শিশু শকুন্তলা নদীতীরেই পড়ে থাকেন। একটি শকুন্ত বা ভাসপাখি তার ডানা বিস্তার করে দ রৌদ্রতাপের হাত থেকে শকুন্তলাকে রক্ষা করে। একসময় মহামুনি কন্তু শকুন্তের কাছে সদ্যজাত শিশুকন্যাকে দেখতে পেয়ে, শিশুটির দায়িত্ব নিজে গ্রহণ করেন। শকুন্ত পাখিটি শিশুটিকে রক্ষা করেছিল বলেই শিশুটির নামকরণ করা হয় শকুন্তলা।
প্র। “যার চিন্তায় সে মগ্ন, সেই ব্যক্তি শকুন্তলাকে ভুলে যাবেন।” – কে, কাকে উদ্দেশ্য করে উত্তিটি করেন? তিনি কেন এমন উক্তি করেন?
(উত্তর) প্রথম অংশ : এই উক্তিটি করেছেন ঋষি দুর্বাসা। ঋষি উক্তিটি করেছেন শকুন্তলাকে উদ্দেশ্য করে।
দ্বিতীয় অংশ : একদা মহর্ষি কণ্বের আশ্রমে মহারাজা দুষ্মন্তের আগমন ঘটে। সেখানে শকুন্তলাকে দেখে তার রূপলাবণ্যে মুগ্ধ হয়ে রাজা শকুন্তলাকে গান্ধর্ব মতে বিবাহ করেন। এরপর রাজা রাজধানীতে ফিরে যান। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও শকুন্তলাকে রাজধানীতে নিয়ে যাওয়ার কোনো উদ্যোগ নেননি রাজা দুষ্মন্ত। এদিকে বিরহে কাতর শকুন্তলা রাজার চিন্তাতেই মগ্ন ছিলেন। এমন অবস্থায় ঋষি দুর্বাসা সেই আশ্রমে প্রবেশ করলেন, কিন্তু আনমনা শকুন্তলা ঋষিকে যথোচিত আপ্যায়ন করলেন না। তখন অপমানিত, ক্রুদ্ধ ঋষি দুর্বাসা ওই উক্তিটি করেন।
প্র। “যার চিন্তায় সে মগ্ন” – কে, কার চিন্তায় কেন মগ্ন ছিলেন?
(উত্তর) প্রথম অংশ : মহর্ষি কণ্বের পালিতা কন্যা শকুন্তলা তার স্বামী মহারাজা দুষ্মন্তের চিন্তায় মগ্ন ছিলেন।
দ্বিতীয় অংশ : একদা মহর্ষি কম্বের আশ্রমে পদার্পণ ঘটেছিল রাজা দুষ্মন্তের। সেখানে শকুন্তলাকে দেখে তার রূপলাবণ্যে মুগ্ধ হয়ে রাজা শকুন্তলাকে গান্ধর্ব মতে বিবাহ করেন। শকুন্তলাকে রাজধানীতে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজা ফিরে যান। অথচ দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে রাজ্যে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা করেননি। এদিকে শকুন্তলা সন্তানসম্ভবা ছিলেন। আর এই কারণেই শকুন্তলা বিরহে রাজার চিন্তায় মগ্ন ছিলেন।
প্র। “কোনো নিদর্শন দেখাতে পারলে তবে শাপের প্রভাব দূর হবে।” – 'নিদর্শন' শব্দের অর্থ কী? কোন্ প্রসঙ্গে বক্তা এমন উক্তি করেছেন?
(উত্তর) নিদর্শন : 'নিদর্শন' শব্দের অর্থ 'দৃষ্টান্ত', 'প্রমাণ'।
প্রসঙ্গ : প্রশ্নে বর্ণিত অংশটি মহাকবি কালিদাস রচিত 'ধীবর-বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। উক্তিটি করেছেন ঋষি দুর্বাসা। স্বামী দুষ্মন্তের চিন্তায় কাতর শকুন্তলা আশ্রমে আগত দুর্বাসা মুনিকে আপ্যায়ন না-করলে, ক্রুদ্ধ মুনি শকুন্তলাকে অভিশাপ দিয়ে বলেন – “যার চিন্তায় সে মগ্ন, সেই ব্যক্তি শকুন্তলাকে ভুলে যাবেন।” এমন সময় শকুন্তলার সখী প্রিয়ংবদা শকুন্তলার ওইরূপ আচরণের প্রকৃত কারণ ঋষিকে জানালে, শকুন্তলার শাপমুক্তির উপায় প্রসঙ্গে ঋষি দুর্বাসা উক্ত কথাটি বলেন।
প্র। “সখীরা মনে করলেন সেই আংটিই হবে ভবিষ্যতের স্মারকচিহ্ন।” – কোন্ আংটির কথা বলা হয়েছে? সখীদের এমন মনে হওয়ার কারণ লেখো।
(উত্তর) কোন্ আংটি : মহর্ষি কণ্বের আশ্রমে শকুন্তলাকে গান্ধর্ব মতে বিবাহ করে রাজা দুষ্মন্ত নিজ রাজধানীতে ফিরে যাওয়ার আগে শকুন্তলাকে নিজ নামাঙ্কিত যে আংটিটি পরিয়ে দিয়েছিলেন, এখানে সেই আংটির কথাই বলা হয়েছে।
কারণ : রাজা দুষ্মন্তের চিন্তায় মগ্ন শকুন্তলা তপোবনে আগত ঋষি দুর্বাসাকে যথোচিত আপ্যায়ন না-করলে ক্রুদ্ধ ঋষি শকুন্তলাকে শাপ দেন যে, “যার চিন্তার সে মগ্ন, সেই ব্যক্তি শকুন্তলাকে ভুলে যাবেন।” শকুন্তলার সখী প্রিয়ংবদার অনুরোধে ঋষি বলেন, কোনো নিদর্শন দেখাতে পারলে শাপের প্রভাব দূর হবে। এইরূপ পরিস্থিতিতেই সখীদের অর্থাৎ প্রিয়ংবদা ও অনসূয়ার মনে হয়েছিল যে সেই আংটিই হবে ভবিষ্যতের স্মারকচিহ্ন।
প্র। শকুন্তলা কীভাবে রাজা দুষ্মন্তর দেওয়া স্মারকটি হারিয়ে ফেলেন?
(উত্তর) কালিদাস রচিত ‘ধীবরবৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে শকুন্তলার স্মারক হারিয়ে যাওয়ার পূর্বসূত্র সংক্ষেপে উল্লিখিত হয়েছে।
মহর্ষি কণ্বের তপোবনে রাজা দুষ্মন্ত আশ্রমকন্যা শকুন্তলার পাণিগ্রহণ করে নিজ রাজ্যে ফিরে যাওয়ার সময় বিবাহের স্মারক চিহ্নরূপে রাজা নিজ নামাঙ্কিত একটি আংটি শকুন্তলাকে পরিয়ে দেন। পরবর্তীকালে মহর্ষি কণ্ব এই বিবাহের কথা জানতে পারেন এবং শকুন্তলাকে স্বামীগৃহে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। পতিগৃহে যাওয়ার পথে শচীতীর্থে স্নান করে অঞ্জলি দেওয়ার সময় শকুন্তলার আঙুল থেকে রাজার দেওয়া আংটিটি জলে পড়ে যায়। এইভাবেই রাজার দেওয়া স্মারক তথা আংটিটি শকুন্তলা হারিয়ে ফেলেন।
প্র। “ঘটনাক্রমে সেই আংটি পেল এক ধীবর” – প্রসঙ্গসহ ঘটনাটি লেখ।
(উত্তর) প্রসঙ্গ : মহাকবি কালিদাস রচিত 'ধীবর-বৃত্তান্ত' নাট্যাংশে শকুন্তলাকে দেওয়া রাজা দুষ্মন্তর আংটি হারিয়ে যাওয়া ও ধীবর কর্তৃক তা প্রাপ্তি প্রসঙ্গে এই উক্তি করা হয়েছে।
ঘটনা : শকুন্তলা স্বামীগৃহের উদ্দেশে যাত্রা করলে, পথে শচীতীর্থে স্নান করে অঞ্জলি দেওয়ার সময় শকুন্তলার হাতের আংটিটি জলে পড়ে যায় এবং একটি রুইমাছ সেটি খেয়ে ফেলে। পরবর্তী সময়ে এক ধীবরের জালে সেই মাছটি ধরা পড়ে। ধীবর সেই মাছটি বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে যখন মাছটিকে কেটে ফেলেন, তখন মাছের পেটে সেই আংটিটি দেখতে পান। এইভাবেই ধীবর রাজার নামাঙ্কিত আংটিটি পেয়েছিলেন।
প্র। নিজের পেশা সম্পর্কে ধীবরের ধারণা কেমন ছিল?
(উত্তর) কালিদাস বিরচিত ‘ধীবর-বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে ধীবর সম্পর্কে বলা হয়েছে সে শক্রাবতারে থাকে। তার জীবিকা মাছ ধরে বিক্রি করা।
ধীবর রুইমাছের পেট থেকে রাজা দুষ্মন্ত’র নামাঙ্কিত মূল্যবান আংটিটি পেয়ে, তা বিক্রয় করতে গিয়ে রাজরক্ষীদের হাতে ধরা পড়লে, রক্ষীরা তাকে চোর বলে সন্দেহ করে এবং রাজশ্যালক ধীবরের বৃত্তি নিয়ে কটাক্ষ করেন। শ্যালকের কথার জবাবে ধীবর তাকে জানায়, মানুষের জন্মগত কিংবা বংশানুক্রমিক বৃত্তি নিন্দনীয় হলেও তা পরিত্যাগ করা উচিত নয়। ধীবরের এমন কথার মধ্যে দিয়ে নিজের বৃত্তির প্রতি সম্মান ও গর্বিত মনোভাবের প্রকাশ ঘটেছে।
প্র। “তোর জীবিকা বেশ পবিত্র বলতে হয় দেখছি।” – বক্তা কাকে উদ্দেশ্য করে উক্তিটি করেছেন? কথাটি শুনে উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কেমন প্রতিক্রিয়া দেখান?
(উত্তর) প্রথম অংশ : ‘ধীবরবৃত্তান্ত’ থেকে উদ্ধৃত এই অংশে শক্রাবতারে বসবাসকারী দরিদ্র ধীবরের উদ্দেশে রাজা দুষ্মন্তের শ্যালক উক্তিটি করেছিলেন।
দ্বিতীয় অংশ : ধীবর রুইমাছের পেট থেকে রাজার নামাঙ্কিত মূল্যবান আংটিটি পেয়ে, তা বিক্রয় করতে গিয়ে রাজরক্ষীদের হাতে ধরা পড়লে, রক্ষীরা তাকে চোর বলে সন্দেহ করে এবং রাজশ্যালক ধীবরের বৃত্তি নিয়ে কটাক্ষ করেন। শ্যালকের কথার জবাবে ধীবর তাঁকে জানায়, মানুষের জন্মগত কিংবা বংশানুক্রমিক বৃত্তি নিন্দনীয় হলেও তা পরিত্যাগ করা উচিত নয়। ধীবরের এমন কথার মধ্যে দিয়ে নিজের বৃত্তির প্রতি সম্মান ও গর্বিত মনোভাবের প্রকাশ ঘটেছে।
প্র। “এখন মারতে হয় মারুন, ছেড়ে দিতে হয় ছেড়ে দিন।” – প্রসঙ্গসহ উক্তিটির তাৎপর্য লেখো।
(উত্তর) প্রসঙ্গ : শক্রাবতারে বসবাসকারী জনৈক ধীবর একটি রুই মাছের পেটে রাজা দুষ্মন্ত’র নামাঙ্কিত একটি আংটি পেয়ে, তা বিক্রি করতে গিয়ে রাজরক্ষীদের হাতে ধরা পড়ে। ধীবর আংটিপ্রাপ্তির প্রকৃত ঘটনা বললেও রক্ষীরা তা বিশ্বাস করে না, সেই প্রসঙ্গেই ধীবর উক্তিটি করেছে।
তাৎপর্য : প্রথম থেকেই রাজরক্ষীরা ধীবরকে চোর বলে ধারণা করেছে। রাজার শ্যালক ধীবরের বৃত্তি নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করেছে। তবু ধীবর বারবার তাদের প্রকৃত ঘটনাটা বোঝাবার চেষ্টা করেছে। তাতেও যখন রাজরক্ষীরা তার কথা বিশ্বাস করতে চাননি, তখন নিরুপায় ধীবর এই কথা বলতে বাধ্য হয়েছে।
প্র। “কীভাবে এই আংটি আমার কাছে এলো তা বললাম” – কার আংটির কথা বলা হয়েছে? বক্তা কীভাবে আংটিটি পেয়েছিলেন?
(উত্তর) কার আংটি : আলোচ্য অংশটিতে রুইমাছের পেট থেকে রাজা দুষ্মন্তের নামখচিত একটি আংটি পায় শক্রাবতারের এক ধীবর। এখানে ধীবরের সেই প্রাপ্ত আংটির কথা বলা হয়েছে।
কীভাবে আংটি পেয়েছিল : শকুন্তলা স্বামীগৃহের উদ্দেশে যাত্রা করলে, পথে শচীতীর্থে স্নান করে অঞ্জলি দেওয়ার সময় শকুন্তলার হাতের আংটিটি জলে পড়ে যায় এবং একটি রুইমাছ সেটি খেয়ে ফেলে। পরবর্তী সময়ে এক ধীবরের জালে সেই মাছটি ধরা পড়ে। ধীবর সেই মাছটি বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে যখন মাছটিকে কেটে ফেলেন, তখন মাছের পেটে সেই আংটিটি দেখতে পান। এইভাবেই ধীবর রাজার নামাঙ্কিত আংটিটি পেয়েছিলেন।
প্র। “শকুন্তলা অপমানিত হলেন রাজসভায়” – শকুন্তলার এমন অপমানের কারণ লেখো।
(উত্তর) ‘ধীবর-বৃত্তান্ত’ পাঠ্যাংশে দুষ্মন্তের রাজসভায় শকুন্তলার অপমানিত হওয়ার প্রসঙ্গ সংক্ষেপে উত্থাপিত হয়েছে। আশ্রমকন্যা শকুন্তলার রূপে মুগ্ধ হয়ে রাজা দুষ্মন্ত গান্ধর্ব মতে বিবাহ করেন এবং নিজ রাজ্যে ফিরে যাওয়ার সময় নিজ নামাঙ্কিত একটি আংটি শকুন্তলাকে পরিয়ে দেন।
স্বামীগৃহে যাত্রাকালে পথে শচীতীর্থে স্নান করে অঞ্জলি দেওয়ার সময় শকুন্তলার আঙুল থেকে আংটিটি জলে পড়ে যায়। তাই মহারাজের কাছে পৌঁছেও শকুন্তলা রাজাকে তাদের বিবাহের স্মারকটি দেখাতে পারেন নি। অন্যদিকে ঋষি দুর্বাসার অভিশাপের প্রভাবে রাজা শকুন্তলাকে ভুলে গেছেন। এই কারণেই রাজসভার সকলে শকুন্তলাকে মিথ্যাবাদিনী এবং প্রতারিণী মনে করেন। এবং শকুন্তলা অপমানিতা হন।
প্র। “মুহূর্তের জন্য রাজা বিহ্বলভাবে চেয়ে রইলেন?” – বক্তা কে? রাজার বিহ্বলতার কারণ আলোচনা কর।
(উত্তর) বক্তা : উক্তিটির বক্তা হলেন মহারাজা দুষ্মন্তের শ্যালক (‘ধীবর-বৃত্তান্ত’)।
কারণ : রাজসভায় পৌঁছেও শকুন্তলা রাজা দুষ্মন্তকে তাদের বিবাহের স্মারকচিহ্ন আংটি দেখাতে পারেননি, আবার ঋষি দুর্বাসার শাপের প্রভাবে রাজাও শকুন্তলাকে ভুলে গেছেন। তাই রাজসভায় শকুন্তলাকে অপমানিতা হতে হয়। পরবর্তীকালে এক ধীবর বুইমাছের পেটের ভিতর আংটি পান। রাজার শ্যালক যখন রাজার নামাঙ্কিত আংটিটি নিয়ে রাজার সামনে উপস্থিত হন, তখন সেই আংটি দেখে রাজার পূর্বস্মৃতি ফিরে আসে। প্রিয়জন তথা শকুন্তলার কথা মনে পড়ে যায় রাজা দুষ্মন্তের। তাই রাজা বিহ্বলভাবে চেয়ে থাকেন।
প্র। “একে পূর্বাপর সব বলতে দাও।” – কে, কখন এ কথা বলেছেন?
(উত্তর) কে : প্রশ্নের উক্তিটির বক্তা হলেন ‘ধীবরবৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে উল্লিখিত রাজা দুষ্মন্তের শ্যালক।
কখন : শত্রুাবতারে বসবাসকারী এক ধীবর একটি রুইমাছের পেটে রাজা দুষ্মন্তের নামাঙ্কিত মহামূল্যবান একটি আংটি পেয়ে, তা বিক্রির উদ্দেশ্যে লোককে দেখানোর সময় রাজরক্ষীদের হাতে ধরা পড়ে। রক্ষীরা ধীবরকে চোর সন্দেহ করলে ধীবর বলে যে সে চুরি করেনি। প্রথম রক্ষী তাকে বিদ্রুপ করে। ধীবর তার বৃত্তি ও বাসস্থান সম্পর্কে বলতে চাইলে দ্বিতীয় রক্ষী তাকে ‘বাটপাড়’ বলে তিরস্কার করে। এমন সময় রক্ষীদের উদ্দেশে রাজশ্যালক এই কথাটি বলেছিলেন।
প্র। “প্রভু অনুগৃহীত হলাম।” – কে, কাকে কথাটি বলেছে? তার অনুগৃহীত হওয়ার কারণ লেখো।
(উত্তর) প্রথম অংশ : মহাকবি কালিদাস রচিত ‘ধীবর-বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে উক্তিটি করেছে ধীবর, মহারাজা দুষ্মন্তের শ্যালকের উদ্দেশে।
দ্বিতীয় অংশ : ধীবরকে চোর সাব্যস্ত করে রাজরক্ষীরা। পরে আংটির ব্যাপারে সত্য জানতে রাজার শ্যালক আংটিটি নিয়ে রাজার কাছে যান। তিনি ফিরে এসে বলেন যে, ধীবরের সব কথা সত্যি । এবং মহারাজ আংটির মূল্যের সমান পরিমাণ অর্থ ধীবরকে পুরস্কাররূপে দিয়েছেন। রাজার কাছ থেকে প্রাপ্ত এমন অপ্রত্যাশিত অনুগ্রহে ধীবর অত্যন্ত খুশি ও কৃতজ্ঞতা বোধ করে। এই কারণেই সে রাজশ্যালককে উদ্দেশ্য করে এই কথাটি বলে।
প্র। “এখন থেকে তুমি আমার একজন বিশিষ্ট প্রিয় বন্ধু হলে” – কে, কেন এমন উক্তি করেছেন?
(উত্তর) কে : উদ্ধৃত অংশটির বক্তা হলেন রাজা দুষ্মন্তের শ্যালক।
কেন : ধীবরের মুখে আংটি প্রাপ্তির ঘটনা শুনে রাজরক্ষী দু’জন এবং রাজশ্যালক কেউই বিশ্বাস করেনি। তাই শ্যালক ধীবরের বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করতে রাজার কাছে উপস্থিত হয়। আংটি দেখে বিহ্বল রাজা ধীবরকে শাস্তির বদলে পারিতোষিক প্রদান করেন। আবার ধীবর তার প্রাপ্ত পুরস্কারের অর্ধেক রাজরক্ষীদের মধ্যে ভাগ করে দেয়। দরিদ্র ধীবরের উদারতা, সততায় মুগ্ধ হয়ে রাজশ্যালক ধীবরের প্রতি উক্ত উক্তিটি করেন।
প্র। ‘ধীবর-বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে ধীবরের প্রতি রাজরক্ষীদের ভাবনার প্রতিফলন ঘটেছে কীভাবে?
(উত্তর) মহাকবি কালিদাসের ‘ধীবর বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে দেখা যায় এক ধীবর মাছের পেট থেকে পাওয়া রাজনামাঙ্কিত আংটিটি বিক্রি করতে গিয়ে রাজরক্ষীদের হাতে ধরা পড়লে রাজরক্ষীরা ধীবরকে চোর সাব্যস্ত করে। ধীবরকে 'ব্যাটা চোর', 'ব্যাটা বাটপাড়', 'গাঁটকাটা’ ইত্যাদি বলে তিরস্কার করে। সেইসঙ্গে ধীবরের কঠোর শাস্তির প্রত্যাশায় নিজেরা আনন্দ প্রকাশ করতে থাকে। ধীবরের কোনো কথাই তারা বিশ্বাস করতে চায় না। ধীবরের প্রতি তাদের অমানবিক ভাবনার প্রতিফলন ঘটেছে।
প্র। “একে মারার আগে (এর গলায় যে) ফুলের মালা পরানো হবে, তা গাঁথতে আমার হাত দুটো (এখনই) নিশপিশ করছে।” – বক্তা কে? কোন্ প্রসঙ্গে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন?
(উত্তর) বক্তা : অংশটির বক্তা হলেন কালিদাস রচিত ‘ধীবর-বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশের প্রথম রক্ষী সূচক।
প্রসঙ্গ : ধীবরের মুখে আংটি প্রাপ্তির ঘটনা শুনে রাজরক্ষীরা কখনোই সে-কথা বিশ্বাস করেনি, বরং তারা ধীবরকে চোর সাব্যস্ত করে তাকে 'বাটপাড়', 'গাঁটকাটা' ইত্যাদি কটুকথা বলেছে। এরপর রাজশ্যালক রাজার কাছে যখন প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের জন্য যায়, তখন নীচ মনোভাবাপন্ন প্রথম রক্ষী ধীবরের ভাগ্যে যে মৃত্যুদণ্ড অনিবার্য সেই প্রসঙ্গেই এই মন্তব্যটি করেছে।
প্র। ‘মহারাজ এ সংবাদ শুনে খুশি হবেন?’ – বক্তা কে? মহারাজের নামোল্লেখ করে তাঁর খুশি হওয়ার কারণ নির্দেশ করো।
(উত্তর) বক্তা : উক্তিটির বক্তা হলেন মহারাজা দুষ্মন্তের রক্ষীদ্বয় সূচক ও জানুক।
কারণ : মহারাজা দুষ্মন্ত বিবাহের স্মারক চিহ্নরূপে একটি আংটি শকুন্তলাকে দিয়েছিলেন কিন্তু শচীতীর্থে অঞ্জলি দেওয়ার সময় সেটি হাত থেকে জলে পড়ে যায়। ঘটনাক্রমে একটি মাছের পেট থেকে আংটিটি পেয়ে এক ধীবর বিক্রি করতে গেলে রাজরক্ষীদের হাতে ধরা পড়ে। রক্ষীরা তাকে চোর সাব্যস্ত করে। শেষ অবধি রাজশ্যালক আংটিটি রাজাকে দেখাতে যান। তখন রক্ষীরা প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেন। নিজের আংটি ফিরে পেয়ে অবশ্যই রাজা খুশি হবেন কিন্তু রক্ষীরা কথাটি ব্যঙ্গ করে বলেছে।
প্র। “এ যে শূল থেকে নামিয়ে একেবারে হাতির পিঠে চড়িয়ে দেওয়া হলো” – কে, কেমন পরিস্থিতিতে এমন উক্তি করেছিল?
(উত্তর) কে : প্রশ্নের উক্তিটি করেছিল ‘ধীবর-বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশের প্রথম রক্ষী জানুক।
পরিস্থিতি : রাজরক্ষীরা ধীবরের মুখে আংটি প্রাপ্তির ঘটনা শুনে কখনোই বিশ্বাস করেনি। তারা প্রথম থেকেই ধীবরকে চোর ভেবে তার সঙ্গে কটু আচরণ করেছে এবং তার কঠিনতম শাস্তি কামনা করেছে। অথচ দেখা গেল রাজা তাকে শাস্তি তো দিলেন-ই না বরং পুরস্কৃত করলেন। এতে যথেষ্ট পরিমাণে আশাহত হয় রাজরক্ষী দুজন এবং প্রথম রক্ষী দুঃখের সঙ্গে এই কথা বলে।
পিডিএফ লিঙ্ক নিচে
আমাদের টেলিগ্রাম ও ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হোন
File Name : ধীবরবৃত্তান্ত থেকে ব্যাখ্যাধর্মী 20টি প্রশ্ন
File Format : পিডিএফ
File Language : বাংলা
File Location : গুগল ড্রাইভ
Download Link : ধীবরবৃত্তান্ত থেকে ব্যাখ্যাধর্মী 20টি প্রশ্ন
File Language : বাংলা
File Location : গুগল ড্রাইভ
Download Link : ধীবরবৃত্তান্ত থেকে ব্যাখ্যাধর্মী 20টি প্রশ্ন
-------------------------------------------------------------