HS উচ্চমাধ্যমিক সংস্কৃত ভাষাবিজ্ঞান ভাষাতত্ত্ব থেকে বড়ো প্রশ্ন ২০২২ | দ্বাদশ শ্রেণি | পিডিএফ | HS Class 12 Sanskrit Philology Linguistics Long Question Answer 2022 | PDF Download
HS উচ্চমাধ্যমিক সংস্কৃত ভাষাবিজ্ঞান ভাষাতত্ত্ব থেকে বড়ো প্রশ্ন ২০২২ | দ্বাদশ শ্রেণি | পিডিএফ | HS Class 12 Sanskrit Philology Linguistics Long Question Answer 2022 | PDF Download
[১] ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। [২০১৬][২০১৮]
[উ]
ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা—বিশ্বের বিশাল ভাষাগোষ্ঠী যে আদিম ভাষা থেকে উৎপন্ন হয়েছে, তার নাম ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা। এই ভাষাটির কোনো নিদর্শন এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। তাই এই ভাষাটি আনুমানিক ভাষা। সংস্কৃত, আবেস্তা, প্রাচীন পারসিক, গ্রিক, লাতিন, গথিক প্রভৃতি বিভিন্ন ভাষার ধ্বনিতত্ত্ব ও রূপতত্ত্ব বিশ্লেষণ করে পণ্ডিতগণ একটি কাল্পনিক ভাষার অনুমান করে তার নাম দিয়েছেন ইন্দো-ইউরোপীয়।
ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা বিলুপ্ত হলেও তা থেকে উদ্ভূত ভাষাগুলির তুলনামূলক বিচারের মাধ্যমে ভাষাতাত্ত্বিকগণ ওই মূল ভাষার বিভিন্ন শব্দ কীরূপ ছিল তা অনুমান করেন। যেমন একটি অনুমিত শব্দ হলো *mater (ইন্দো-ইউরোপীয়) > মাতা (সংস্কৃত)।
প্রধান শ্রেণি—প্রায় ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এই ভাষা দশটি শাখার জন্ম দিয়ে বিলুপ্ত হয়। এই দশটি শাখা ‘কেন্তুম্’ এবং ‘সতম্’ নামে দুই ভাগে বিভক্ত। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগুলি এই ‘কেন্তুম্’ এবং ‘সতম’ শাখার অন্তর্গত।
ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার দশটি শাখা—ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার দশটি শাখা হল (১) গ্রিক, (২) ইটালিক, (৩) কেলটিক, (৪) জার্মানিক, (৫) হিট্টাইট, (৬) তুখারীয়, (৭) বাল্টো-স্লাভিক, (৮) অ্যালবানীয়, (৯) আর্মেনীয়, এবং (১০) ইন্দো-ইরানীয়।
মূল্যায়ন—ভাষাতত্ত্ব বিচারে প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা ‘ইন্দো-ইরানীয়’ উপশাখার অন্তর্গত ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত ভারতীয় শ্রেণির একটি ভাষা। সুতরাং, সংস্কৃত ভাষা একদিকে ইন্দো-ইরানীয় উপশাখার সঙ্গে এবং অন্যদিকে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর সঙ্গে নিকট সম্পর্কযুক্ত।
[২] ভারতীয় আর্যভাষা কাকে বলে? এই ভাষার কয়টি স্তর? প্রতিটি স্তর সম্পর্কে অতি সংক্ষিপ্ত ধারণা দাও। [২০১৫]
[অথবা] ভারতীয় আর্যভাষার তিনটি স্তর ও তাদের আনুমানিক প্রচলন কাল উল্লেখ করো। [২০১৮]
[উ]
ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা বিলুপ্ত হলেও তা থেকে উদ্ভূত ভাষাগুলির তুলনামূলক বিচারের মাধ্যমে ভাষাতাত্ত্বিকগণ ওই মূল ভাষার বিভিন্ন শব্দ কীরূপ ছিল তা অনুমান করেন। যেমন একটি অনুমিত শব্দ হলো *mater (ইন্দো-ইউরোপীয়) > মাতা (সংস্কৃত)।
প্রধান শ্রেণি—প্রায় ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এই ভাষা দশটি শাখার জন্ম দিয়ে বিলুপ্ত হয়। এই দশটি শাখা ‘কেন্তুম্’ এবং ‘সতম্’ নামে দুই ভাগে বিভক্ত। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগুলি এই ‘কেন্তুম্’ এবং ‘সতম’ শাখার অন্তর্গত।
ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার দশটি শাখা—ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার দশটি শাখা হল (১) গ্রিক, (২) ইটালিক, (৩) কেলটিক, (৪) জার্মানিক, (৫) হিট্টাইট, (৬) তুখারীয়, (৭) বাল্টো-স্লাভিক, (৮) অ্যালবানীয়, (৯) আর্মেনীয়, এবং (১০) ইন্দো-ইরানীয়।
মূল্যায়ন—ভাষাতত্ত্ব বিচারে প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা ‘ইন্দো-ইরানীয়’ উপশাখার অন্তর্গত ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত ভারতীয় শ্রেণির একটি ভাষা। সুতরাং, সংস্কৃত ভাষা একদিকে ইন্দো-ইরানীয় উপশাখার সঙ্গে এবং অন্যদিকে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর সঙ্গে নিকট সম্পর্কযুক্ত।
[২] ভারতীয় আর্যভাষা কাকে বলে? এই ভাষার কয়টি স্তর? প্রতিটি স্তর সম্পর্কে অতি সংক্ষিপ্ত ধারণা দাও। [২০১৫]
[অথবা] ভারতীয় আর্যভাষার তিনটি স্তর ও তাদের আনুমানিক প্রচলন কাল উল্লেখ করো। [২০১৮]
[উ]
ভারতীয় আর্যভাষা—মূল ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাভাষীর আর্য জাতির যে শাখাটি ভারতবর্ষে প্রবেশ করে, তাকেই আমরা ভারতীয় আর্যভাষা বলি।
ভারতীয় আর্যভাষার স্তর—ভারতীয় আর্যভাষার তিনটি স্তর। এগুলি হল – (১) প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা, (২) মধ্য ভারতীয় আর্যভাষা, (৩) নব্য ভারতীয় আর্যভাষা।
(১) প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা
এই স্তরটির সময়কাল আনুমানিক ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৬০০/৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ। চার বেদ, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক, উপনিষদ্, সূত্রসাহিত্য এই স্তরে রচিত হয়েছে। এই যুগের শেষভাগে শুরু হয় ধ্রুপদি সাহিত্য। বৈয়াকরণ পাণিনি তাঁর 'অষ্টাধ্যায়ী'-তে একে সংস্কৃত/দেবভাষা বলেছেন। এই ভাষায় রচিত উল্লেখযোগ্য রচনাগুলি হল – অশ্বঘোষ, ভাস, কালিদাস, ভবভূতি, বিষুশর্মা প্রমুখের কাব্য, নাটক, গল্পসাহিত্য।
(২) মধ্য ভারতীয় আর্যভাষা
এই স্তরটির সময়কাল আনুমানিক ৬০০/৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৯০০/১০০০ খ্রিস্টাব্দ। পালি ভাষায়– ত্রিপিটক, প্রাকৃত ভাষায়– হালের ‘গাহাসত্তসঈ' (গাথাসপ্তশতী), পৈশাচী প্রাকৃত ভাষায়– গুণাঢ্যের ‘বৃহৎকথা', অবহট্ঠ-তে - সরহের ‘দোহাকোষ' প্রভৃতি এই মধ্য ভারতীয় আর্যভাষায় রচিত।
(৩) নব্য ভারতীয় আর্যভাষা
এই স্তরের আনুমানিক সময়কাল ৯০০/১০০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত। সাহিত্যিক নিদর্শন বলতে ভারতবর্ষের প্রাদেশিক ভাষাগুলি, যেমন – বাংলা, হিন্দি, অসমিয়া, ওড়িয়া, পাঞ্জাবি, গুজরাটি, মারাঠি প্রভৃতি অসংখ্য নব্য ভারতীয় আর্যভাষায় রচিত সাহিত্য।
[৩] ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর মধ্যে ভারতীয় আর্যভাষার স্থান নিরূপণ করো। [২০১৬]
[উ]
ভারতীয় আর্যভাষার স্তর—ভারতীয় আর্যভাষার তিনটি স্তর। এগুলি হল – (১) প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা, (২) মধ্য ভারতীয় আর্যভাষা, (৩) নব্য ভারতীয় আর্যভাষা।
(১) প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা
এই স্তরটির সময়কাল আনুমানিক ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৬০০/৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ। চার বেদ, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক, উপনিষদ্, সূত্রসাহিত্য এই স্তরে রচিত হয়েছে। এই যুগের শেষভাগে শুরু হয় ধ্রুপদি সাহিত্য। বৈয়াকরণ পাণিনি তাঁর 'অষ্টাধ্যায়ী'-তে একে সংস্কৃত/দেবভাষা বলেছেন। এই ভাষায় রচিত উল্লেখযোগ্য রচনাগুলি হল – অশ্বঘোষ, ভাস, কালিদাস, ভবভূতি, বিষুশর্মা প্রমুখের কাব্য, নাটক, গল্পসাহিত্য।
(২) মধ্য ভারতীয় আর্যভাষা
এই স্তরটির সময়কাল আনুমানিক ৬০০/৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৯০০/১০০০ খ্রিস্টাব্দ। পালি ভাষায়– ত্রিপিটক, প্রাকৃত ভাষায়– হালের ‘গাহাসত্তসঈ' (গাথাসপ্তশতী), পৈশাচী প্রাকৃত ভাষায়– গুণাঢ্যের ‘বৃহৎকথা', অবহট্ঠ-তে - সরহের ‘দোহাকোষ' প্রভৃতি এই মধ্য ভারতীয় আর্যভাষায় রচিত।
(৩) নব্য ভারতীয় আর্যভাষা
এই স্তরের আনুমানিক সময়কাল ৯০০/১০০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত। সাহিত্যিক নিদর্শন বলতে ভারতবর্ষের প্রাদেশিক ভাষাগুলি, যেমন – বাংলা, হিন্দি, অসমিয়া, ওড়িয়া, পাঞ্জাবি, গুজরাটি, মারাঠি প্রভৃতি অসংখ্য নব্য ভারতীয় আর্যভাষায় রচিত সাহিত্য।
[৩] ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর মধ্যে ভারতীয় আর্যভাষার স্থান নিরূপণ করো। [২০১৬]
[উ]
সূচনা—ভাষাবিদ্গণ অনুমান করেন খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ শতকের পূর্বে মূল ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠী থেকে একটি অংশ নিজেদের আদি বাসভূমি ত্যাগ করে ভারতবর্ষ ও ইরান পারস্যে প্রবেশ করে। এই শাখার ভাষাকেই বলা হয় ইন্দো-ইরানীয়। সংস্কৃত এসেছে ইন্দো-ইরানীয় ভাষাগোষ্ঠীর একটি শাখা ভারতীয় আর্যভাষা থেকে। তাই ভারতীয় আর্যভাষার গুরুত্ব বেশি।
‘সতম’-এ ইন্দো-ইরানীয়—ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর ‘সতম্’ গুচ্ছের চারটি শাখার মধ্যে 'ইন্দো-ইরানীয়' অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই শাখার দুটি বিভাগ – (১) ভারতীয় আর্যভাষা এবং (২) ইরানীয় আর্যভাষা। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর প্রাচীনতম লিখিত নিদর্শন ভারতীয় আর্যভাষাতেই সংরক্ষিত হয়েছে। সেটি হল ঋগ্বেদ।
ভারতবর্ষে ভারতীয় আর্যভাষা—সমগ্র ভারতবর্ষে ভারতীয় আর্যভাষার প্রাধান্য অনেক বেশি। প্রচীন ভারতীয় আর্যভাষায় কয়েকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো—
(১) দক্ষিণ ভারত ছাড়া সমগ্র ভারতে ভারতীয় আর্যভাষার প্রাধান্য রয়েছে।
(২) এই ভাষা থেকে আগত আধুনিক প্রাদেশিক ভাষার উৎপত্তি হয়েছে, যেমন – বাংলা, হিন্দি, অসমিয়া, ওড়িয়া, পাঞ্জাবি, গুজরাটি, মারাঠি প্রভৃতি।
(৩) ভারতীয় আর্যভাষা থেকে আগত প্রাদেশিক ভাষায় ভারতীয়রা বেশি কথা বলে।
(৪) ভারতীয় আর্যভাষার তিনটি স্তরের সাহিত্যিক নিদর্শনগুলি খুবই সমৃদ্ধ। যেমন – প্রাচীন স্তর: সমগ্র বৈদিক সাহিত্য, ইতিহাস, পুরাণ ও ব্যাপক সংস্কৃত ধ্রুপদি সাহিত্য। মধ্য স্তর : পালি, প্রাকৃত অপভ্রংশে রচিত গ্রন্থাবলি। নব্যস্তর বিভিন্ন প্রাদেশিক ভাষায় রচিত গ্রন্থাবলি। বাংলা হল এই গোষ্ঠীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাষা।
[৪] নব্য ভারতীয় আর্যভাষার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
‘সতম’-এ ইন্দো-ইরানীয়—ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর ‘সতম্’ গুচ্ছের চারটি শাখার মধ্যে 'ইন্দো-ইরানীয়' অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই শাখার দুটি বিভাগ – (১) ভারতীয় আর্যভাষা এবং (২) ইরানীয় আর্যভাষা। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর প্রাচীনতম লিখিত নিদর্শন ভারতীয় আর্যভাষাতেই সংরক্ষিত হয়েছে। সেটি হল ঋগ্বেদ।
ভারতবর্ষে ভারতীয় আর্যভাষা—সমগ্র ভারতবর্ষে ভারতীয় আর্যভাষার প্রাধান্য অনেক বেশি। প্রচীন ভারতীয় আর্যভাষায় কয়েকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো—
(১) দক্ষিণ ভারত ছাড়া সমগ্র ভারতে ভারতীয় আর্যভাষার প্রাধান্য রয়েছে।
(২) এই ভাষা থেকে আগত আধুনিক প্রাদেশিক ভাষার উৎপত্তি হয়েছে, যেমন – বাংলা, হিন্দি, অসমিয়া, ওড়িয়া, পাঞ্জাবি, গুজরাটি, মারাঠি প্রভৃতি।
(৩) ভারতীয় আর্যভাষা থেকে আগত প্রাদেশিক ভাষায় ভারতীয়রা বেশি কথা বলে।
(৪) ভারতীয় আর্যভাষার তিনটি স্তরের সাহিত্যিক নিদর্শনগুলি খুবই সমৃদ্ধ। যেমন – প্রাচীন স্তর: সমগ্র বৈদিক সাহিত্য, ইতিহাস, পুরাণ ও ব্যাপক সংস্কৃত ধ্রুপদি সাহিত্য। মধ্য স্তর : পালি, প্রাকৃত অপভ্রংশে রচিত গ্রন্থাবলি। নব্যস্তর বিভিন্ন প্রাদেশিক ভাষায় রচিত গ্রন্থাবলি। বাংলা হল এই গোষ্ঠীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাষা।
[৪] নব্য ভারতীয় আর্যভাষার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
বা, নব্য ভারতীয় আর্যভাষার সময়সীমা উল্লেখ করে স্তরটি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।
[উ] মধ্য ভারতীয় আর্যভাষার শেষ স্তর হল অর্বাচীন অপভ্রংশ। অপভ্রংশ থেকে অবহট্ঠ হয়ে একাধিক নব্য ভারতীয় আর্যভাষার জন্ম হয়েছে। নব্য ভারতীয় আর্যভাষার সময়সীমা হচ্ছে খ্রিস্টীয় নবম/দশম শতাব্দী থেকে আধুনিক কাল (বর্তমান কাল) পর্যন্ত।
শ্রেণিবিভাগ—ভাষাতত্ত্ববিদগণ নব্য ভারতীয় আর্যভাষার শ্রেণিবিভাগ বিভিন্নভাবে করেছেন। জন্ম-উৎসগত বা ঐতিহাসিক বর্গীকরণ, ভৌগোলিক বর্গীকরণ।
জন্ম-উৎসগত বা ঐতিহাসিক বর্গীকরণ—(ক) পৈশাচী গোষ্ঠী, (খ) মাহারাষ্ট্রী গোষ্ঠী, (গ) শৌরসেনী গোষ্ঠী, (ঘ) অর্ধমাগধী গোষ্ঠী, (ঙ) মাগধী গোষ্ঠী।
ভৌগোলিক বর্গীকরণ—ভাষাচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের অনুসরণে নব্য ভারতীয় আর্যভাষাগুলিকে ছয় ভাগে ভৌগোলিক বর্গীকরণ করা হয়েছে। যেমন, (ক) উত্তর-পশ্চিমা (উদীচ্য), (খ) মধ্যদেশীয়, (গ) প্রাচ্য : বাংলা, ওড়িয়া, অসমিয়া, মৈথিলি, ভোজপুরি। (ঘ) উত্তরা/হিমালয়ী : নেপালি। (ঙ) প্রাচ্য-মধ্য : অবধী, বাঘেলি, ছত্তিশগড়ী। (চ) দাক্ষিণাত্য: মারাঠি ও কোঙ্কনী।
[উ] মধ্য ভারতীয় আর্যভাষার শেষ স্তর হল অর্বাচীন অপভ্রংশ। অপভ্রংশ থেকে অবহট্ঠ হয়ে একাধিক নব্য ভারতীয় আর্যভাষার জন্ম হয়েছে। নব্য ভারতীয় আর্যভাষার সময়সীমা হচ্ছে খ্রিস্টীয় নবম/দশম শতাব্দী থেকে আধুনিক কাল (বর্তমান কাল) পর্যন্ত।
শ্রেণিবিভাগ—ভাষাতত্ত্ববিদগণ নব্য ভারতীয় আর্যভাষার শ্রেণিবিভাগ বিভিন্নভাবে করেছেন। জন্ম-উৎসগত বা ঐতিহাসিক বর্গীকরণ, ভৌগোলিক বর্গীকরণ।
জন্ম-উৎসগত বা ঐতিহাসিক বর্গীকরণ—(ক) পৈশাচী গোষ্ঠী, (খ) মাহারাষ্ট্রী গোষ্ঠী, (গ) শৌরসেনী গোষ্ঠী, (ঘ) অর্ধমাগধী গোষ্ঠী, (ঙ) মাগধী গোষ্ঠী।
ভৌগোলিক বর্গীকরণ—ভাষাচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের অনুসরণে নব্য ভারতীয় আর্যভাষাগুলিকে ছয় ভাগে ভৌগোলিক বর্গীকরণ করা হয়েছে। যেমন, (ক) উত্তর-পশ্চিমা (উদীচ্য), (খ) মধ্যদেশীয়, (গ) প্রাচ্য : বাংলা, ওড়িয়া, অসমিয়া, মৈথিলি, ভোজপুরি। (ঘ) উত্তরা/হিমালয়ী : নেপালি। (ঙ) প্রাচ্য-মধ্য : অবধী, বাঘেলি, ছত্তিশগড়ী। (চ) দাক্ষিণাত্য: মারাঠি ও কোঙ্কনী।
[৫] ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীতে সংস্কৃতের স্থান নির্ধারণ করো। [২০১৬]
[উ]
ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠী—ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগুলিকে প্রধানত দুটি শাখায় ভাগ করা হয়। এগুলি হল (১) কেতুম্ গুচ্ছ এবং (২) সতম্ গুচ্ছ। আবার ‘সতম্’ গুচ্ছের সবচেয়ে বড়ো উপশ্রেণিটি হল – ‘ইন্দো ইরানীয়’। এর দুটি ভাগ, যেমন–-ভারতীয় আর্য (প্রাচীন লিখিত নিদর্শন ‘ঋগ্বেদ’) এবং ইরানীয় আর্যভাষা (প্রাচীন লিখিত নিদর্শন ‘আবেস্তা’)।
‘সতম্’ শাখা ভাষী মানুষেরা মূল ভাষাগোষ্ঠী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজেদের আর্য বলে পরিচয় দিতেন। তাই এই ইন্দো-ইরানীয় শাখাকে ‘আর্য’ শাখাও বলা হয়।
সংস্কৃতের স্থান
ভারতীয় আর্যভাষার প্রচলন প্রধানত ভারতবর্ষে। এর তিনটি স্তর– (১) প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা, (২) মধ্য ভারতীয় আর্যভাষা, (৩) নব্য ভারতীয় আর্যভাষা।
প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার স্তরে পড়ে বৈদিক সংস্কৃত। এর মধ্যে আছে—চার বেদ, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক, উপনিষদ, সূত্রসাহিত্য। প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার শেষ স্তর ধ্রুপদি সংস্কৃত ভাষা। এই স্তরে আছে ভারতবর্ষের দুই প্রধান মহাকাব্য রামায়ণ ও মহাভারত। এই স্তরে বিবর্তন ও পরিণতি দীর্ঘকাল ধরে চলেছে। মোটের উপর ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত সংস্কৃতের সমৃদ্ধির যুগ। এই সময়ের সংস্কৃত সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য রচনা হল অশ্বঘোষ, ভাস, কালিদাস, ভবভূতি, বিষুশর্মা প্রমুখের কাব্য, নাটক, গল্পসাহিত্য প্রভৃতি।
মূল্যায়ন—ভাষাতত্ত্বের ইতিহাসে সংস্কৃতের গুরুত্ব অনেক। কারণ বর্তমানে ভাষাবিজ্ঞানের গবেষণায় প্রধান অংশ জুড়ে রয়েছে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা। তার সঙ্গে সংস্কৃতের সম্পর্ক অসীম।
[৬] কেন্তুম্ গুচ্ছ এবং সতম্ গুচ্ছ কী? উদাহরণসহ এদের পরিচয় দাও। [২০১৫][২০১৭]
[উ] মূল ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীকে কণ্ঠ্য-তালব্য ধ্বনির পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করে ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে ভাষাবিদ Ascoli প্রধানত দু-ভাগে সর্বপ্রথম বিভাজন করেন। সেগুলি হল (১) কেন্তুম্ গুচ্ছ এবং (২) সতম্ গুচ্ছ।
কেন্তুম্ গুচ্ছের পরিচয়
যে শাখায় ইন্দো-ইউরোপীয় কণ্ঠ্য-তালব্য ধ্বনিগুলি শুধুমাত্র কণ্ঠ্যধ্বনিতে পরিণত হয়, সেই শাখার নাম কেন্তুম্।
(১) ইটালিক : এই শাখার প্রধান ভাষা লাতিন। প্রাচীনতম নিদর্শন কিছু প্রত্নলেখ। (২) গ্রিক : গ্রিস সাম্রাজ্যের ভাষা হল গ্রিক। প্রাচীনতম নিদর্শন : ইলিয়াড ও ওডিসি। (৩) জার্মানিক : এই শাখার প্রাচীনতম ভাষা গথিক। (৪) কেলটিক : এই শাখার প্রধান ভাষা ওয়েল্শ্। প্রাচীনতম নিদর্শন : খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর শিলালিপি। (৫) হিট্টাইট (হিট্টীয়) : এশিয়া ও ইউরোপে এই ভাষার প্রসার ছিল। বর্তমানে এটি লুপ্ত। (৬) তুখারীয় : বিংশ শতাব্দীর চিনের অন্তর্গত তুর্কিস্তান থেকে এই ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন আবিষ্কার হয়।
সতম/শতম্ গুচ্ছের পরিচয়
যে শাখায় কণ্ঠ্য-তালব্য ধ্বনিগুলি শিসধ্বনিতে পরিণত হয়েছে, সেই শাখার নাম সতম্।
(১) ইন্দো-ইরানীয় : ইন্দো-ইরানীয় ভাষার এক প্রাচীন ভাষা হল আবেস্তীয় এবং বৈদিক ভাষা। গ্রন্থের নাম—জেন্দ আবেস্তা এবং ঋক্বেদ (২) অ্যালবানীয় : এই ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন ষোড়শ শতাব্দীর বাইবেলের অনুবাদ। (৩) আর্মেনীয় : এই ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন পঞ্চম শতকে বাইবেলের অনুবাদ। (৪) বাল্টো স্লাভিক : এই ভাষা পূর্ব ইউরোপের অর্থাৎ রাশিয়ার কিছু অংশের মানুষের ভাষা।
[৭] ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার দশটি শাখার নাম ও পরিচয় দাও। [২০১৭]
[উ] ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীকে প্রধানত দুটি শাখায় ভাগ করা হয়েছে। (১) কেতুম্ (৬টি) এবং (২) সতম্ (৪টি)। অতএব ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার মোট দশটি শাখা। সেগুলি হল :
কেন্তুম্ শাখা—(১) কেলটিক, (২) গ্রিক, (৩) ইটালিক, (৪) জার্মানিক, (৫) হিট্রাইট, (৬) তুখারীয়।
সতম্ শাখা—(৭) বাল্ল্টো-স্লাভিক, (৮) অ্যালবানীয়, (৯) আর্মেনীয়, (১০) ইন্দো-ইরানীয়।
পরিচয়
(১) কেলটিক : এই ভাষা এক সময়ে মধ্য ও পশ্চিম ইউরোপে ব্যাপক প্রচলিত ছিল। বর্তমান রূপ : আইরিশ ভাষা।
(২) গ্রিক : গ্রিস সাম্রাজের ভাষা হল গ্রিক। প্রাচীনতম নিদর্শন : ইলিয়াড ও ওডিসি।
(৩) ইটালিক : ইটালিক শাখার প্রধান ভাষা লাতিন। বর্তমান রূপ: ইতালীয়, স্পেনীয়, ফরাসি, পোর্তুগিজ ইত্যাদি।
(৪) জার্মানিক : জার্মানিক ভাষার অপর নাম টিউটনিক। এর প্রাচীনতম ভাষা গথিক। ইংরেজি, জার্মান ভাষা এই শাখা থেকে সৃষ্ট।
(৫) হিটাইট : এশিয়া ও ইউরোপে এই ভাষার প্রসার ছিল। বর্তমানে এটি লুপ্ত।
(৬) তুখারীয় : বিংশ শতাব্দীর চিনের অন্তর্গত তুর্কিস্তান থেকে এই ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন আবিষ্কার হয়।
(৭) বাল্টো-স্লাভিক : এই ভাষা পূর্ব ইউরোপের অর্থাৎ রাশিয়ার কিছু অংশের মানুষের ভাষা।
(৮) অ্যালবানীয় : গ্রিসের উত্তর-পশ্চিমে আদ্রিয়াটিক সাগরের পূর্ব উপকূলে এই ভাষাভাষীদের বাস।
(৯) আর্মেনীয় : এই ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন হল পঞ্চম শতকে বাইবেলের অনুবাদ।
(১০) ইন্দো-ইরানীয় : ‘সতম্’ গুচ্ছের শাখাগুলির মধ্যে প্রাচীন সাহিত্যে বিশেষ সমৃদ্ধ হল ইন্দো-ইরানীয় শাখা। ইরানীয় ভাষার নিদর্শন ‘আবেস্তা’ আর ভারতীয় আর্য (আরিয়ান) শাখার নিদর্শন হল ‘বেদ’।
‘সতম্’ শাখা ভাষী মানুষেরা মূল ভাষাগোষ্ঠী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজেদের আর্য বলে পরিচয় দিতেন। তাই এই ইন্দো-ইরানীয় শাখাকে ‘আর্য’ শাখাও বলা হয়।
সংস্কৃতের স্থান
ভারতীয় আর্যভাষার প্রচলন প্রধানত ভারতবর্ষে। এর তিনটি স্তর– (১) প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা, (২) মধ্য ভারতীয় আর্যভাষা, (৩) নব্য ভারতীয় আর্যভাষা।
প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার স্তরে পড়ে বৈদিক সংস্কৃত। এর মধ্যে আছে—চার বেদ, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক, উপনিষদ, সূত্রসাহিত্য। প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার শেষ স্তর ধ্রুপদি সংস্কৃত ভাষা। এই স্তরে আছে ভারতবর্ষের দুই প্রধান মহাকাব্য রামায়ণ ও মহাভারত। এই স্তরে বিবর্তন ও পরিণতি দীর্ঘকাল ধরে চলেছে। মোটের উপর ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত সংস্কৃতের সমৃদ্ধির যুগ। এই সময়ের সংস্কৃত সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য রচনা হল অশ্বঘোষ, ভাস, কালিদাস, ভবভূতি, বিষুশর্মা প্রমুখের কাব্য, নাটক, গল্পসাহিত্য প্রভৃতি।
মূল্যায়ন—ভাষাতত্ত্বের ইতিহাসে সংস্কৃতের গুরুত্ব অনেক। কারণ বর্তমানে ভাষাবিজ্ঞানের গবেষণায় প্রধান অংশ জুড়ে রয়েছে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা। তার সঙ্গে সংস্কৃতের সম্পর্ক অসীম।
[৬] কেন্তুম্ গুচ্ছ এবং সতম্ গুচ্ছ কী? উদাহরণসহ এদের পরিচয় দাও। [২০১৫][২০১৭]
[উ] মূল ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীকে কণ্ঠ্য-তালব্য ধ্বনির পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করে ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে ভাষাবিদ Ascoli প্রধানত দু-ভাগে সর্বপ্রথম বিভাজন করেন। সেগুলি হল (১) কেন্তুম্ গুচ্ছ এবং (২) সতম্ গুচ্ছ।
কেন্তুম্ গুচ্ছের পরিচয়
যে শাখায় ইন্দো-ইউরোপীয় কণ্ঠ্য-তালব্য ধ্বনিগুলি শুধুমাত্র কণ্ঠ্যধ্বনিতে পরিণত হয়, সেই শাখার নাম কেন্তুম্।
(১) ইটালিক : এই শাখার প্রধান ভাষা লাতিন। প্রাচীনতম নিদর্শন কিছু প্রত্নলেখ। (২) গ্রিক : গ্রিস সাম্রাজ্যের ভাষা হল গ্রিক। প্রাচীনতম নিদর্শন : ইলিয়াড ও ওডিসি। (৩) জার্মানিক : এই শাখার প্রাচীনতম ভাষা গথিক। (৪) কেলটিক : এই শাখার প্রধান ভাষা ওয়েল্শ্। প্রাচীনতম নিদর্শন : খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর শিলালিপি। (৫) হিট্টাইট (হিট্টীয়) : এশিয়া ও ইউরোপে এই ভাষার প্রসার ছিল। বর্তমানে এটি লুপ্ত। (৬) তুখারীয় : বিংশ শতাব্দীর চিনের অন্তর্গত তুর্কিস্তান থেকে এই ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন আবিষ্কার হয়।
সতম/শতম্ গুচ্ছের পরিচয়
যে শাখায় কণ্ঠ্য-তালব্য ধ্বনিগুলি শিসধ্বনিতে পরিণত হয়েছে, সেই শাখার নাম সতম্।
(১) ইন্দো-ইরানীয় : ইন্দো-ইরানীয় ভাষার এক প্রাচীন ভাষা হল আবেস্তীয় এবং বৈদিক ভাষা। গ্রন্থের নাম—জেন্দ আবেস্তা এবং ঋক্বেদ (২) অ্যালবানীয় : এই ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন ষোড়শ শতাব্দীর বাইবেলের অনুবাদ। (৩) আর্মেনীয় : এই ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন পঞ্চম শতকে বাইবেলের অনুবাদ। (৪) বাল্টো স্লাভিক : এই ভাষা পূর্ব ইউরোপের অর্থাৎ রাশিয়ার কিছু অংশের মানুষের ভাষা।
[৭] ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার দশটি শাখার নাম ও পরিচয় দাও। [২০১৭]
[উ] ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীকে প্রধানত দুটি শাখায় ভাগ করা হয়েছে। (১) কেতুম্ (৬টি) এবং (২) সতম্ (৪টি)। অতএব ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার মোট দশটি শাখা। সেগুলি হল :
কেন্তুম্ শাখা—(১) কেলটিক, (২) গ্রিক, (৩) ইটালিক, (৪) জার্মানিক, (৫) হিট্রাইট, (৬) তুখারীয়।
সতম্ শাখা—(৭) বাল্ল্টো-স্লাভিক, (৮) অ্যালবানীয়, (৯) আর্মেনীয়, (১০) ইন্দো-ইরানীয়।
পরিচয়
(১) কেলটিক : এই ভাষা এক সময়ে মধ্য ও পশ্চিম ইউরোপে ব্যাপক প্রচলিত ছিল। বর্তমান রূপ : আইরিশ ভাষা।
(২) গ্রিক : গ্রিস সাম্রাজের ভাষা হল গ্রিক। প্রাচীনতম নিদর্শন : ইলিয়াড ও ওডিসি।
(৩) ইটালিক : ইটালিক শাখার প্রধান ভাষা লাতিন। বর্তমান রূপ: ইতালীয়, স্পেনীয়, ফরাসি, পোর্তুগিজ ইত্যাদি।
(৪) জার্মানিক : জার্মানিক ভাষার অপর নাম টিউটনিক। এর প্রাচীনতম ভাষা গথিক। ইংরেজি, জার্মান ভাষা এই শাখা থেকে সৃষ্ট।
(৫) হিটাইট : এশিয়া ও ইউরোপে এই ভাষার প্রসার ছিল। বর্তমানে এটি লুপ্ত।
(৬) তুখারীয় : বিংশ শতাব্দীর চিনের অন্তর্গত তুর্কিস্তান থেকে এই ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন আবিষ্কার হয়।
(৭) বাল্টো-স্লাভিক : এই ভাষা পূর্ব ইউরোপের অর্থাৎ রাশিয়ার কিছু অংশের মানুষের ভাষা।
(৮) অ্যালবানীয় : গ্রিসের উত্তর-পশ্চিমে আদ্রিয়াটিক সাগরের পূর্ব উপকূলে এই ভাষাভাষীদের বাস।
(৯) আর্মেনীয় : এই ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন হল পঞ্চম শতকে বাইবেলের অনুবাদ।
(১০) ইন্দো-ইরানীয় : ‘সতম্’ গুচ্ছের শাখাগুলির মধ্যে প্রাচীন সাহিত্যে বিশেষ সমৃদ্ধ হল ইন্দো-ইরানীয় শাখা। ইরানীয় ভাষার নিদর্শন ‘আবেস্তা’ আর ভারতীয় আর্য (আরিয়ান) শাখার নিদর্শন হল ‘বেদ’।
----------------------------------------------
দ্বাদশ শ্রেণির সংস্কৃতের অন্যান্য লেখা
👉 আর্যাবর্তবর্ননম্
👉 শ্রীমদ্ভাগবতগীতা (কর্মযোগ)
👉 ভাবসম্প্রসারণ
👉 সংস্কৃত ব্যাকরণ
👉 অনুচ্ছেদ রচনা
---------------------------------------------------
---------------------------------------------------
দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস
---------------------------------------------------
****PDF লিঙ্ক নিচে
আমাদের টেলিগ্রাম ও ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হোন
👇👇👇👇
--------------------------
--------------------------
Thank you so much its very help full to me