নবম শ্রেণির ইতিহাস | ৪র্থ অধ্যায় শিল্পবিপ্লব সাম্রাজ্যবাদ উপনিবেশবাদ | 10+ ব্যাখ্যামূলক ৪ নম্বরের প্রশ্ন | Class IX History | Shilpa Biplab 4th Chapter | Descriptive 4 Marks | 4th Chapter | PDF
প্রিয় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা,
আজকে তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো নবম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় || শিল্পবিপ্লব সাম্রাজ্যবাদ উপনিবেশবাদ || ৪ নম্বরের ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | Class IX Class 9 History Question and Answer | 9th History Examination – নবম শ্রেণির ৪র্থ অধ্যায় শিল্পবিপ্লব । ৪ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবে | নবম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবে এগুলি তোমাদের ফাইনাল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
শিল্পবিপ্লব চতুর্থ অধ্যায় থেকে বহুবিকল্প-ভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) | তোমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে নবম শ্রেণির ইতিহাস ৪র্থ অধ্যায় শিল্পবিপ্লব থেকে ৪ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কে আলোচনা করা আছে । আমাদের আশা এই প্রশ্নগুলি তোমাদের পরীক্ষায় খুবই কাজে আসবে।
নবম শ্রেণির ইতিহাস | ৪র্থ অধ্যায় শিল্পবিপ্লব সাম্রাজ্যবাদ উপনিবেশবাদ | 10+ ব্যাখ্যামূলক ৪ নম্বরের প্রশ্ন | Class IX History | Shilpa Biplab 4th Chapter | Descriptive 4 Marks | 4th Chapter | PDF
১. ইংল্যান্ডে কেন শিল্প বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল?
ভূমিকা : আঠারো শতকের দিকে মানুষের দৈহিক শ্রমের পরিবর্তে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে শিল্পের উৎপাদন ব্যবস্থায় যে পরিবর্তন আসে তার ফলে শিল্পবিপ্লব শুরু হয়েছিল। ইংল্যান্ডে প্রথম শিল্পবিপ্লব শুরু হয়েছিল।
ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লবের কারণ
ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লব শুরু হওয়ার কারণগুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো—
- [ক] রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা : দেখা যায় যে টিউডর ও হ্যানোভার বংশের শাসনকালে ইংল্যান্ডের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা শিল্পবিপ্লবের পরিবেশ তৈরি করে।
- [খ] খনিজ : লক্ষ করা যায় ইংল্যান্ডেই লোহা, কয়লা, টিন ও তামা ব্যাপক পরিমানে ইংল্যান্ডের শিল্পায়নে সাহায্য করে।
- [গ] পরিবহনে সুবিধা : ইংল্যান্ডে পণ্য পরিবহনে ব্যাপক সুবিধা ছিল। চারিদিকে অসংখ্য খাল নদী ও সমুদ্র ছিল। তাই খুব কম খরচে পণ্য পরিবহন করা যেত।
- [ঘ] মূলধনের ব্যবহার : কৃষিজাত কাঁচামাল ও খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠেছিল ইংল্যান্ড। এবং অপরদিকে কৃষি ক্ষেত্রে পুঁজির বিরাট মুনাফাকে শিল্পবিপ্লবের মূলধন হিসেবে সার্থকভাবে কাজে লাগিয়েছিল।
উপসংহার : অবশেষে লক্ষ করা যায় ইংল্যান্ডে সমস্ত সুযোগ সুবিধা থাকার কারণে ইংল্যান্ডে প্রথম শিল্পবিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল।
২. ফ্যাক্টরি প্রথা বলতে কী বোঝো?
-----------------------------------------------------------
-----------------------------------------------------------
ভূমিকা : ফ্যাক্টরি প্রথা প্রথমে ইংল্যান্ডের শুরু হয়েছিল। পরে লক্ষ করা যায় ইউরোপের শুরু হয় ফ্যাক্টরি প্রথা, এই প্রথা পরে ফ্যাক্টরি প্রথা বা কারখানা ব্যবস্থায় পরিণত হয়। লক্ষ্য করা যায় আঠারো -ঊনিশ শতকে এই প্রথা শুরু হয়েছিল।
ফ্যাক্টারি প্রথা : উদ্যোগপতি ও শিল্পপতি যখন কুটিরশিল্প ভিওিক উৎপাদন প্রক্রিয়ার গোটা অংশকে একই ছাদের তলায় নিয়ে এসে শিল্প উৎপাদনের ব্যবস্থা করে তখন সেই উৎপাদন কেন্দ্র ফ্যাক্টারি বা কলকারখানা নামে পরিচিত হয় ।
বৈশিষ্ট্য : এই ফ্যাক্টরি প্রথার বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো— (ক) প্রথম পর্বে ফ্যাক্টরি প্রথা ছিল বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। (খ) এই ফ্যাক্টরি প্রথায় প্রচুর উন্নতির মানের যন্ত্রপাতি ছিলো। (গ) এখানে বাষ্পশক্তি ও যন্ত্রপাতির সাহায্য উৎপাদন করা হতো, মজুরের বিনিময়ে শ্রমিক নিয়োগ। (ঘ) এই কারখানা পরিচালনার নির্দিষ্ট নিয়ম-শৃঙ্খলা ছিলো।
ফ্যাক্টরির নাম : ১৭৭০-১৮৭০ খ্রিস্টাব্দের মধ্য ইংল্যান্ডের বস্ত্রশিল্পকে কেন্দ্র করে আধুনিক ফ্যাক্টরি ব্যবস্থা করে ওঠে । এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- জন লম্ব-এর ডার্বির সিল্ক মিল (১৭২১ খ্রি:), ম্যাথু-বোল্টন-এর স্টিম ইঞ্জিন ফ্যাক্টারি প্রভৃতি।
উপসংহার : অবশেষে দেখা যায় ফ্যাক্টরি প্রথা ধনতান্ত্রিক উৎপাদন ব্যবস্থার সূচনা করেছিল এবং আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনও এনেছিল।
৩. টেলিগ্রাফ ব্যবস্থার উপর সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ?
ভূমিকা : শিল্পবিপ্লবের কারণে পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ছিল এক তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। যার একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল 'টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা'।
টেলিগ্রাফ ব্যবস্থার প্রবর্তন : ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্যামুয়েল মার্স ইলেকট্রোমাগনেটিক সিগন্যাল সহযোগে বার্তা মুদ্রিত টেলিগ্রাফ আবিষ্কার করেছিলেন। আবার ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দে উইলিয়াম এফ কুক এবং চার্লস হুহিটস্টোন ইংল্যান্ডের ইউস্টন রেল স্টেশন থেকে ক্যামডেন রেলস্টেশন পর্যন্ত টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা চালু করেন।
টেলিগ্রাফ ব্যবস্থার বিস্তার : ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ পৃথিবীর ২,৪১,৫০০ কিমি এলাকা জুড়ে টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। আবার উনিশ শতকের শেষ ও বিশ শতকের প্রথমে টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা আরো উন্নত হয়ে ওঠে এবং যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে ওঠে।
গুরুত্ব : এই টেলিগ্রাফ-এর ফলাফলগুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো— ১. যেমন ইংল্যান্ডের সঙ্গে রাশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া, আফ্রিকা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ২. বিশ্বের যে কোন জায়গায় যোগাযোগ সম্ভব হয়ে ওঠে।
উপসংহার : অবশেষে দেখা যায় যে রেলপথ পরিবর্তন, সুয়েজ খাল খনন ইত্যাদির মতো টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়ে উঠেছিল।
৪. টিকা লেখো ঘেটো।
ভূমিকা : শিল্পবিপ্লবের ফলে গ্রাম-অঞ্চল থেকে শহরাঞ্চলে অভিপ্রয়াণের কারণে শহরের মধ্য যে ছোট ছোট বসতি গড়ে উঠেছিল, তা ‘ঘেটো’ নামে পরিচিত।
উৎস ও অর্থ : ষোড়শ শতকে গড়ে ওঠা এক প্রক্রিয়া এবং এই প্রক্রিয়া করে এই প্রক্রিয়ায় গড়ে ওঠা ঘেটো ছিলো বিদেশাগত ইহুদীদের বসবাস কেন্দ্র । অপরদিকে ‘ঘেটো’ হলো শহরের একটি নির্দিষ্ট অংশ যেখানে নির্দিষ্ট শ্রেণীর দরিদ্ররা অন্যান্য শ্রেণী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বসবাস করত।
প্রকৃতি : ঘেটোর বাসিন্দারা ছিল—
- ১. তারা খুব গরিব ছিল। এবং তাদের বিভিন্ন পেশায় বিধি নিষেধ ছিল।
- ২. অনেকেই শিল্পক্ষেত্রের শ্রমিক রূপে কাজ করতো এদের মধ্য।
- ৩. ঘেটো এলাকায় ঘরবাড়ি গুলি ছিল খুব ছোটো ছোটো।
- ৪. শহরের অনেক শ্রেণীর মানুষরা ঘেটোর বাসিন্দাদের ঘৃণার চোখে দেখতো।
৫. শিল্প বিপ্লবে নারী সমাজের ভূমিকা লেখো।
-----------------------------------------------------------
-----------------------------------------------------------
ভূমিকা : শিল্পবিপ্লব এমন একটি জিনিস যা নারী সমাজের জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন সাধন করেছিল । এই পরিবর্তনের সাধারণত দুটি দিক ছিলো। যেমন– শিল্পবিপ্লবে নারীরা অংশগ্রহণ করত এবং নারীর মর্যাদারও পরিবর্তন ঘটেছিল।
নারীদের ভূমিকা : শিল্পবিপ্লবের নারীদের বিভিন্ন ভূমিকা লক্ষ করা যায় সেগুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো—
- ১. শ্রমিকরূপে নিয়োগ : বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে নারী শ্রমিকদের নিয়োগ করা হতো । তাদেরকে ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টা করে সপ্তাহে ছয় দিন কাজ করতে হতো।
- ২. দুর্ঘটনার পরিমাণ বৃদ্ধি : নারী শ্রমিকদের ফলে দুর্ঘটনা বৃদ্ধি হয়েছিল । যেমন নারী শ্রমিকের মাথায় দীর্ঘ চুল বা তাদের পোশাক বা শারীরিক গঠনজনিত কারণে দুর্ঘটনার পরিমাণ ছিল বেশি।
- ৩. হেনস্থা : নারী শ্রমিকরা হেনস্থা হতো। পুরুষ শ্রমিক দ্বারা নারী শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হত।
- ৪. অর্থনৈতিক স্বাধীনতা : অর্থনৈতিক উপার্জনক্ষম হয়ে ওঠে নারীরা। ফলে পুরুষ এর প্রতি নির্ভরশীলতা কমে যায়।
- ৫. পরিচারিকার কাজ : শিল্প বিপ্লবের সূত্র ধরে নারীদের একাংশ বুর্জোয়া পরিবার ও ধ্বনি পরিবারে পরিচালিকা রুপে কাজ পেতে শুরু করেছিলো।
উপসংহার : দেখা যায় একদিকে নারী শ্রমিক হিসেবে গৃহের ঘেরাটোপ থেকে বাইরের জগতে প্রবেশ করে, আর অন্যদিকে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করে সামাজিক স্বাধীনতা অর্জন করে ।
৬. এিশক্তি চুক্তি ও এিশক্তি আঁতাত কীভাবে গঠিত হয়েছে?
ভূমিকা : ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলি ঔপনিবেশিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয় তার ফলে শেষ পর্যন্ত ইউরোপ দুটি পরস্পর বিরোধী শক্তি জোটে বিভক্ত হয়ে পড়ে, যেমন– এিশক্তি চুক্তি ও এিশক্তি মৈএী।
এিশক্তি চুক্তি
শক্তিসাম্য বজায় রাখতে বিসমার্ক ফ্রান্সকে ইউরোপীয় রাজনীতিতে এক ঘরে করে রাখতে অস্ট্রিয়া ও রাশিয়াকে নিয়ে তিন সম্রাটের চুক্তি বা ড্রেইকাইজারবুন্ড গঠন করেন (১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দের ২২ শে অক্টোবর)। কাইজার দ্বিতীয় উইলিয়াম রাশিয়ার সঙ্গে সম্পাদিত রি-ইনসিওরেন্স চুক্তি অনাবশ্যক বলে মনে করায় রাশিয়া ফ্রান্সের প্রতি মিত্রতার হাত বাড়িয়ে দেয়। ফলে রাশিয়া সরে আসায় বিসমার্ক গোপনে ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রিয়ার সঙ্গে দ্বিশক্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ফলে দ্বিশক্তি চুক্তি এিশক্তি মৈএীতে রূপান্তরিত হয়। এইভাবে জার্মানি, অস্ট্রিয়া, ইতালির মধ্য এিশক্তি চুক্তি গড়ে ওঠে।
এিশক্তি আঁতাত
ফ্রান্স-রুশ মৈএীর পথ গড়ে তোলে এবং ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে সম্পাদিত হয় ফ্রান্স-রুশ মৈত্রী চুক্তি। ইংল্যান্ডের রাজা সপ্তম এডওয়ার্ড ফ্রান্স পরিদর্শনে যান এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টও ইংল্যান্ড পরিদর্শনে এলে ইঙ্গো-ফ্রান্স মৈত্রীর পরিবেশ গড়ে ওঠে । ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও রাশিয়ার মধ্য পরবর্তীকালে এিশক্তি মৈএী বা এিশক্তি আঁতাত (১৯০৭ খ্রিস্টাব্দ) গড়ে ওঠে।
উপসংহার : পারস্পরবিরোধী দুটি জোট গঠিত হলে যুদ্ধের আশঙ্কায় উভয় জোটই নিজেদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে থাকে।
ভূমিকা : অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয় ভাগে দেখা যায় প্রথমে ইংল্যান্ডে এবং পরে ইউরোপে শিল্প বিপ্লবের প্রসার ঘটেছিল। এই শিল্পবিপ্লব ঘটার ফলে অর্থনীতি ও রাজনীতির ক্ষেত্রে ব্যাপক ফলাফল ঘটেছিল। এই ফলাফল গুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো—
মূল্যায়ন : পরিশেষে বলা যায় যে সা সিমো, রবার্ট ওয়েল প্রমুখ সমাজতন্ত্রবিদরা বলেন যে, শোষণ থেকে মুক্তির পথ হল সমাজতন্ত্র । এইভাবে শিল্প বিপ্লবের ফলাফল লক্ষ করা যায় ।
ভূমিকা : ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয়েছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রত্যক্ষ কারণ ছিল সেরাজেভো হত্যাকান্ড। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছিল।
সেরাজেভো হত্যাকাণ্ড : অস্ট্রিয়ার যুবরাজ আর্ক ডিউক ফ্রান্সিস ফার্দিনান্দ ও তার পত্নীর সোফিয়া সেরাজেভো শহরে ভ্রমণ করেন। ‘ব্ল্যাকহ্যান্ড বিপ্লবী’ নামের সংগঠন-এর সদস্য গ্যাভরিলো প্রিন্সেপ-এর হাতে নিহত হন। ঘটনাটি 'সেরাজেভো হত্যাকান্ড' নামে পরিচিত।
প্রতিক্রিয়া : এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সাধারণত দেখা যায় যে, অস্ট্রিয়া সার্বিয়াকে দায়ী করে। অস্ট্রিয়া বেশ কিছু শর্ত আরোপ করে। অস্ট্রিয়া ক্ষুব্ধ হয়, যার ফলে ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দের ২৮ জুলাই সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে । সার্বিয়ার পক্ষ নেয় রাশিয়া, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স । অপরদিকে বলা যায় যে অস্ট্রিয়ার পক্ষ নেয় জার্মানি, তুরস্ক ও বুলগেরিয়া । এইভাবে গোটা ইউরোপ দুটি শক্তি শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ে ও প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয় ।
উপসংহার : ঐতিহাসিক ল্যাংসাম বলেছেন যে, তৎকালীন ইউরোপীয় পরিস্থিতি যা ছিলো তা যে-কোনো দুর্ঘটনাতেই শান্তি বিঘ্নিত হওয়া সম্ভব ছিলো।
ভূমিকা : আঠারো শতক থেকে উত্তর কানাডা, আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া প্রগতি জায়গায় ইংল্যান্ড বেশ কয়েকটি উপনিবেশ স্থাপন করে। ব্রিটেন বা ইংল্যান্ডের উপনিবেশ গুলির মধ্য ভারত ছিল সর্বশ্রেষ্ঠ উপনিবেশ বা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রত্ন।
ভারত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রত্ন : ভারতের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রত্ন বলা হয়। এই কারণগুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো—
উপসংহার : অবশেষে দেখা যায় সর্বতোভাবেই উপনিবেশ ভারতই ছিল ব্রিটিশদের অত্যন্ত লাভজনক একটি ক্ষেত্র । তাই ভারতকে ‘ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রত্ন’ বলা হয়।
--------------------------------------------
উপসংহার : পারস্পরবিরোধী দুটি জোট গঠিত হলে যুদ্ধের আশঙ্কায় উভয় জোটই নিজেদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে থাকে।
৭. শিল্প বিপ্লবের ফলাফল লেখো।
ভূমিকা : অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয় ভাগে দেখা যায় প্রথমে ইংল্যান্ডে এবং পরে ইউরোপে শিল্প বিপ্লবের প্রসার ঘটেছিল। এই শিল্পবিপ্লব ঘটার ফলে অর্থনীতি ও রাজনীতির ক্ষেত্রে ব্যাপক ফলাফল ঘটেছিল। এই ফলাফল গুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো—
- ১. শিল্প অর্থনীতির বিকাশ : ইংল্যান্ড ও ইউরোপের শিল্পবিপ্লবের ফলে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। এর ফলে কৃষিনির্ভর অর্থনীতির ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে।
- ২. ফ্যাক্টারি প্রথার উদ্ভব : ইংল্যান্ড ও ইউরোপের শিল্পবিপ্লবের ফলে শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে ফ্যাক্টরি প্রথার উদ্ভব ঘটেছিল।
- ৩. মালিক ও শ্রমিক শ্রেণীর উদ্ভব : শিল্পবিপ্লবের ফলে সমাজে একাধিক যেমন পুঁজিপ্রতি মালিক শ্রেণীর উদ্ভব ঘটেছিল। অপরদিকে শ্রমিকরা খুব কষ্টে জীবন কাটাতো।
- ৪. সামাজিক অস্থিরতা : শিল্পবিপ্লবের ফলে সামাজিক অস্থিরতা নেমে আসে। এবং গ্রামের কুটিরশিল্প ধ্বংস হতে থাকে। ফলে শ্রমিকরা যখন শহরে যেত কাজের জন্য সেখানে কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে তাদের জীবনে আরো দুর্দশা নেমে আসত ।
- ৫. শ্রমিক আন্দোলন : শ্রমিকরা ধীরে ধীরে বুঝতে পারে যে সাধারণভাবে তারা শোষণ থেকে মুক্তি লাভ করতে পারবে না। তাই তারা ধীরে ধীরে কারখানার মালিক এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ল।
মূল্যায়ন : পরিশেষে বলা যায় যে সা সিমো, রবার্ট ওয়েল প্রমুখ সমাজতন্ত্রবিদরা বলেন যে, শোষণ থেকে মুক্তির পথ হল সমাজতন্ত্র । এইভাবে শিল্প বিপ্লবের ফলাফল লক্ষ করা যায় ।
৮. সেরাজেভো হত্যাকাণ্ড।
-----------------------------------------------------------
-----------------------------------------------------------
ভূমিকা : ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয়েছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রত্যক্ষ কারণ ছিল সেরাজেভো হত্যাকান্ড। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছিল।
সেরাজেভো হত্যাকাণ্ড : অস্ট্রিয়ার যুবরাজ আর্ক ডিউক ফ্রান্সিস ফার্দিনান্দ ও তার পত্নীর সোফিয়া সেরাজেভো শহরে ভ্রমণ করেন। ‘ব্ল্যাকহ্যান্ড বিপ্লবী’ নামের সংগঠন-এর সদস্য গ্যাভরিলো প্রিন্সেপ-এর হাতে নিহত হন। ঘটনাটি 'সেরাজেভো হত্যাকান্ড' নামে পরিচিত।
প্রতিক্রিয়া : এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সাধারণত দেখা যায় যে, অস্ট্রিয়া সার্বিয়াকে দায়ী করে। অস্ট্রিয়া বেশ কিছু শর্ত আরোপ করে। অস্ট্রিয়া ক্ষুব্ধ হয়, যার ফলে ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দের ২৮ জুলাই সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে । সার্বিয়ার পক্ষ নেয় রাশিয়া, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স । অপরদিকে বলা যায় যে অস্ট্রিয়ার পক্ষ নেয় জার্মানি, তুরস্ক ও বুলগেরিয়া । এইভাবে গোটা ইউরোপ দুটি শক্তি শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ে ও প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয় ।
উপসংহার : ঐতিহাসিক ল্যাংসাম বলেছেন যে, তৎকালীন ইউরোপীয় পরিস্থিতি যা ছিলো তা যে-কোনো দুর্ঘটনাতেই শান্তি বিঘ্নিত হওয়া সম্ভব ছিলো।
৯. ভারত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রত্ন কিভাবে হয়ে উঠেছিল?
ভূমিকা : আঠারো শতক থেকে উত্তর কানাডা, আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া প্রগতি জায়গায় ইংল্যান্ড বেশ কয়েকটি উপনিবেশ স্থাপন করে। ব্রিটেন বা ইংল্যান্ডের উপনিবেশ গুলির মধ্য ভারত ছিল সর্বশ্রেষ্ঠ উপনিবেশ বা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রত্ন।
ভারত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রত্ন : ভারতের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রত্ন বলা হয়। এই কারণগুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো—
- ১. ভারতের অর্থ সম্পদ : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন ডিসরেইলির মতে, ভারতবর্ষ ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রত্ন।
- ২. কাঁচামাল : দেখা যায় ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ভারত থেকে আমদানি করা হতে থাকত।
- ৩. ভারতের বাজার : পণ্যসামগ্রী বিক্রির জন্য ব্রিটেন ভারতের বাজার বেছে নেয়। ইংল্যান্ড উৎপাদিত বস্ত্র-পণ্য ভারতের বাজারে বেশির ভাগটাই বিক্রি হতো।
- ৪. মূলধন বিনিয়োগ : ভারতের রেলপথ নির্মাণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ইস্পাতের প্রায় ১৭ ভাগ ইংল্যান্ড থেকেই এসেছিল এবং ভারতের রেলপথ নির্মাণের জন্য ইংল্যান্ড মূলধন বিনিয়োগ করেছিল।
- ৫. ভারতীয় সম্পদ : দেখা যায় এছাড়া বিভিন্ন খাতে প্রচুর অর্থ সম্পদ ব্রিটিশরা ভারত থেকে নিয়ে যেতে থাকে যা সম্পদের বহির্গমন নামে পরিচিত ।
উপসংহার : অবশেষে দেখা যায় সর্বতোভাবেই উপনিবেশ ভারতই ছিল ব্রিটিশদের অত্যন্ত লাভজনক একটি ক্ষেত্র । তাই ভারতকে ‘ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রত্ন’ বলা হয়।
--------------------------------------------
নবম শ্রেণির ইতিহাস
- প্রথম অধ্যায়
- দ্বিতীয় অধ্যায় ঃ
- তৃতীয় অধ্যায় ঃ উনবিংশ শতকের ইউরোপ থেকে প্রশ্নোত্তর
- চতুর্থ অধ্যায় ঃ শিল্পবিপ্লব থেকে প্রশ্নোত্তর
--------------------------------------------
--------------------------------------------
-----------------------------------------------------------
-----------------------------------------------------------
-------------------------------------------------------------
File Name : শিল্পবিপ্লব সাম্রাজ্যবাদ উপনিবেশবাদ | ব্যাখ্যামূলক ৪ নম্বরের প্রশ্ন
পিডিএফ লিঙ্ক নিচে
আমাদের টেলিগ্রাম ও ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হোন
File Name : শিল্পবিপ্লব সাম্রাজ্যবাদ উপনিবেশবাদ | ব্যাখ্যামূলক ৪ নম্বরের প্রশ্ন
File Format : পিডিএফ
File Language : বাংলা
File Location : গুগল ড্রাইভ
Download Link : শিল্পবিপ্লব সাম্রাজ্যবাদ উপনিবেশবাদ | ব্যাখ্যামূলক ৪ নম্বরের প্রশ্ন
File Language : বাংলা
File Location : গুগল ড্রাইভ
Download Link : শিল্পবিপ্লব সাম্রাজ্যবাদ উপনিবেশবাদ | ব্যাখ্যামূলক ৪ নম্বরের প্রশ্ন
-------------------------------------------------------------