ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা সরল অর্থ | একাদশ শ্রেণির সংস্কৃত | Class XI Sanskrit Story | Brahman-Choura-Pishach-Katha | Gist
প্রিয় একাদশের শিক্ষার্থীরা,
আজকে তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা সরল অর্থ || ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা সরল অর্থ || ১ ও ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর | Class XI History Question and Answer | 11th Sanskrit Examination
'ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা' সরল অর্থ থেকে বহুবিকল্প-ভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) | তোমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা-র সরল অর্থ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে । আমাদের আশা তোমাদের খুবই কাজে আসবে।
পণ্ডিত বিষ্ণুশর্মা রচিত ‘পঞ্চতন্ত্রে’র তৃতীয় তন্ত্র ‘কাকোলূকীয়’ তন্ত্র থেকে নেওয়া হয়েছে।
গল্পাংশ—পরস্পর বিবাদে রত শত্রুরাও সাধারণের উপকারই করে থাকে। যেমন, চোরের দ্বারা ব্রাহ্মণের জীবন এবং ব্রহ্মরাক্ষসের দ্বারা গোরু দুটির জীবন রক্ষা পেয়েছিল।
কোনো এক স্থানে দ্রোণ নামে একজন ব্রাহ্মণ বাস করত। সে বিশেষ বস্ত্র, অনুলেপন, গন্ধদ্রব্য, মালা, অলংকার, পান ইত্যাদির ভোগ থেকে বঞ্চিত ছিল। তার মাথায় চুল, দাড়ি, নখ, লোম বেড়ে গিয়েছিল। ঠাণ্ডা গরম ঝড়বৃষ্টিতে তার শরীর শীর্ণ হয়ে পড়েছিল। তার কোনো এক যজমান দয়াবশত তাকে একজোড়া বাছুর দান করেছিল। ব্রাহ্মণও তাদের বাল্যকাল থেকে ভিক্ষা করে পাওয়া ঘি, তেল, যবাদি দিয়ে হৃষ্টপুষ্ট করে তুলেছিল।
তা দেখে হঠাৎ একদিন এক চোর চিন্তা করল—“আমি এই ব্রাহ্মণের গোরু দুটি চুরি করব”। একথা স্থির করে রাত্রিতে বাঁধার দড়ি নিয়ে যখন অর্ধেক রাস্তা গিয়েছে, এমন সময় ধারালো দাঁতযুক্ত, উঁচু নাক, টকটকে লাল চোখ, শুকনো গাল, ফুলে ওঠা শিরা, নুয়ে পড়া শরীর, আগুনের মতো চুল-দাড়ি এবং—এমন একজনকে দেখল। দেখে ভীত চোর কাঁপতে কাঁপতে জিজ্ঞাসা করল—“আপনি কে?”
সে বলল, “আমি সত্যবচন নামের ব্রহ্মরাক্ষস। তোমার পরিচয় দাও”। সে বলল—আমি ক্রূরকর্মা নামে এক চোর, গরিব ব্রাহ্মণের গোরু দুটি চুরি করতে চলেছি”।
একথা বিশ্বাস করে রাক্ষস বলল, “আমি ষষ্ঠ প্রহরে অর্থাৎ রাত্রিবেলা আহার করি। অতএব সেই ব্রাহ্মণকে আজ ভক্ষণ করব। এটা খুবই সুন্দর ব্যাপার। আমরা দুজনেই এক কাজে এসেছি”।
তারপর তারা দুজনে গিয়ে উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষায় রইল। ব্রাহ্মণ ঘুমিয়ে পড়লে তাকে ভক্ষণের জন্য রাক্ষস গমন করলে চোর বলল, “এটি ঠিক নয়। আমি গরু দুটি চুরি করার পর তুমি এই ব্রাহ্মণকে খেও”।
রাক্ষস বলল, “কোনোভাবে গোরুর শব্দে ব্রাহ্মণ জেগে গেলে আমার সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হবে”।
চোর বলল—“যদি তোমার ভক্ষণের সময় কোনো বাধা আসে তবে আমি গোরুদুটি চুরি করতে পারব না। অতএব আমি গোরুদুটি চুরি করার পর ব্রাহ্মণকে তোমার ভক্ষণ করা উচিত”।
এইভাবে ‘আমি আগে ‘আমি আগে’ করে পরস্পর বিবাদে ও বিরোধের শব্দে ব্রাহ্মণ জেগে উঠল।
তারপর চোর ব্রাহ্মণকে জানাল, “হে ব্রাহ্মণ, এই রাক্ষস আপনাকে খেতে চায়”।
রাক্ষসও বলল, “এই চোর আপনার গোরুদুটিকে চুরি করতে চাইছে”।
এইকথা শুনে ব্রাহ্মণ সাবধানে ইষ্টদেবতার মন্ত্র দ্বারা রাক্ষসের হাত থেকে নিজেকে এবং লাঠি উঁচিয়ে চোরের কাছ থেকে গোরুদুটিকে রক্ষা করল।
-------------------------------------------------------------
File Name : ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা সরল অর্থ
আজকে তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা সরল অর্থ || ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা সরল অর্থ || ১ ও ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর | Class XI History Question and Answer | 11th Sanskrit Examination
'ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা' সরল অর্থ থেকে বহুবিকল্প-ভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) | তোমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা-র সরল অর্থ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে । আমাদের আশা তোমাদের খুবই কাজে আসবে।
ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা সরল অর্থ | একাদশ শ্রেণির সংস্কৃত | Class XI Sanskrit Story | Brahman-Choura-Pishach-Katha | Gist
পণ্ডিত বিষ্ণুশর্মা রচিত ‘পঞ্চতন্ত্রে’র তৃতীয় তন্ত্র ‘কাকোলূকীয়’ তন্ত্র থেকে নেওয়া হয়েছে।
গল্পাংশ—পরস্পর বিবাদে রত শত্রুরাও সাধারণের উপকারই করে থাকে। যেমন, চোরের দ্বারা ব্রাহ্মণের জীবন এবং ব্রহ্মরাক্ষসের দ্বারা গোরু দুটির জীবন রক্ষা পেয়েছিল।
কোনো এক স্থানে দ্রোণ নামে একজন ব্রাহ্মণ বাস করত। সে বিশেষ বস্ত্র, অনুলেপন, গন্ধদ্রব্য, মালা, অলংকার, পান ইত্যাদির ভোগ থেকে বঞ্চিত ছিল। তার মাথায় চুল, দাড়ি, নখ, লোম বেড়ে গিয়েছিল। ঠাণ্ডা গরম ঝড়বৃষ্টিতে তার শরীর শীর্ণ হয়ে পড়েছিল। তার কোনো এক যজমান দয়াবশত তাকে একজোড়া বাছুর দান করেছিল। ব্রাহ্মণও তাদের বাল্যকাল থেকে ভিক্ষা করে পাওয়া ঘি, তেল, যবাদি দিয়ে হৃষ্টপুষ্ট করে তুলেছিল।
তা দেখে হঠাৎ একদিন এক চোর চিন্তা করল—“আমি এই ব্রাহ্মণের গোরু দুটি চুরি করব”। একথা স্থির করে রাত্রিতে বাঁধার দড়ি নিয়ে যখন অর্ধেক রাস্তা গিয়েছে, এমন সময় ধারালো দাঁতযুক্ত, উঁচু নাক, টকটকে লাল চোখ, শুকনো গাল, ফুলে ওঠা শিরা, নুয়ে পড়া শরীর, আগুনের মতো চুল-দাড়ি এবং—এমন একজনকে দেখল। দেখে ভীত চোর কাঁপতে কাঁপতে জিজ্ঞাসা করল—“আপনি কে?”
সে বলল, “আমি সত্যবচন নামের ব্রহ্মরাক্ষস। তোমার পরিচয় দাও”। সে বলল—আমি ক্রূরকর্মা নামে এক চোর, গরিব ব্রাহ্মণের গোরু দুটি চুরি করতে চলেছি”।
একথা বিশ্বাস করে রাক্ষস বলল, “আমি ষষ্ঠ প্রহরে অর্থাৎ রাত্রিবেলা আহার করি। অতএব সেই ব্রাহ্মণকে আজ ভক্ষণ করব। এটা খুবই সুন্দর ব্যাপার। আমরা দুজনেই এক কাজে এসেছি”।
তারপর তারা দুজনে গিয়ে উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষায় রইল। ব্রাহ্মণ ঘুমিয়ে পড়লে তাকে ভক্ষণের জন্য রাক্ষস গমন করলে চোর বলল, “এটি ঠিক নয়। আমি গরু দুটি চুরি করার পর তুমি এই ব্রাহ্মণকে খেও”।
রাক্ষস বলল, “কোনোভাবে গোরুর শব্দে ব্রাহ্মণ জেগে গেলে আমার সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হবে”।
চোর বলল—“যদি তোমার ভক্ষণের সময় কোনো বাধা আসে তবে আমি গোরুদুটি চুরি করতে পারব না। অতএব আমি গোরুদুটি চুরি করার পর ব্রাহ্মণকে তোমার ভক্ষণ করা উচিত”।
এইভাবে ‘আমি আগে ‘আমি আগে’ করে পরস্পর বিবাদে ও বিরোধের শব্দে ব্রাহ্মণ জেগে উঠল।
তারপর চোর ব্রাহ্মণকে জানাল, “হে ব্রাহ্মণ, এই রাক্ষস আপনাকে খেতে চায়”।
রাক্ষসও বলল, “এই চোর আপনার গোরুদুটিকে চুরি করতে চাইছে”।
এইকথা শুনে ব্রাহ্মণ সাবধানে ইষ্টদেবতার মন্ত্র দ্বারা রাক্ষসের হাত থেকে নিজেকে এবং লাঠি উঁচিয়ে চোরের কাছ থেকে গোরুদুটিকে রক্ষা করল।
পিডিএফ লিঙ্ক নিচে
আমাদের টেলিগ্রাম ও ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হোন
File Name : ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা সরল অর্থ
File Format : পিডিএফ
File Language : বাংলা
File Location : গুগল ড্রাইভ
Download Link : ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা সরল অর্থ
File Language : বাংলা
File Location : গুগল ড্রাইভ
Download Link : ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা সরল অর্থ
-------------------------------------------------------------