দশম শ্রেণির ইতিহাসের দ্বিতীয় অধ্যায় | সংস্কার : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর [মান ২] pdf download |
সংস্কার : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর pdf download | দশম শ্রেণির ইতিহাসের দ্বিতীয় অধ্যায়
www.banglaguide.in সমস্ত ক্লাসের প্রশ্নের উত্তর সহজেই পাবে এখানে। নিয়মিত সাজেশান, আলোচনা এখানে পোস্ট করা হয়। নিয়মিত তোমরা এখানে ভিজিট করে দেখে নেবে। কমেন্টে জানাবে কোন বিষয় ভালো লাগলো। কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা চাও তাও লিখবে। পোস্ট ভালো লাগলে শেয়ার করবে।
এই পোষ্টে আলোচনা করা হয়েছে মাধ্যমিক / দশম শ্রেণির ইতিহাসের দ্বিতীয় অধ্যায় ভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর।
প্রশ্নের মান ২ [দুই]
প্রশ্ন-- উনিশ শতকের বাংলার সমাজজীবনের প্রতিফলন লক্ষ করা যায় এমন দুটি পত্রিকার নাম লেখ।
[]
ক. বামাবোধিনী পত্রিকা [সম্পাদক
উমেশ্চন্দ্র দত্ত]
[]
খ. হিন্দু প্যাট্রিয়ট [সম্পাদক
হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়]
[]
গ. গ্রামবার্তা প্রকাশিকা [সম্পাদক হরিনাথ মজুমদার]
প্রশ্ন-- উনিশ শতকের বাংলার সমাজজীবনের প্রতিফলন লক্ষ করা যায় এমন দুটি গ্রন্থের নাম লেখ।
[]
নীলদর্পণ – দীনবন্ধু মিত্র
[]
হুতোম প্যাঁচার নকশা – কালীপ্রসন্ন সিংহ
প্রশ্ন—হিন্দু পেট্রিয়ট পত্রিকার গুরুত্ব লেখ।
প্রশ্ন—বামাবোধিনী পত্রিকার উদ্দেশ্য লেখ।
[]
বামাবোধিনী পত্রিকা ছিল নারী কেন্দ্রিক। বাঙালি নারীদের শিক্ষিত করে তোলার
পাশাপাশি নারীদের প্রতি বঞ্চনা ও শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলাই ছিল এই পত্রিকার
উদ্দেশ্য।
প্রশ্ন—বামাবোধিনী পত্রিকায় কোন কোন বিষয় প্রকাশিত
হত?
[]
সমসাময়িক সমাজের ধর্ম, বিজ্ঞান, ইতিহাস, গ্রাম্য চিকিৎসা, শিশু
পরিচর্যা প্রভৃতি বিষয় এই পত্রিকায় ছাপা হতো।
প্রশ্ন-- ভারতের প্রথম ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় প্রকাশিত পত্রিকার নাম লেখ?
[]
ইংরেজি : বেঙ্গল গেজেট [সম্পাদক
অগাস্টাস হিকি]
[]
বাংলা : দিগদর্শন [ সম্পাদক
মার্শম্যান]
প্রশ্ন--নীলচাষিদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদী কন্ঠ হিসাবে দুটি পত্রিকার নাম লেখ?
[]
পত্রিকার নাম
ক) হিন্দু প্যাট্রিয়ট [সম্পাদক হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়]
খ) গ্রামবার্তা প্রকাশিকা [সম্পাদক হরিনাথ মজুমদার]
প্রশ্ন—হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার গুরুত্ব লেখ।
[]
১। নীলচাষিদের উপর নীলকরদের অত্যাচারের কথা এই পত্রিকায় প্রকাশ
পেত।
[]
২। নারীশিক্ষা ও হিন্দু বিধবা বিষয়ে উৎসাহমূলক রচনা প্রকাশ পেত।
প্রশ্ন—হুতোম প্যাঁচার নকশার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
[]
পুরোনো কলকাতার কথা, গভীর সমাজচেতনা ও হাস্যরস
এই গ্রন্থে আছে।
[]
সমকালীন সামাজিক প্রেক্ষিতে এই গ্রন্থ ভণ্ডামি ও অশ্লীলতা দোষে দুষ্ট
ছিল।
প্রশ্ন—হুতোম প্যাঁচার নকশায় কোন কোন বিষয় সমালোচিত হত?
[]
কালীপ্রসন্ন সিংহ তাঁর গ্রন্থে সমকালীন সমাজের নানাদিক নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন—ক] ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত কলকাতার বাবু সমাজের কর্মকাণ্ড। খ] কলকাতায় বসবাসকারী মানুষের ফন্দিফিকির-জোচ্চুরি বিষয় উল্লেখ করেছেন।
প্রশ্ন—নীলদর্পণের গুরুত্ব লেখ।
[]
নাটকটি নীলবিদ্রোহের পটভূমিতে রচিত। নীলচাষিদের উপর নীলকর সাহেবদের, মহাজনদের অত্যাচারের
কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। তাই এই নাটকটির গুরুতে অপরিসীম।
প্রশ্ন—দেশীয় শিক্ষা বলতে কী বোঝ?
[]
ইংরেজি শিক্ষা প্রচলনের পূর্বে ভারতে দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা শিক্ষাব্যাবস্থাকে
‘দেশীয় শিক্ষা’ বলা হয়েছে
[]
সাধারণত পাঠশালা, টোল, মাদ্রাসা,
মক্তব প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে দেশীয় শিক্ষা প্রদান করা হত।
প্রশ্ন-- ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ আইনের গুরুত্ব লেখ ?
[উঃ] ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ আইন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে
পাশ হয়। শিক্ষাক্ষেত্রে
এই আইনের গুরুত্ব নিম্নরূপ—
ক. ভারতীয়দের শিক্ষার জন্য ১ লক্ষ টাকা ব্যয় করার কথা ঘোষিত হয়। খ. ভারতে জনশিক্ষার দায়িত্ব
কোম্পানির উপর পড়ে। পরবর্তীকালে এই সনদ আইনের কারণে ‘প্রাচ্য-পাশ্চাত্য দ্বন্দ্বে’র সূচনা হয়।
প্রশ্ন-- ‘জেনারেল কমিটি অফ পাবলিক ইনস্ট্রাকশন’ কেন গঠিত হয় ?
১৮২৩ খ্রি:
এই কমিটি গঠিত হয়। কমিটি গঠন করেন লর্ড হেস্টিংস।
[] কারণ- ক. ভারতে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা। খ. শিক্ষার উন্নতিতে কী কী করা উচিত তা
সুপারিশ করা।
প্রশ্ন-- ‘প্রাচ্যবাদী ও পাশ্চাত্যবাদী’ কারা ?
[]
প্রাচ্যবাদী— যেসব শিক্ষাবিদরা দেশীয় শিক্ষার উন্নতিতে সরকারি
টাকা ব্যয় করার পক্ষপাতী ছিলেন। যথা- কোলব্রুক,
এইচ টি প্রিন্সেপ, উইলসন প্রমুখ।
[] পাশ্চাত্যবাদী— যাঁরা পাশ্চাত্য অর্থাৎ
ইংরেজি শিক্ষার উন্নতিতে সরকারি টাকা ব্যয় করার পক্ষপাতী ছিলেন। যথা- অ্যালেকজান্ডার ডাফ,
কলভিন, সান্ডার্স প্রমুখ।
প্রশ্ন—প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দ্বন্দ্ব কী? বা ‘ইভানজেলিক্যাল আন্দোলন’ কী?
[] ১৮১৩ সালের সনদ আইন অনুযায়ী শিক্ষাখাতে যে ১ লক্ষ টাকা ব্যয় করা বলা, তা কোন ক্ষেত্রে ব্যয় হবে তা নিয়ে প্রাচ্যবাদী ও পাশ্চাত্যবাদীদের মধ্যে বিতর্ক দেখা দেয়। একেই ‘প্রাচ্য-পাশ্চাত্য দ্বন্দ্ব’ নামে অভিহিত করা হয়।
[] ১৮৩৫ সালে ‘মেকলে মিনিট’ প্রকাশ পেলে এই দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে।
প্রশ্ন—চুঁইয়ে পড়া নীতি কী?
[] টমাস মেকলে তাঁর প্রস্তাবে জানান যে,
দেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তন করা হবে এবং এই শিক্ষা উচ্চশ্রেণির মাধ্যমে
নিচের শ্রেণিতে প্রসারিত হবে। জল চুঁইয়ে পড়ার নীতি অনুযায়ী মেকলের
এই তত্ত্ব ‘চুঁইয়ে পড়া তত্ত্ব’ নামেই পরিচিত হয়।
প্রশ্ন—মেকলে মিনিট” কী?
[] ১৮৩৫ সালে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
[] টমাস মেকলে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারের
পক্ষে যে প্রস্তাব পেশ করেছিলেন, তা “মেকলে
মিনিট” নামে পরিচিত।
প্রশ্ন-- ‘শ্রীরামপুর ত্রয়ী’ কাদের বলে?
[] ১৮০০ খ্রি: শ্রীরামপুরে
ব্যপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানকার উইলিয়াম কেরি, মার্শম্যান ও উইলিয়ম
ওয়ার্ড— এই তিনজন পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালনের জন্যে ‘শ্রীরামপুর ত্রয়ী’ নামে অভিহিত
হন।
প্রশ্ন—ডেভিড হেয়ার বিখ্যাত কেন?
[] ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে ডেভিড হেয়ারের অবদান রয়েছে।
[] হেয়ার স্কুল গড়ে তোলা ছাড়াও হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করেন। এছাড়া ‘ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি’ এবং ‘ক্যালকাটা স্কুল সোসাইটি’ বিদ্যালয় শিক্ষা প্রসারের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
প্রশ্ন—মিশনারিদের উদ্যোগে কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে?
[] খ্রিস্টান মিশনারিদের উদ্যোগে নিম্নলিখিত প্রতিষ্ঠানগুলি গড়ে উঠেছিল— শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন, কলকাতা জেনারেল অ্যাসেম্বলি ইন্সটিটিউশন, লন্ডন মিশনারি সোসাইটি প্রভৃতি।
প্রশ্ন—‘ঊডের প্রতিবেদন’ বা ‘ম্যাগনাকার্টা’ কী?
[] ১৮৫৪ সালে চার্লস উড এই প্রতিবেদন পেশ করেন।
[] এটি ভারতের শিক্ষাবিষয়ক একটি প্রতিবেদন, যা ম্যাগনাকার্টা নামেও পরিচিত। প্রেসিডেন্সি শহরে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মান করা কথা এই রিপোর্টে বলা হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৮৫৭ সালে এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে।
প্রশ্ন—পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে রামমোহনের দুটি উদ্যোগ লেখ।
[] রামমোহন রায় নিজে অ্যাংলো-হিন্দু স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
[] হেয়ার স্কুল, হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠায় তিনি সহায়তা করেছিলেন।
প্রশ্ন--প্রিভি কাউন্সিল কী?
[]
প্রশ্ন-- এশিয়াটিক সোসাইটি কে কবে প্রতিষ্ঠা করেন ?
[]
স্যার উইলিয়াম জোনস এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন।
[] এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে।
[] প্রতিষ্ঠার কারণ–-ভারতের প্রাচীন সভ্যতার চর্চা, ভারতীয় সাহিত্যের ইংরেজি
অনুবাদ ইত্যাদি কারণে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন-- ‘স্কুল বুক সোসাইটি’ কেন প্রতিষ্ঠিত হয়?
[]
ডেভিড হেয়ার ১৮১৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন।
[] উদ্দেশ্য—১. ইংরেজি ও ভারতীয় ভাষায় ভালো পাঠ্যবই
প্রকাশ করা। ২. শিক্ষার প্রসার ঘটানো।
প্রশ্ন-- মধুসূদন গুপ্ত বিখ্যাত কেন?
[]
আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্রে পণ্ডিত মধুসূদন গুপ্ত একজন উল্লেখযোগ্য চিকিৎসক
ছিলেন। কুসংস্কারকে তোয়াক্কা না করে ভারতীয় চিকিৎসক হিসেবে প্রথম শব-ব্যবছেদ করেন। তিনি একজন প্রথম শ্রেণির সার্জেন ছিলেন।
প্রশ্ন--উনিশ শতকে নারী শিক্ষায় উদ্যোগী দুজনের নাম লেখ।
[]
দুজন ব্যক্তিত্ব : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং
ডেভিড হেয়ার।
প্রশ্ন--পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে উদ্যোগী দুজনের নাম লেখ?
[]
দুজন বিদেশি – ডেভিড হেয়ার ও বেথুন সাহেব ।
[] দুজন ভারতীয় – রাজা রামমোহন রায় এবং রাধাকান্ত দেব।
প্রশ্ন-- নারী শিক্ষার উদ্দেশ্যে বিদ্যাসাগর কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন?
[]
বিদ্যাসাগরের সহায়তায় বেথুন সাহেব গড়ে তোলেন ‘বেথুন
স্কুল’।
[]
নারীশিক্ষার প্রসারে গ্রামাঞ্চলে প্রায় ৩৫টি বালিকা বিদ্যালয় গড়ে তুলেছিলেন।
প্রশ্ন—ব্রাহ্মসমাজের উদ্দেশ্য লেখ।
[] রাজা রামমোহন রায়ের ‘ব্রাহ্মসমাজে’র উদ্দেশ্য ছিল—ক] ব্রহ্মের উপাসনা করা। খ] হিন্দু ধর্মে প্রচলিত কুসংস্কার দূর করা।
প্রশ্ন—আত্মীয় সভা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল?
[] ১৮১৫ সালে রামমোহন রায় এই আত্মীয় সভা প্রতিষ্ঠা করেন।
[] বেদ-উপনিষদ ব্যাখ্যার মাধ্যমে ব্রহ্মবাদ অর্থাৎ একেশ্বরবাদ প্রচার করা। এছাড়া নানা ধর্মীয় সমস্যার আলোচনা এবং সমাধানের বিষয় এই সভায় আলোচিত হত।
প্রশ্ন—সমাজসংস্কারে নব্যবঙ্গ গোষ্ঠীদের ভূমিকা লেখ?
[] ডিরোজিও-র অনুগামীরা হিন্দুধর্মের প্রচলিত কিছু সংস্কার যথা, বহুবিবাহ, বাল্যবিবাহ, কন্যাপণ, সতীদাহ প্রথা, অস্পৃশ্যতা প্রভৃতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিল।
প্রশ্ন—নব্যবঙ্গ আন্দোলন ব্যর্থ হয় কেন?
[] নব্যবঙ্গ গোষ্ঠীর আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছিল বিভিন্ন কারণে, যথা এই আন্দোলন ছিল শহরকেন্দ্রিক, সমাজের সাধারণ মানুষের মাঝে এর কোনো সুপ্রভাব পড়েনি।
[] পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রতি অন্ধ অনুসরণ এই আন্দোলনের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ।
প্রশ্ন--‘নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী’ বলতে কী বোঝ? বা ‘ইয়ং বেঙ্গল’ কারা?
[] হিন্দু কলেজের শিক্ষক হেনরি ডিরোজিও সমাজের প্রচলিত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। তাঁর অনুগামীদের ‘নব্যবঙ্গ’ বা ‘ইয়ংবেঙ্গল’ বলা হয়। [] এই দলের মধ্যে অন্যতম ছিলেন রামতনু লাহিড়ি, রাধানাথ শিকদার, রসিককৃষ্ণ মল্লিক প্রমুখ।
প্রশ্ন--কয়েকজন ডিরোজিও পন্থীর নাম লেখ?
[]রামতনু লাহিড়ি, রাধানাথ শিকদার, রসিককৃষ্ণ মল্লিক, দক্ষিনারঞ্জন মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
প্রশ্ন--ব্রাহ্মসমাজ ভেঙে কী কী শাখার উদ্ভব ঘটে?
আদি ব্রাহ্মসমাজ |
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর |
ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ |
কেশবচন্দ্র সেন |
নববিধান সমাজ |
কেশবচন্দ্র সেন |
সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ |
শিবনাথ শাস্ত্রী |
প্রশ্ন--‘সর্বধর্ম সমন্বয়’ কী?
[]
শ্রীরামকৃষ্ণদেব ‘সর্বধর্ম সমন্বয়ের’ আদর্শ তুলে ধরেন।
[]
রামকৃষ্ণ ধর্মীয় ব্যাপারে ‘যত মত তত পথ’
আদর্শ অনুসরণ করতেন। সব ধর্মই তাঁর কাছে সত্যস্বরূপ ছিল। ধর্মীয় ও সামাজিক ক্ষেত্রে সহনশীলতার
পরিবেশ গড়ে উঠতে এই আদর্শ খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
প্রশ্ন—নব্য বেদান্তবাদ কী?
[]
স্বামী বিবেকান্দ ভারতের আধ্যাত্মবাদের সঙ্গে পাশ্চাত্যের কর্মযোগের
মেলবন্ধন ঘটিয়ে নতুন আদর্শ প্রচার করেন, যা ‘নব্য বেদান্ত’ নামে পরিচিত।
প্রশ্ন—লালন ফকির স্মরণীয় কেন?
[]
লালন ফকির ছিলেন বাউল সাধক। বাউল গানের মধ্যে দিয়ে তিনি মানব ধর্মের
জয়গান গেয়েছেন।
প্রশ্ন--বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী বিখ্যাত কেন?
[]
বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ব্রাহ্মসমাজের অন্যতম একজন নেতা ছিলেন। পরবর্তীকালে ইনি বৈষ্ণব ধর্ম গ্রহণ
করেন এবং তা প্রচার করেন।
প্রশ্ন--বাংলার নবজাগরণ বলতে কী বোঝ?
[]
উনিশ শতকে বাংলায় বহু শিক্ষিত মানুষের হাত ধরে সমাজ, শিক্ষা, ধর্ম প্রভৃতি ক্ষেত্রে সংস্কার সাধন ঘটেছিল,
যা সাধারণ ভাবে ‘বাংলার নবজাগরণ’ নামে অভিহিত হয়।
[]
যদিও এ বিষয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে।
আমাদের টেলিগ্রাম ও ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হোন
👇👇👇👇