জ্ঞানচক্ষু গল্প থেকে 120+ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর, আশাপূর্ণা দেবী, দশম শ্রেণির বাংলা
প্রিয় মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা,
আজকে তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো মাধ্যমিক বাংলা জ্ঞানচক্ষু গল্প আশাপূর্ণা দেবীর || মাধ্যমিক জ্ঞানচক্ষু গল্প থেকে ১ নম্বরের বিকল্প উত্তরধর্মী (MCQ) এবং সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের স ধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর | Ten Bengali Examination - মাধ্যমিক বাংলা থেকে ১ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর | এগুলি তোমাদের ফাইনাল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
৩৪.তপনের পুরো নাম কি ছিল?
[উ] জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের পুরো নাম ছিল তপন কুমার রায় বলে জানা যায় ।
৩৫. ছোটমাসির বিয়েতে মামা বাড়িতে আসার সময় তপনের মা তপনকে তার পড়াশোনার কোন সরঞ্জাম নিতে বাধ্য করেছিলেন ?
[উ] ছোটো মাসির বিয়েতে মামার বাড়িতে আসার সময় হোমটাস্ক এর খাতা সঙ্গে নিতে বাধ্য করেছিলেন তপনের মা বলে জানা যায়।
৩৬. তপনের গল্প ছাপার অক্ষরে বের হওয়ার পিছনে কার অবদান ছিল ?
[উ] তপনের গল্প ছাপার অক্ষরে বের হওয়ার পেছনে ওর ছোটোমেসো মশায়ের অবদান ছিল ।
৩৭.তপনের চেয়ে কত বছরের বড়ো তপনের ছোটো মাসি?
[উ] জ্ঞানচক্ষু গল্পটি আশাপূর্ণা দেবীর লেখা এই গল্পের চরিত্রে তপনের ছোটোমাসি তপনের থেকে আট বছরের বড়ো।
৩৮."ছোটোমাসি একটা গল্প লিখেছি ''---বক্তা কি গল্প লিখেছিল ?
[উ] উদ্ধৃতাংশ টুকুর বক্তা তখন নতুন মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে যে গল্পটি লিখেছিল তার শিরোনাম ছিল 'প্রথম দিন'।
৩৯."তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই। "--কিসের চেয়ে দুঃখের কিছু নেই ?
[উ] নিজের নামে প্রকাশিত গল্প পড়তে বসে যদি অন্যের লেখা লাইন করতে হয় তা যদি শুনতে হয় লেখাটা অন্য কেউ ছাপিয়েছে তাহলে তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই বলে মনে হয়েছে তপনের।
৪০."এমন সময় ঘটলো সেই ঘটনা। "---কোন ঘটনার কথা বলা হয়েছে ?
[উ] এই গল্পে ঘটনা বলতে তপনের ছোটো মাসি আর মেসোর হাতে এক সংখ্যা 'সন্ধ্যাতারা' নিয়ে তপনদের বাড়িতে আসার ঘটনাকে বোঝানো হয়েছে।
৪১.তপন কি উপলক্ষে মামার বাড়িতে এসেছিল?
[উ] জ্ঞানচক্ষু গল্পের মূল চরিত্র তপন তার ছোটো মাসির বিয়ে উপলক্ষে মামার বাড়িতে এসেছিল।
৪২. "আজ আর অন্য কথা নেই,শুধু তপনের গল্পের কথা। এছাড়াও আর একটি কথা ছিল, সেটা কী?
[উ] আরেকটি কথা হল তপনের নতুন মেসোমশায়ের মহত্ত্বের কথা ।
৪৩. প্রথম গল্প লেখার পর তপনের নিজস্ব কি অনুভূতি হয়েছিল?
[উ] প্রথম গল্প লেখার পর তপনের গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল । এবং মাথার চুল খাড়া হয়ে গিয়েছিল ।
৪৪. গল্প লেখার পর বাড়িতে তপনের কি নাম হয়েছিল ?
[উ] গল্প লেখার পর বাড়িতে তপন এর নাম হয়েছিল কবি, সাহিত্যিক, কথাশিল্পী ইত্যাদি।
৪৫.তপনের নতুন মেসোমশাই কী করেন?
[উ] আশাপূর্ণা দেবীর জ্ঞানচক্ষু গল্পের, তপনের নতুন মেসোমশাই যেমন একজন কলেজের প্রফেসর , তেমনি আবার দেখা যায় একজন লেখক ও ।
৪৬.তপনের লেখা প্রথম গল্পটি পড়ে নতুন মেসো কি বলেন?
[উ] তপনের লেখা প্রথম গল্পটি পড়ে নতুন মেসো বলেন যে তপনের হাত আছে এবং চোখ ও আছে। লিখতে বসে ও ওর ভরতি প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি নিয়ে লিখেছে। এটা খুব ভালো ।
৪৭. " যেন নেশায় পেয়েছে "---কাকে কোন নেশায় পেয়েছিল ?
[উ] আশাপূর্ণা দেবীর জ্ঞানচক্ষু গল্পের মূল চরিত্র তপনকে গল্প লেখার নেশায় পেয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
৪৮. 'তাই জানতো না। '----কে কী জানতো না?
[উ] জ্ঞানচক্ষু গল্পের মূল চরিত্র তপন জানতো না যে সত্যিকারের কোন লেখক কে কাছ থেকে কখনো দেখা যায়।
৪৯. "এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের। "--কোন বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের?
[উ] আশাপূর্ণা দেবীর লেখা জ্ঞানচক্ষু গল্পে দেখা যায় গল্প শুনে এবং পড়ে লেখকদের সম্পর্কে তপনের মনে একটা আজগুবি ধারণা গড়ে উঠেছিল ।তারা ওর ছোটমামা বা মেজো কাকুর বা বাবার মতো সাধারণ মানুষ কিনা এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল।
৫০. তপনের মেসোমশাই কোন পত্রিকায় তপনের গল্প ছাপিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন ?
[উ] জ্ঞানচক্ষু গল্পটি আশাপূর্ণা দেবীর লেখা, তপনের মেসোমশাই 'সন্ধ্যাতারা 'পত্রিকায় তপনের গল্প ছাপিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন ।
৫১. "পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে। "---অলৌকিক ঘটনাটি কী?
[উ] তপন কুমার রায়ের লেখা গল্প ছাপার অক্ষরে বেরিয়ে হাজার হাজার ছেলের হাতে ঘোরার কাহিনী ।
৫২".বারে, চমৎকার লিখেছে তো। " —এই বক্তব্যটি কাদের ?
[উ] তপনদের বাড়ির সকলেই যারা তার গল্পে চোখ বুলিয়েছে তার উক্তিটি করেছে ।
৫৩."তপন তোমার গল্প দিব্যি হয়েছে।"--মেসো কেন তপনকে এরকম কথা বলেছিলেন ?
[উ] আসলে মেসো মশাই নতুন বিয়ের শশুর বাড়ির ছেলেকে খুশি করতেই বলেছিলেন।
৫৪. মামার বাড়িতে তপন কি উপলক্ষে এসেছে ?
[উ] জ্ঞানচক্ষু গল্পটি আশাপূর্না দেবীর লেখা, গল্পের প্রধান চরিত্র তপন তার ছোট মাসির বিয়ে উপলক্ষে মামার বাড়িতে এসেছে ।
৫৫. "মাথার চুল খাড়া হয়ে উঠল। "----কেন মাথার চুল খাড়া হয়ে উঠল?
[উ] নতুন মেসো কে দেখে অনুপ্রাণিত তপন স্তব্ধ দুপুরে একাসনে বসে একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলেছিল । এই গল্প লেখার রোমাঞ্চে তার মাথার চুল খারা হয়ে উঠেছিল ।
৫৬. তপনের মাসি কিভাবে হইচই বাদিয়েছিল ?
[উ] তপনের নতুন মেশো মাসায়ের দিবানিদ্রা ভাঙ্গিয়ে ওর মাসি হইচই বাঁধিয়ে ছিল ।
৫৭. "তপন কে যেন আর কখনো না শুনতে হয় "---কোন কথা না শুনতে হয় ?
[উ] তপনকে যেনো এ কথা আর কখনো শুনতে না হয়, " অন্য কেউ তপনের লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে"।
৫৮. "বাবা তোর পেটে পেটে এত! "--কে, কেনো একথা বলেছেন ?
[উ] আশাপূর্ণা দেবীর জ্ঞানচক্ষু গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনের মা তপনকে এ কথা বলেছেন ।
৫৯.বিয়ের পর তপনের ছোটো মাসির হাব-ভাব কেমন হয়েছিল ?
[উ] বিয়ের পর তপনের ছোটো মাসির হাব-ভাব একটু মুরুব্বি মুরুব্বি রকমের হয়েছিল।
৬০. "মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা " —উক্তিটি কার?
[উ] উদ্ধৃতি এই অংশটি আশাপূর্ণা দেবীর জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপনের ছোটো মাসির উক্তি বলে জানা যায়।
৬১. "তপন আর পড়তে পারেনা। " —কেন পড়তে পারেনা ?
[উ] তপন তার নিজের নামে প্রকাশিত গল্পটি পড়তে গিয়ে দেখে কালেকশনের নামে গল্পটাকে নতুন করে লিখেছেন নতুন মেসো । এবং এই গল্পে তপনের অস্তিত্ব নেই। তাই সে পড়তে পারে না।
আজকে তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো মাধ্যমিক বাংলা জ্ঞানচক্ষু গল্প আশাপূর্ণা দেবীর || মাধ্যমিক জ্ঞানচক্ষু গল্প থেকে ১ নম্বরের বিকল্প উত্তরধর্মী (MCQ) এবং সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের স ধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর | Ten Bengali Examination - মাধ্যমিক বাংলা থেকে ১ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর | এগুলি তোমাদের ফাইনাল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
জ্ঞানচক্ষু গল্প থেকে 120+ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর, আশাপূর্ণা দেবী, দশম শ্রেণির বাংলা
জ্ঞানচক্ষু –আশাপূর্ণা দেবী
বহুবিকল্পধর্মী প্রশ্নের উত্তর
১. তপনের ছোটো মাসির বিয়ে হয়ে গেল —কদিন আগে।২. কথাটা শুনে তপনের চোখ —হয়ে গেল? —মার্বেল ।
৩. নতুন মেসোমশাই হলেন তপনের — ছোটো মেসোমশাই।
৪. জ্ঞানচক্ষু গল্পের উৎস হল — কুমকুম গল্পগ্রন্থ ।
৫. নতুন মেসোকে দেখে তপনের কি খুলে গেল? — জ্ঞানচক্ষু ।
৬. "তপনের নতুন মেসোমশাই একজনে লেখক। "--কেমন লেখক? — সত্যিকারের লেখক।
৭. মেসো যখন শ্বশুরবাড়িতে ছিলে – তখন তার — গরমের ছুটি চলছিল ।
৮. " আর সেই সুযোগই দেখতে পাচ্ছে তপন। "--- তপনের যে সুযোগের কথা বলা হয়েছে — একজন লেখক কে দেখবার সুযোগ ।
৯. তপন কী লিখছিল ? — গল্প
১০. আশাপূর্ণা দেবী জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পান — ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে।
১১. নতুন মেসো তপনকে তার লেখা গল্পের ব্যাপারে বলেন — দিব্যি হয়েছে ।
১২. জ্ঞানচক্ষু গল্পের রচয়িতা — আশাপূর্ণা দেবী।
১৩. "এদেশের কিছু হবে না "---উক্তিটি কার ? —তপনের মেসোমশায়ের।
১৪. তপন তার প্রথম গল্পটি লিখছিল, যে সময় —দুপুর বেলা ।
১৫. তপন মামা বাড়িতে আসার সময় তার 'হোমটাস্কের খাতা' এনেছিল কার ইচ্ছায় ? —-মায়ের ।
১৬. " তার মানে তপনকে এখন — বলা চলে "---লেখক ।
১৭. 'মেসো শশুর বাড়িতে এসে রয়েছেন, কারন —-তার গরমের ছুটি চলছিল।
১৮. তপনের গল্পে চোখ বুলিয়ে মাসি বলেছিল — "কোনখান থেকে টুকলিফাই করিস নি তো?"
১৯. "ওমা এ তো বেশ লিখেছিস রে? — তপনের গল্প সম্পর্কে এই উক্তিটি ছিল —তপনের ছোট মাসির।
২০. 'ছাপতে দেওয়া চলে', কী—তপনের লেখা গল্প ।
২১. ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে। —ছড়িয়ে পড়া কথাটি হল —তপনের গল্পের কারেকশনের কথা।
২২. এত কাজ থেকে দেখেনি তপন —কি দেখেনি? —জলজ্যান্ত একজন লেখক কে।
২৩. " আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম। "---উক্তিটি কার ? —তপনের মেজ কাকুর।
২৪. তপনের লেখার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে শোনা যায়নি —মাকে ।
২৫. বাড়ির ঠাট্টা তামাশার আবহাওয়ার মধ্যেই তপন গল্প লিখেছিল —দু -তিনটে ।
২৬. 'তুমি বাবু ওর গল্পটা ছাপিয়ে দিও' — বলেছেন —তপনের ছোটো মাসি ।
২৭. " তা নইলে ফট করে একটা লিখল, আর ছাপা হল —।" —এই মন্তব্যটি করেছে—তপনের বাবা ।
২৮. ' আরে বাবা ক্ষেপছিস কেন? ' —উদ্দিষ্ট ব্যক্তি ক্ষেপছিল কারণ —বক্তা জিজ্ঞেস করেছিল সে টুকলিফাই করছে কিনা।
২৯. ' পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনা ঘটে? —অলৌকিক ঘটনাটি হল —তপনের লেখা গল্প 'সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় ছাপা হয়েছে।
৩০.তপনের ছোট মাসি তপনের চেয়ে —আট বছরের বড়ো।
৩১. তোমার গল্প তো দিব্যি হয়েছে —বলেছেন —তপনের ছোট মেসো।
৩২. তোমার গল্প আমি ঝাঁপিয়ে দেবো —কোথায় ছাপিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন বক্তা? —'সন্ধ্যাতারা'য়।
৩৩. 'জ্ঞানচক্ষু 'গল্পের তপন গল্প লিখে প্রথম জানিয়েছিল তার —ছোটো মাসিকে।
৩৪. তপন তার প্রথম দিন গল্পটি লিখেছিল —তার হোম টাস্কের খাতায় ।
৩৫. 'সন্ধ্যাতারা''পত্রিকায় সূচিপত্রে তপনের পুরো নাম ছিল —শ্রী তপন কুমার রায় ।
৩৬.তামএরকম একটা লেখক মেশো থাকা মন্দ নয় —কথাটি বলেন —মেজো কাকু ।
৩৭. ছুটির সময় তপন আরো দু তিনটে গল্প লিখেছিল —বাড়ির লোককে লুকিয়ে ।
৩৮. 'এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের "---কোন বিষয়ে ? —লেখকেরা যে তপনের বাবা, ছোট মামা বা মেজো কাকুর মত মানুষ।
৩৯." জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের"--এখানে 'জ্ঞানচক্ষু' কথার অর্থ হলো —নতুন জ্ঞান লাভ করা ।
৪০. পেশাগত দিক থেকে মেসোমশাই —কলেজের প্রফেসর ।
৪১.' প্রথম দিন' গল্পটির লেখক —তপন।
৪২. চায়ের টেবিলে তপনের গল্প নিয়ে কথা ওঠে —বিকেলে ।
৪৩. 'তবু ধন্যে ধন্যি করে যায়। "---ধন্য ধন্যি শব্দের অর্থ হলো —উচ্ছ্বাসিত প্রশংসা।
৪৪. তপনের মেশোর কলেজে চলছিল —গরমের ছুটি ।
৪৫.' রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই —এখানে রত্ন ও জহুরি হলো —তপন ও ছোট মেসো ।
৪৬.' তিনি নাকি বই লেখেন '--- তিনি হলেন —তপনের নতুন মেসো মশাই ।
৪৭. তপনের নামে যে লেখাটি 'সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল তার নাম—-প্রথম দিন।
৪৮. জ্ঞানচক্ষু গল্পের ছোট মাসি আত্মপ্রসাদের প্রসন্নতা নিয়ে বসে —ডিম ভাজা আর চা খায় ।
৪৯. "প্রকৃত মূল্য বুঝলে নতুন মেসোই বুঝবে "---কারণ —নতুন মেসো একজন লেখক ।
৫০. "বুকের রক্ত ছলকে ওঠে "---তপনের ।
৫১. গল্প পড়ার পর তপন সংকল্প করে —ভবিষ্যতে নিজের লেখা নিজে গিয়ে ছাপাতে দেবে।
৫২. "তপনের হাত আছে "—এখানে হাত বলতে বোঝানো হয়েছে —-লেখার শক্তি ।
৫৩. নতুন মেসোকে দেখে তপনের যা হলো —জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল ।
৫৪. তপনের ছোট মাসি যখন মেশোর দিকে ধাবিত হয়েছিল তখন তিনি —দিবা নিদ্রা দিচ্ছিলেন ।
৫৫. তপনের মেসো খেয়েছিলেন শুধু —কফি ।
৫৬.' অমুক তপনের লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে '---যার কথা বলা হয়েছে তিনি হলেন —ছোটো মেসো ।
৫৭." তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই তার থেকে —অপমানের ।
৫৮. শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে তপন —কঠোরভাবে সংকল্প করে ।
৫৯. তপনের চিরকালের বন্ধু —তপনের ছোটে মাসি ।
৬০." তপন নিজে গিয়ে দেবে "---কী দেবে? —নিজের কাঁচা লেখা ।
৬১. ছাপাই লেখা গল্পটি পড়তে গিয়ে তপন দেখে এর প্রত্যেকটি লাইন —নতুন ও আনকোরা ।
৬২. তপনের মেসো মশাই কোন পত্রিকায় তপনের লেখা ছাপানোর কথা বলেছিলেন ? —সন্ধ্যাতারা।
৬৩. ছাদে উঠে তপন চোখ মোছে—শার্টের তলা তুলে ।
৬৪. গল্প লেখার পর তপন অনুভব করে ভয়ানক একটা —উত্তেজনা ।
৬৫. মেসো গল্প নিয়ে চলে যাওয়ায় তপন বসে বসে দিন গোনে —কৃতার্থ হয়ে ।
৬৬."যেন নেশায় পেয়েছে "-- কীসের নেশায় ? —গল্প লেখার।
৬৭. এদিকে বাড়িতে তপনের নাম হয়ে গিয়েছে —কবি, সাহিত্যিক, কথাশিল্পী।
৬৮. তপনের মেসো মশাই কোন পত্রিকার সম্পাদক কে চিনতেন—সন্ধ্যাতারা ।
৬৯. তপনের পদবী কী? —রায়।
৫. নতুন মেসোকে দেখে তপনের কি খুলে গেল? — জ্ঞানচক্ষু ।
৬. "তপনের নতুন মেসোমশাই একজনে লেখক। "--কেমন লেখক? — সত্যিকারের লেখক।
৭. মেসো যখন শ্বশুরবাড়িতে ছিলে – তখন তার — গরমের ছুটি চলছিল ।
৮. " আর সেই সুযোগই দেখতে পাচ্ছে তপন। "--- তপনের যে সুযোগের কথা বলা হয়েছে — একজন লেখক কে দেখবার সুযোগ ।
৯. তপন কী লিখছিল ? — গল্প
১০. আশাপূর্ণা দেবী জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পান — ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে।
১১. নতুন মেসো তপনকে তার লেখা গল্পের ব্যাপারে বলেন — দিব্যি হয়েছে ।
১২. জ্ঞানচক্ষু গল্পের রচয়িতা — আশাপূর্ণা দেবী।
১৩. "এদেশের কিছু হবে না "---উক্তিটি কার ? —তপনের মেসোমশায়ের।
১৪. তপন তার প্রথম গল্পটি লিখছিল, যে সময় —দুপুর বেলা ।
১৫. তপন মামা বাড়িতে আসার সময় তার 'হোমটাস্কের খাতা' এনেছিল কার ইচ্ছায় ? —-মায়ের ।
১৬. " তার মানে তপনকে এখন — বলা চলে "---লেখক ।
১৭. 'মেসো শশুর বাড়িতে এসে রয়েছেন, কারন —-তার গরমের ছুটি চলছিল।
১৮. তপনের গল্পে চোখ বুলিয়ে মাসি বলেছিল — "কোনখান থেকে টুকলিফাই করিস নি তো?"
১৯. "ওমা এ তো বেশ লিখেছিস রে? — তপনের গল্প সম্পর্কে এই উক্তিটি ছিল —তপনের ছোট মাসির।
২০. 'ছাপতে দেওয়া চলে', কী—তপনের লেখা গল্প ।
২১. ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে। —ছড়িয়ে পড়া কথাটি হল —তপনের গল্পের কারেকশনের কথা।
২২. এত কাজ থেকে দেখেনি তপন —কি দেখেনি? —জলজ্যান্ত একজন লেখক কে।
২৩. " আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম। "---উক্তিটি কার ? —তপনের মেজ কাকুর।
২৪. তপনের লেখার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে শোনা যায়নি —মাকে ।
২৫. বাড়ির ঠাট্টা তামাশার আবহাওয়ার মধ্যেই তপন গল্প লিখেছিল —দু -তিনটে ।
২৬. 'তুমি বাবু ওর গল্পটা ছাপিয়ে দিও' — বলেছেন —তপনের ছোটো মাসি ।
২৭. " তা নইলে ফট করে একটা লিখল, আর ছাপা হল —।" —এই মন্তব্যটি করেছে—তপনের বাবা ।
২৮. ' আরে বাবা ক্ষেপছিস কেন? ' —উদ্দিষ্ট ব্যক্তি ক্ষেপছিল কারণ —বক্তা জিজ্ঞেস করেছিল সে টুকলিফাই করছে কিনা।
২৯. ' পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনা ঘটে? —অলৌকিক ঘটনাটি হল —তপনের লেখা গল্প 'সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় ছাপা হয়েছে।
৩০.তপনের ছোট মাসি তপনের চেয়ে —আট বছরের বড়ো।
৩১. তোমার গল্প তো দিব্যি হয়েছে —বলেছেন —তপনের ছোট মেসো।
৩২. তোমার গল্প আমি ঝাঁপিয়ে দেবো —কোথায় ছাপিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন বক্তা? —'সন্ধ্যাতারা'য়।
৩৩. 'জ্ঞানচক্ষু 'গল্পের তপন গল্প লিখে প্রথম জানিয়েছিল তার —ছোটো মাসিকে।
৩৪. তপন তার প্রথম দিন গল্পটি লিখেছিল —তার হোম টাস্কের খাতায় ।
৩৫. 'সন্ধ্যাতারা''পত্রিকায় সূচিপত্রে তপনের পুরো নাম ছিল —শ্রী তপন কুমার রায় ।
৩৬.তামএরকম একটা লেখক মেশো থাকা মন্দ নয় —কথাটি বলেন —মেজো কাকু ।
৩৭. ছুটির সময় তপন আরো দু তিনটে গল্প লিখেছিল —বাড়ির লোককে লুকিয়ে ।
৩৮. 'এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের "---কোন বিষয়ে ? —লেখকেরা যে তপনের বাবা, ছোট মামা বা মেজো কাকুর মত মানুষ।
৩৯." জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের"--এখানে 'জ্ঞানচক্ষু' কথার অর্থ হলো —নতুন জ্ঞান লাভ করা ।
৪০. পেশাগত দিক থেকে মেসোমশাই —কলেজের প্রফেসর ।
৪১.' প্রথম দিন' গল্পটির লেখক —তপন।
৪২. চায়ের টেবিলে তপনের গল্প নিয়ে কথা ওঠে —বিকেলে ।
৪৩. 'তবু ধন্যে ধন্যি করে যায়। "---ধন্য ধন্যি শব্দের অর্থ হলো —উচ্ছ্বাসিত প্রশংসা।
৪৪. তপনের মেশোর কলেজে চলছিল —গরমের ছুটি ।
৪৫.' রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই —এখানে রত্ন ও জহুরি হলো —তপন ও ছোট মেসো ।
৪৬.' তিনি নাকি বই লেখেন '--- তিনি হলেন —তপনের নতুন মেসো মশাই ।
৪৭. তপনের নামে যে লেখাটি 'সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল তার নাম—-প্রথম দিন।
৪৮. জ্ঞানচক্ষু গল্পের ছোট মাসি আত্মপ্রসাদের প্রসন্নতা নিয়ে বসে —ডিম ভাজা আর চা খায় ।
৪৯. "প্রকৃত মূল্য বুঝলে নতুন মেসোই বুঝবে "---কারণ —নতুন মেসো একজন লেখক ।
৫০. "বুকের রক্ত ছলকে ওঠে "---তপনের ।
৫১. গল্প পড়ার পর তপন সংকল্প করে —ভবিষ্যতে নিজের লেখা নিজে গিয়ে ছাপাতে দেবে।
৫২. "তপনের হাত আছে "—এখানে হাত বলতে বোঝানো হয়েছে —-লেখার শক্তি ।
৫৩. নতুন মেসোকে দেখে তপনের যা হলো —জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল ।
৫৪. তপনের ছোট মাসি যখন মেশোর দিকে ধাবিত হয়েছিল তখন তিনি —দিবা নিদ্রা দিচ্ছিলেন ।
৫৫. তপনের মেসো খেয়েছিলেন শুধু —কফি ।
৫৬.' অমুক তপনের লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে '---যার কথা বলা হয়েছে তিনি হলেন —ছোটো মেসো ।
৫৭." তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই তার থেকে —অপমানের ।
৫৮. শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে তপন —কঠোরভাবে সংকল্প করে ।
৫৯. তপনের চিরকালের বন্ধু —তপনের ছোটে মাসি ।
৬০." তপন নিজে গিয়ে দেবে "---কী দেবে? —নিজের কাঁচা লেখা ।
৬১. ছাপাই লেখা গল্পটি পড়তে গিয়ে তপন দেখে এর প্রত্যেকটি লাইন —নতুন ও আনকোরা ।
৬২. তপনের মেসো মশাই কোন পত্রিকায় তপনের লেখা ছাপানোর কথা বলেছিলেন ? —সন্ধ্যাতারা।
৬৩. ছাদে উঠে তপন চোখ মোছে—শার্টের তলা তুলে ।
৬৪. গল্প লেখার পর তপন অনুভব করে ভয়ানক একটা —উত্তেজনা ।
৬৫. মেসো গল্প নিয়ে চলে যাওয়ায় তপন বসে বসে দিন গোনে —কৃতার্থ হয়ে ।
৬৬."যেন নেশায় পেয়েছে "-- কীসের নেশায় ? —গল্প লেখার।
৬৭. এদিকে বাড়িতে তপনের নাম হয়ে গিয়েছে —কবি, সাহিত্যিক, কথাশিল্পী।
৬৮. তপনের মেসো মশাই কোন পত্রিকার সম্পাদক কে চিনতেন—সন্ধ্যাতারা ।
৬৯. তপনের পদবী কী? —রায়।
সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন
১.বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের—কখন তপনের এরকম অবস্থা হয় ?[উ] তপনের ছোট মাসি আর মেসো একদিন বেড়াতে এলে হাতে এক সংখ্যার' সন্ধ্যাতারা ' পত্রিকা যখন তখন দেখে তখন তার বুকের রক্ত ছলকে ওঠে ।
২. তপনের লেখা গল্পের বিষয় কি ছিল?
[উ] তপনের লেখা গল্পের বিষয় ছিল ওর ভরতি হাওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা আর অনুভূতি।
৩.তপনের গল্প পড়ে ছোটো মাসি কি বলেছিল?
[উ] তপনের গল্প পড়ে ছোটো মাসি বলেছিল যে সে বেশ লিখেছে এবং জানতে চেয়েছিল কোনখান থেকে টুকলি ফাই করেছে কিনা ।
৪. ওমা এত বেশ লিখছিস রে —কে কাকে এ কথা বলেছে?
[উ] জ্ঞানচক্ষু গল্পের মূল চরিত্র তপনের ছোটো মাসি তপনকে এ কথা বলেছে ।
৫.তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল —কেনো চোখ মারবেল হয়ে গেল ?
[উ] তপন যখন জানতে পারলো তার নতুন মেসোমশাই একজন লেখক। তারপর তিনি অনেক বই লেখেন, সেই সব বই ছাপাও হয়েছে, তখন বিষ্ময়ে তার চোখ মার্বেল হয়ে গেল ।
৬. তবে তপনেরই বা লেখক হতে বাধা কী? — কানে বাধা নেই কেন ?
[উ] নতুন মেসোকে দেখে তপন বুঝতে পারে যে লেখকরা আকাশ থেকে পড়া জাতীয় কোন জীব নয়। তারা সাধারণ মানুষ । তাই তপনেরও লেখক হতে কোন বাধা নেই ।
৭.তপনের লেখা প্রথম গল্পটির নাম কী ছিল?
[উ] আশাপূর্ণা দেবীর 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পে ছিল কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনের লেখা প্রথম গল্পের নাম ছিল' প্রথম দিন '।
৮."ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে। "----কোন কথা ছড়িয়ে পড়েছিল ?
[উ] তপনের মেসো পতপনের লেখা গল্পটি একটু আধটু কারেকশন করে দিয়েছে বলে পত্রিকায় বেরিয়েছে । এবং এই কথাটি ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েছিল ।
৯.রত্নের মূল্য জহুরীর কাছেই—এই কথার অর্থ কী?
[উ] এটি একটি প্রচলিত প্রবাদ । যার অর্থ হলো ঘুমের কদর জানেন শুধু উনি ব্যক্তি । এবং নতুন মেসো যেহেতু একজন লেখক সেহেতু তিনি তপনের লেখাটির মূল্য বুঝেছেন ।
১০. তপন তার বাবা ছোটোমামা ও মেজো কাকুর মতো নতুন লেখক মেসোমশাইয়ের মধ্য কি কি মিল খুঁজে পেয়েছিল?
[উ] মেসোমশাই ও তপনের বাবা-মামা এবং কাকুর মতো দাড়ি কামান, সিগারেট খান, খেতে বসে অর্ধেক খাবার তুলে দেন, চান করেন চানের সময়,ঘুমানোর সময় ঘুমান এবং খবরের কাগজ পড়েন সিনেমা ও দেখেন।
১১. আর দুদ্দাড়িয়ে নিচে নেমে এসে —ছোটো মাসিকেই বলে বসে —তপন তার ছোটো মাসি কে কি বলেছিল?
[উ] 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পের প্রধান চরিত্র তপন তার ছোটো মাসিকে বলেছিল "ছোট মাসি একটা গল্প লিখেছি "।
১২. "তপন ও লজ্জায় ভেঙে পড়তে যায়। " —তপনের লজ্জার কারণ কী?
[উ] তখন তার নামে প্রকাশিত গল্পটি পড়তে গিয়ে দ্যাখে কারেকশনের নামে গল্পটাকে ছোট মেসো গল্পটা কে এতটাই বদলে দিয়েছে যে গল্পে তার অস্তিত্ব প্রায়ই নেই । তাই নিজের নামে অন্যের গল্প পড়তে হয়েছে বলেই লজ্জা ।
১৩." সেই সুযোগেই দেখতে পাচ্ছে তখন "----তপন কোন সুযোগ কী দেখতে পাচ্ছে ?
[উ] তপনের ছোটো মেসো যিনি একজন লেখক। কয়েকটি দিনের জন্য শ্বশুরবাড়িতে এসে রয়ে গেছেন। এই সুযোগে তপন দেখতে পাচ্ছে যে লেখকরা আকাশ থেকে পড়া কোনো অদ্ভুত জীব নয় ।
১৪. "এইসব মাল মসলা নিয়ে বসে" —কোন মাল মসলার কথা বলা হয়েছে ?
[উ] তপনের ছোটো মেসো জানিয়েছেন যে, তার বয়সী ছেলেমেয়েরা গল্প লিখতে গেলে রাজা রানীর গল্প লিখে নতুবা খুন, যখম, অ্যাক্সিডেন্ট কিংবা না খেতে পেয়ে মরে যাওয়া ইত্যাদি মাল মসলা নিয়ে বসে ।
১৫. " আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন । " — কোন দিনটা সবচেয়ে দুঃখের দিন ?
[উ] মায়ের নির্দেশ তার নিজের নামে প্রকাশিত গল্পটি পড়তে গিয়ে তপন দেখে যে কারেকশনের নামে গল্পটিকে নতুন করে লেখা হয়েছে । তখন তাকে পড়তে হয়েছে নিজের নামে প্রকাশিত অন্যের গল্প । এইজন্য দিনটি দুঃখের দিন ।
১৬."কাজেই গল্প জিনিসটা যে কি সেটা জানতে তো বাকি নেই । "---তপনের এই জানা হয়ে উঠেছিল কিভাবে ?
[উ] কারণ গল্প জিনিসটা যে কি সেটা তপনের জানা হয়ে উঠেছিল। ছেলেবেলা থেকে সে যেমন অনেক গল্প শুনেছে তেমনি অনেক গল্প পড়েছে ।
১৭. "আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম। "----কীসের চেষ্টার কথা বলা হয়েছে?
[উ] আশাপূর্ণা দেবীর 'জ্ঞানচক্ষু' গল্প থেকে উদ্ধৃত এই অংশে তপনের মতো গল্প লেখার চেষ্টার কথা বলা হয়েছে।
১৮."তাই এই ভয়ানক আনন্দের খবরটা ছোট মাসিকে সর্বাগ্রে দিয়ে আসবো বসে। "---আনন্দের খবর কোনটি ছিল?
[উ] জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রধান চরিত্র তপন একটি গল্প লেখেছিল । এবং সেই গল্প লেখার খবরের কথা এখনে বলা হয়েছে ।
১৯." তিনি নাকি বই লেখেন "--- কার কথা বলা হয়েছে ?
[উ] 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পের মূল চরিত্র তপনের ছোটো মাসির বিয়ে হয়েছিল যে অধ্যাপকের সঙ্গে তিনি একজন লেখক । তার অনেক বই ছাপাও হয়েছে । এখানে তারই কথা বলা হয়েছে ।
২০."জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনে "---- কিভাবে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল ?
[উ] তপন যখন দেখল তার নতুন মেসো একজন লেখক হওয়া সত্ত্বেও তার বাবা ছোটো মামা বা মেজ কাকুর মতই সাধারণ মানুষ। তখন তার সন্দেহ দূর হলো এবং তার জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল।
২১. "আরে বাবা ক্ষেপছিস কেন? " —উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কেন ক্ষেপছিল ?
[উ] তপনের লেখা গল্প পড়ে বক্তা জানতে চেয়েছিল যে সে কোনোখান থেকে টুকলি ভাই পড়েছে কিনা । এবং অপমানজনক এই জিজ্ঞাসাই তপন ক্ষেপে গিয়েছিল।
২২. সন্ধ্যাতারাই তপনের গল্প ছেপে বেরোতে ওর মেজো কাকু কি বলেছেন?
[উ] তপনের গল্প সন্ধ্যা তারা পত্রিকায় ছেপে বেরোলে ওর মেজো কাকু বলেন, তা ওরকম একটি লেখক মেশো থাকা মন্দ নয় । আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম ।
২৩. গল্পটা ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদিটা হবার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না। " —উদ্দিষ্ট ব্যক্তির আহ্লাদিত না হতে পারার কারণ কী?
[উ] 'সন্ধ্যাতারা 'পএিকায়' তপনের গল্প ছাপা হলেও সকলেই তপনের প্রতিভার তুলনায় নতুন মেসোরা অবদান টাকেই বড়ো করে দেখতে থাকে তাই যে আহ্লাদ তা হবার কথা ছিল তা আর জাগেনি।
২৪. "সূচিপত্রের নাম রয়েছে। " —সূচিপত্রে কী লেখা ছিল ?
[উ] 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পের কিশোর তপনের লেখা গল্প 'সন্ধ্যাতারা 'পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সেই পত্রিকার সূচিপত্রে লেখা ছিল – 'প্রথম দিন ' শ্রী তপন কুমার রায় ।
২৫. "শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন "---তপন কি সংকল্প করে ?
[উ] জ্ঞানচক্ষু গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপন তার চরম দুঃখের মুহূর্তে সংকল্প করে সে যদি কখনো তার লেখা গল্প ছাপাতে দেয় তবে নিজে গিয়ে দেবে । এতে তার কাঁচা লেখা ছাপা না হলে না হবে।
২৬."মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা "---কোনটা মেসোর উপযুক্ত কাজ ?
[উ] মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন যে গল্পটি লিখে ফেলেছে সেই গল্পটি পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়াটাকে মেসোর উপযুক্ত কাজ বলে উল্লেখ করেছেন তপনের ছোট মাসি।
২৭."একটু কারেকশন " করে ইয়ে করে দিলে ছাপাতে দেওয়া চলে। " —কে কি ছাপানোর কথা বলেছেন?
[উ] বিখ্যাত গল্পকার আশাপূর্ণা দেবীর 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের লেখা গল্প তার লেখক নতুন ছোটোমেসো পত্রিকায় ছাপানোর কথা বলেছেন ।
২৮." এটা খুব ভালো "---বক্তা কোন বিষয়টাকে খুব ভালো বলেছেন?
[উ] তপন গল্প লিখতে বসে রাজা রানীর গল্প, খুন যখন এক্সিডেন্ট ইত্যাদি । লিখেছে ভরতি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতির বিষয় এটা খুব ভালো ।
২৯. লেখকদের সম্পর্কে তপনের কী ধারনা ছিল ?
[উ] অনেক গল্প পড়ে পড়ে লেখকদের ক্ষমতায় বিস্মিত তপনের মনে হতো যে তারা সাধারন কোন মানুষ নন। তারা যেন আকাশ থেকে পড়া জাতীয় কোনো জীব ।
৩০. "সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়। "---শোরগোলের কারণ কী?
[উ] তপনের বাড়ির লোক সচক্ষে দেখতে পাই তপনের লেখা গল্প পত্রিকায় ছাপার অক্ষরে বেরিয়েছে। তাই বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায় ।
৩১.'জ্ঞানচক্ষু 'গল্পটি লেখক এর নাম কী? কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
[উ] 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পটির লেখক এর নাম আশাপূর্ণা দেবী। তার' কুমকুম' শীর্ষক গল্পগ্রন্থ থেকে উল্লিখিত গল্পটি নেওয়া হয়েছে ।
৩২. "মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা "---কাজটি কী?
[উ] তপনের গল্প পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করাকে মেসোর উপযুক্ত কাজ বলেছে ওর ছোটো মাসি ।
৩৩. "তপন প্রথমটা ভাবে ঠাট্টা "--কখন তপনের মনের এই ভাবনা দূর হয়?
[উ] যখন তপন তার নতুন মেসোর মুখে করুণ্যর ছাপ লক্ষ্য করে তখন তিনি ঠাট্টা করেছেন কিনা এই ভাবনা দূর হয় ।
২. তপনের লেখা গল্পের বিষয় কি ছিল?
[উ] তপনের লেখা গল্পের বিষয় ছিল ওর ভরতি হাওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা আর অনুভূতি।
৩.তপনের গল্প পড়ে ছোটো মাসি কি বলেছিল?
[উ] তপনের গল্প পড়ে ছোটো মাসি বলেছিল যে সে বেশ লিখেছে এবং জানতে চেয়েছিল কোনখান থেকে টুকলি ফাই করেছে কিনা ।
৪. ওমা এত বেশ লিখছিস রে —কে কাকে এ কথা বলেছে?
[উ] জ্ঞানচক্ষু গল্পের মূল চরিত্র তপনের ছোটো মাসি তপনকে এ কথা বলেছে ।
৫.তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল —কেনো চোখ মারবেল হয়ে গেল ?
[উ] তপন যখন জানতে পারলো তার নতুন মেসোমশাই একজন লেখক। তারপর তিনি অনেক বই লেখেন, সেই সব বই ছাপাও হয়েছে, তখন বিষ্ময়ে তার চোখ মার্বেল হয়ে গেল ।
৬. তবে তপনেরই বা লেখক হতে বাধা কী? — কানে বাধা নেই কেন ?
[উ] নতুন মেসোকে দেখে তপন বুঝতে পারে যে লেখকরা আকাশ থেকে পড়া জাতীয় কোন জীব নয়। তারা সাধারণ মানুষ । তাই তপনেরও লেখক হতে কোন বাধা নেই ।
৭.তপনের লেখা প্রথম গল্পটির নাম কী ছিল?
[উ] আশাপূর্ণা দেবীর 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পে ছিল কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনের লেখা প্রথম গল্পের নাম ছিল' প্রথম দিন '।
৮."ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে। "----কোন কথা ছড়িয়ে পড়েছিল ?
[উ] তপনের মেসো পতপনের লেখা গল্পটি একটু আধটু কারেকশন করে দিয়েছে বলে পত্রিকায় বেরিয়েছে । এবং এই কথাটি ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েছিল ।
৯.রত্নের মূল্য জহুরীর কাছেই—এই কথার অর্থ কী?
[উ] এটি একটি প্রচলিত প্রবাদ । যার অর্থ হলো ঘুমের কদর জানেন শুধু উনি ব্যক্তি । এবং নতুন মেসো যেহেতু একজন লেখক সেহেতু তিনি তপনের লেখাটির মূল্য বুঝেছেন ।
১০. তপন তার বাবা ছোটোমামা ও মেজো কাকুর মতো নতুন লেখক মেসোমশাইয়ের মধ্য কি কি মিল খুঁজে পেয়েছিল?
[উ] মেসোমশাই ও তপনের বাবা-মামা এবং কাকুর মতো দাড়ি কামান, সিগারেট খান, খেতে বসে অর্ধেক খাবার তুলে দেন, চান করেন চানের সময়,ঘুমানোর সময় ঘুমান এবং খবরের কাগজ পড়েন সিনেমা ও দেখেন।
১১. আর দুদ্দাড়িয়ে নিচে নেমে এসে —ছোটো মাসিকেই বলে বসে —তপন তার ছোটো মাসি কে কি বলেছিল?
[উ] 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পের প্রধান চরিত্র তপন তার ছোটো মাসিকে বলেছিল "ছোট মাসি একটা গল্প লিখেছি "।
১২. "তপন ও লজ্জায় ভেঙে পড়তে যায়। " —তপনের লজ্জার কারণ কী?
[উ] তখন তার নামে প্রকাশিত গল্পটি পড়তে গিয়ে দ্যাখে কারেকশনের নামে গল্পটাকে ছোট মেসো গল্পটা কে এতটাই বদলে দিয়েছে যে গল্পে তার অস্তিত্ব প্রায়ই নেই । তাই নিজের নামে অন্যের গল্প পড়তে হয়েছে বলেই লজ্জা ।
১৩." সেই সুযোগেই দেখতে পাচ্ছে তখন "----তপন কোন সুযোগ কী দেখতে পাচ্ছে ?
[উ] তপনের ছোটো মেসো যিনি একজন লেখক। কয়েকটি দিনের জন্য শ্বশুরবাড়িতে এসে রয়ে গেছেন। এই সুযোগে তপন দেখতে পাচ্ছে যে লেখকরা আকাশ থেকে পড়া কোনো অদ্ভুত জীব নয় ।
১৪. "এইসব মাল মসলা নিয়ে বসে" —কোন মাল মসলার কথা বলা হয়েছে ?
[উ] তপনের ছোটো মেসো জানিয়েছেন যে, তার বয়সী ছেলেমেয়েরা গল্প লিখতে গেলে রাজা রানীর গল্প লিখে নতুবা খুন, যখম, অ্যাক্সিডেন্ট কিংবা না খেতে পেয়ে মরে যাওয়া ইত্যাদি মাল মসলা নিয়ে বসে ।
১৫. " আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন । " — কোন দিনটা সবচেয়ে দুঃখের দিন ?
[উ] মায়ের নির্দেশ তার নিজের নামে প্রকাশিত গল্পটি পড়তে গিয়ে তপন দেখে যে কারেকশনের নামে গল্পটিকে নতুন করে লেখা হয়েছে । তখন তাকে পড়তে হয়েছে নিজের নামে প্রকাশিত অন্যের গল্প । এইজন্য দিনটি দুঃখের দিন ।
১৬."কাজেই গল্প জিনিসটা যে কি সেটা জানতে তো বাকি নেই । "---তপনের এই জানা হয়ে উঠেছিল কিভাবে ?
[উ] কারণ গল্প জিনিসটা যে কি সেটা তপনের জানা হয়ে উঠেছিল। ছেলেবেলা থেকে সে যেমন অনেক গল্প শুনেছে তেমনি অনেক গল্প পড়েছে ।
১৭. "আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম। "----কীসের চেষ্টার কথা বলা হয়েছে?
[উ] আশাপূর্ণা দেবীর 'জ্ঞানচক্ষু' গল্প থেকে উদ্ধৃত এই অংশে তপনের মতো গল্প লেখার চেষ্টার কথা বলা হয়েছে।
১৮."তাই এই ভয়ানক আনন্দের খবরটা ছোট মাসিকে সর্বাগ্রে দিয়ে আসবো বসে। "---আনন্দের খবর কোনটি ছিল?
[উ] জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রধান চরিত্র তপন একটি গল্প লেখেছিল । এবং সেই গল্প লেখার খবরের কথা এখনে বলা হয়েছে ।
১৯." তিনি নাকি বই লেখেন "--- কার কথা বলা হয়েছে ?
[উ] 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পের মূল চরিত্র তপনের ছোটো মাসির বিয়ে হয়েছিল যে অধ্যাপকের সঙ্গে তিনি একজন লেখক । তার অনেক বই ছাপাও হয়েছে । এখানে তারই কথা বলা হয়েছে ।
২০."জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনে "---- কিভাবে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল ?
[উ] তপন যখন দেখল তার নতুন মেসো একজন লেখক হওয়া সত্ত্বেও তার বাবা ছোটো মামা বা মেজ কাকুর মতই সাধারণ মানুষ। তখন তার সন্দেহ দূর হলো এবং তার জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল।
২১. "আরে বাবা ক্ষেপছিস কেন? " —উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কেন ক্ষেপছিল ?
[উ] তপনের লেখা গল্প পড়ে বক্তা জানতে চেয়েছিল যে সে কোনোখান থেকে টুকলি ভাই পড়েছে কিনা । এবং অপমানজনক এই জিজ্ঞাসাই তপন ক্ষেপে গিয়েছিল।
২২. সন্ধ্যাতারাই তপনের গল্প ছেপে বেরোতে ওর মেজো কাকু কি বলেছেন?
[উ] তপনের গল্প সন্ধ্যা তারা পত্রিকায় ছেপে বেরোলে ওর মেজো কাকু বলেন, তা ওরকম একটি লেখক মেশো থাকা মন্দ নয় । আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম ।
২৩. গল্পটা ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদিটা হবার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না। " —উদ্দিষ্ট ব্যক্তির আহ্লাদিত না হতে পারার কারণ কী?
[উ] 'সন্ধ্যাতারা 'পএিকায়' তপনের গল্প ছাপা হলেও সকলেই তপনের প্রতিভার তুলনায় নতুন মেসোরা অবদান টাকেই বড়ো করে দেখতে থাকে তাই যে আহ্লাদ তা হবার কথা ছিল তা আর জাগেনি।
২৪. "সূচিপত্রের নাম রয়েছে। " —সূচিপত্রে কী লেখা ছিল ?
[উ] 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পের কিশোর তপনের লেখা গল্প 'সন্ধ্যাতারা 'পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সেই পত্রিকার সূচিপত্রে লেখা ছিল – 'প্রথম দিন ' শ্রী তপন কুমার রায় ।
২৫. "শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন "---তপন কি সংকল্প করে ?
[উ] জ্ঞানচক্ষু গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপন তার চরম দুঃখের মুহূর্তে সংকল্প করে সে যদি কখনো তার লেখা গল্প ছাপাতে দেয় তবে নিজে গিয়ে দেবে । এতে তার কাঁচা লেখা ছাপা না হলে না হবে।
২৬."মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা "---কোনটা মেসোর উপযুক্ত কাজ ?
[উ] মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন যে গল্পটি লিখে ফেলেছে সেই গল্পটি পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়াটাকে মেসোর উপযুক্ত কাজ বলে উল্লেখ করেছেন তপনের ছোট মাসি।
২৭."একটু কারেকশন " করে ইয়ে করে দিলে ছাপাতে দেওয়া চলে। " —কে কি ছাপানোর কথা বলেছেন?
[উ] বিখ্যাত গল্পকার আশাপূর্ণা দেবীর 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের লেখা গল্প তার লেখক নতুন ছোটোমেসো পত্রিকায় ছাপানোর কথা বলেছেন ।
২৮." এটা খুব ভালো "---বক্তা কোন বিষয়টাকে খুব ভালো বলেছেন?
[উ] তপন গল্প লিখতে বসে রাজা রানীর গল্প, খুন যখন এক্সিডেন্ট ইত্যাদি । লিখেছে ভরতি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতির বিষয় এটা খুব ভালো ।
২৯. লেখকদের সম্পর্কে তপনের কী ধারনা ছিল ?
[উ] অনেক গল্প পড়ে পড়ে লেখকদের ক্ষমতায় বিস্মিত তপনের মনে হতো যে তারা সাধারন কোন মানুষ নন। তারা যেন আকাশ থেকে পড়া জাতীয় কোনো জীব ।
৩০. "সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়। "---শোরগোলের কারণ কী?
[উ] তপনের বাড়ির লোক সচক্ষে দেখতে পাই তপনের লেখা গল্প পত্রিকায় ছাপার অক্ষরে বেরিয়েছে। তাই বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায় ।
৩১.'জ্ঞানচক্ষু 'গল্পটি লেখক এর নাম কী? কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
[উ] 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পটির লেখক এর নাম আশাপূর্ণা দেবী। তার' কুমকুম' শীর্ষক গল্পগ্রন্থ থেকে উল্লিখিত গল্পটি নেওয়া হয়েছে ।
৩২. "মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা "---কাজটি কী?
[উ] তপনের গল্প পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করাকে মেসোর উপযুক্ত কাজ বলেছে ওর ছোটো মাসি ।
৩৩. "তপন প্রথমটা ভাবে ঠাট্টা "--কখন তপনের মনের এই ভাবনা দূর হয়?
[উ] যখন তপন তার নতুন মেসোর মুখে করুণ্যর ছাপ লক্ষ্য করে তখন তিনি ঠাট্টা করেছেন কিনা এই ভাবনা দূর হয় ।
৩৪.তপনের পুরো নাম কি ছিল?
[উ] জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের পুরো নাম ছিল তপন কুমার রায় বলে জানা যায় ।
৩৫. ছোটমাসির বিয়েতে মামা বাড়িতে আসার সময় তপনের মা তপনকে তার পড়াশোনার কোন সরঞ্জাম নিতে বাধ্য করেছিলেন ?
[উ] ছোটো মাসির বিয়েতে মামার বাড়িতে আসার সময় হোমটাস্ক এর খাতা সঙ্গে নিতে বাধ্য করেছিলেন তপনের মা বলে জানা যায়।
৩৬. তপনের গল্প ছাপার অক্ষরে বের হওয়ার পিছনে কার অবদান ছিল ?
[উ] তপনের গল্প ছাপার অক্ষরে বের হওয়ার পেছনে ওর ছোটোমেসো মশায়ের অবদান ছিল ।
৩৭.তপনের চেয়ে কত বছরের বড়ো তপনের ছোটো মাসি?
[উ] জ্ঞানচক্ষু গল্পটি আশাপূর্ণা দেবীর লেখা এই গল্পের চরিত্রে তপনের ছোটোমাসি তপনের থেকে আট বছরের বড়ো।
৩৮."ছোটোমাসি একটা গল্প লিখেছি ''---বক্তা কি গল্প লিখেছিল ?
[উ] উদ্ধৃতাংশ টুকুর বক্তা তখন নতুন মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে যে গল্পটি লিখেছিল তার শিরোনাম ছিল 'প্রথম দিন'।
৩৯."তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই। "--কিসের চেয়ে দুঃখের কিছু নেই ?
[উ] নিজের নামে প্রকাশিত গল্প পড়তে বসে যদি অন্যের লেখা লাইন করতে হয় তা যদি শুনতে হয় লেখাটা অন্য কেউ ছাপিয়েছে তাহলে তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই বলে মনে হয়েছে তপনের।
৪০."এমন সময় ঘটলো সেই ঘটনা। "---কোন ঘটনার কথা বলা হয়েছে ?
[উ] এই গল্পে ঘটনা বলতে তপনের ছোটো মাসি আর মেসোর হাতে এক সংখ্যা 'সন্ধ্যাতারা' নিয়ে তপনদের বাড়িতে আসার ঘটনাকে বোঝানো হয়েছে।
৪১.তপন কি উপলক্ষে মামার বাড়িতে এসেছিল?
[উ] জ্ঞানচক্ষু গল্পের মূল চরিত্র তপন তার ছোটো মাসির বিয়ে উপলক্ষে মামার বাড়িতে এসেছিল।
৪২. "আজ আর অন্য কথা নেই,শুধু তপনের গল্পের কথা। এছাড়াও আর একটি কথা ছিল, সেটা কী?
[উ] আরেকটি কথা হল তপনের নতুন মেসোমশায়ের মহত্ত্বের কথা ।
৪৩. প্রথম গল্প লেখার পর তপনের নিজস্ব কি অনুভূতি হয়েছিল?
[উ] প্রথম গল্প লেখার পর তপনের গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল । এবং মাথার চুল খাড়া হয়ে গিয়েছিল ।
৪৪. গল্প লেখার পর বাড়িতে তপনের কি নাম হয়েছিল ?
[উ] গল্প লেখার পর বাড়িতে তপন এর নাম হয়েছিল কবি, সাহিত্যিক, কথাশিল্পী ইত্যাদি।
৪৫.তপনের নতুন মেসোমশাই কী করেন?
[উ] আশাপূর্ণা দেবীর জ্ঞানচক্ষু গল্পের, তপনের নতুন মেসোমশাই যেমন একজন কলেজের প্রফেসর , তেমনি আবার দেখা যায় একজন লেখক ও ।
৪৬.তপনের লেখা প্রথম গল্পটি পড়ে নতুন মেসো কি বলেন?
[উ] তপনের লেখা প্রথম গল্পটি পড়ে নতুন মেসো বলেন যে তপনের হাত আছে এবং চোখ ও আছে। লিখতে বসে ও ওর ভরতি প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি নিয়ে লিখেছে। এটা খুব ভালো ।
৪৭. " যেন নেশায় পেয়েছে "---কাকে কোন নেশায় পেয়েছিল ?
[উ] আশাপূর্ণা দেবীর জ্ঞানচক্ষু গল্পের মূল চরিত্র তপনকে গল্প লেখার নেশায় পেয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
৪৮. 'তাই জানতো না। '----কে কী জানতো না?
[উ] জ্ঞানচক্ষু গল্পের মূল চরিত্র তপন জানতো না যে সত্যিকারের কোন লেখক কে কাছ থেকে কখনো দেখা যায়।
৪৯. "এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের। "--কোন বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের?
[উ] আশাপূর্ণা দেবীর লেখা জ্ঞানচক্ষু গল্পে দেখা যায় গল্প শুনে এবং পড়ে লেখকদের সম্পর্কে তপনের মনে একটা আজগুবি ধারণা গড়ে উঠেছিল ।তারা ওর ছোটমামা বা মেজো কাকুর বা বাবার মতো সাধারণ মানুষ কিনা এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল।
৫০. তপনের মেসোমশাই কোন পত্রিকায় তপনের গল্প ছাপিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন ?
[উ] জ্ঞানচক্ষু গল্পটি আশাপূর্ণা দেবীর লেখা, তপনের মেসোমশাই 'সন্ধ্যাতারা 'পত্রিকায় তপনের গল্প ছাপিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন ।
৫১. "পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে। "---অলৌকিক ঘটনাটি কী?
[উ] তপন কুমার রায়ের লেখা গল্প ছাপার অক্ষরে বেরিয়ে হাজার হাজার ছেলের হাতে ঘোরার কাহিনী ।
৫২".বারে, চমৎকার লিখেছে তো। " —এই বক্তব্যটি কাদের ?
[উ] তপনদের বাড়ির সকলেই যারা তার গল্পে চোখ বুলিয়েছে তার উক্তিটি করেছে ।
৫৩."তপন তোমার গল্প দিব্যি হয়েছে।"--মেসো কেন তপনকে এরকম কথা বলেছিলেন ?
[উ] আসলে মেসো মশাই নতুন বিয়ের শশুর বাড়ির ছেলেকে খুশি করতেই বলেছিলেন।
৫৪. মামার বাড়িতে তপন কি উপলক্ষে এসেছে ?
[উ] জ্ঞানচক্ষু গল্পটি আশাপূর্না দেবীর লেখা, গল্পের প্রধান চরিত্র তপন তার ছোট মাসির বিয়ে উপলক্ষে মামার বাড়িতে এসেছে ।
৫৫. "মাথার চুল খাড়া হয়ে উঠল। "----কেন মাথার চুল খাড়া হয়ে উঠল?
[উ] নতুন মেসো কে দেখে অনুপ্রাণিত তপন স্তব্ধ দুপুরে একাসনে বসে একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলেছিল । এই গল্প লেখার রোমাঞ্চে তার মাথার চুল খারা হয়ে উঠেছিল ।
৫৬. তপনের মাসি কিভাবে হইচই বাদিয়েছিল ?
[উ] তপনের নতুন মেশো মাসায়ের দিবানিদ্রা ভাঙ্গিয়ে ওর মাসি হইচই বাঁধিয়ে ছিল ।
৫৭. "তপন কে যেন আর কখনো না শুনতে হয় "---কোন কথা না শুনতে হয় ?
[উ] তপনকে যেনো এ কথা আর কখনো শুনতে না হয়, " অন্য কেউ তপনের লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে"।
৫৮. "বাবা তোর পেটে পেটে এত! "--কে, কেনো একথা বলেছেন ?
[উ] আশাপূর্ণা দেবীর জ্ঞানচক্ষু গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনের মা তপনকে এ কথা বলেছেন ।
৫৯.বিয়ের পর তপনের ছোটো মাসির হাব-ভাব কেমন হয়েছিল ?
[উ] বিয়ের পর তপনের ছোটো মাসির হাব-ভাব একটু মুরুব্বি মুরুব্বি রকমের হয়েছিল।
৬০. "মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা " —উক্তিটি কার?
[উ] উদ্ধৃতি এই অংশটি আশাপূর্ণা দেবীর জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপনের ছোটো মাসির উক্তি বলে জানা যায়।
৬১. "তপন আর পড়তে পারেনা। " —কেন পড়তে পারেনা ?
[উ] তপন তার নিজের নামে প্রকাশিত গল্পটি পড়তে গিয়ে দেখে কালেকশনের নামে গল্পটাকে নতুন করে লিখেছেন নতুন মেসো । এবং এই গল্পে তপনের অস্তিত্ব নেই। তাই সে পড়তে পারে না।
দশম শ্রেণির বাংলা অন্যান্য লেখা
- জ্ঞানচক্ষু [প্রশ্ন উত্তর]
- অসুখী একজন [প্রশ্ন উত্তর]
- আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি [প্রশ্ন উত্তর]
- আফ্রিকা [প্রশ্ন উত্তর]
- হারিয়ে যাওয়া কালি কলম [প্রশ্ন উত্তর]
- বহুরূপী [প্রশ্ন উত্তর]
- অভিষেক [প্রশ্ন উত্তর]
- সিরাজদৌল্লা [প্রশ্ন উত্তর]
- প্রলয়োল্লাস [প্রশ্ন উত্তর]
- পথের দাবী [প্রশ্ন উত্তর]
- সিন্ধুতীরে [প্রশ্ন উত্তর]
- অদল বদল [প্রশ্ন উত্তর]
- অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান [প্রশ্ন উত্তর]
- বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান [প্রশ্ন উত্তর]
- নদীর বিদ্রোহ [প্রশ্ন উত্তর]
- কোনি [প্রশ্ন উত্তর]
- দশম শ্রেণির বাংলার অন্যান্য লেখা
- একাদশ শ্রেণির বাংলার অন্যান্য লেখা
- দ্বাদশ শ্রেণির বাংলার অন্যান্য লেখা
আমাদের টেলিগ্রাম ও ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হোন