Join Telegram Join Facebook বাংলা রচনা
সাহিত্যের ইতিহাস সাজেশান Question-Paper
WBCS স্কুল নোটস ইতিহাস

কন্যাশ্রী এখন বিশ্বশ্রী, বাংলা প্রবন্ধ রচনা, Kanyashree, Bangla Rachana, বাংলা রচনা

প্রিয় শিক্ষার্থীরা,

আজকে তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো বাংলা প্রবন্ধ রচনা ||  বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির বাংলা পরীক্ষায় প্রবন্ধ রচনার নমুনা উত্তর পেয়ে যাবে এখানে। এগুলি তোমাদের পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।



কন্যাশ্রী এখন বিশ্বশ্রী, বাংলা প্রবন্ধ রচনা, Kanyashree, Bangla Rachana, বাংলা রচনা





কন্যাশ্রী এখন বিশ্বশ্রী 






ভূমিকা :-- সমাজের বেশ কিছু নারী ও পুরুষ নাম সইয়ের সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত।  তুলনায় পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি।  শিক্ষা ব্যাপারে মেয়েরা পিছিয়ে পড়ার বড় কারণ হলো দুটি।  সেগুলি হল —- ১. তাই পথ সুগম ও বাধা মুক্ত করতে পশ্চিমবঙ্গের জল ও কল্যাণকামী সরকার বিশেষত সহৃদয়া মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগী হন। সেটি হলো কন্যাশ্রী প্রকল্প। 

   ২.  গরিব ও নিম্নবিত্ত পরিবারের নিত্য অভাব অনটন। 


কন্যাশ্রী প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য :--- কন্যাশ্রী প্রকল্পের বেশ কিছু লক্ষ্য চোখে পড়ে তা হলো —--

[১]. ১৮ বছর বয়সের সাবালিকা ও বিবাহযোগ্য হওয়ার আগে মেয়েদের বিবাহ বন্ধ করা। 

[২]. নারী শিক্ষার উন্নয়ন ও ব্যাপক প্রসার। 

[৩]. পড়াশোনা বন্ধ করাই স্কুল ছুট ছাত্রির হার কমানো ইত্যাদি। 


কন্যাশ্রী প্রকল্পের  বর্ণনা :-- এখানে কন্যাশ্রী  প্রকল্প ভুক্ত হওয়ার জন্য স্কুলে পাঠ লতা বালিকাদের কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়  তা হল —--

[ ১]. ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সের শিক্ষার্থীর বালিকা কন্যাশ্রী প্রকল্পের আয়তায় আসতে পারে। 

[ ২.] সরকারি শিক্ষিত সাহায্য প্রাপ্ত যেকোনো শিক্ষা স্তরের বিদ্যালয়ের অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী শিক্ষার্থী হওয়া চাই। 

[ ৩.] ওই বয়সের পাঠরতা ছাত্রীদের বিয়ে হলে সে আর ওই প্রকল্পের  অন্তর্ভুক্ত থাকবে না। 

[৪]. ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সের ছাত্রীরা বছরে ৫০০ টাকা করে বৃদ্ধি বাবা তা পায়। 

[৫]. ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়সের  ছাত্রী ওপরে বর্ণিত শর্ত সমূহ পালন করলে এককালীন বৃওি হিসাবে  ২৫০০০ টাকা পায়।  এবং মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তার কলা ও বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে ইচ্ছুক ছাত্রীরা বিশেষ শর্তে কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় আসবেন। 


প্রকল্পভুক্ত উপকৃত ছাত্রীর সংখ্যা :-- সকল স্তরের বিদ্যালয়ের পাঠ রতা ও কন্যাশ্রী প্রকল্প ভুক্ত উপকৃত যাত্রী যারা প্রথম ভাগের ভিত্তি পেয়ে থাকে।  তাদের সংখ্যা প্রায় ১৮ লক্ষ। 


প্রকল্পের সূচনা ও সুফল প্রাপ্তির পর্যালোচনা :--- ২০১২ খ্রিস্টাব্দে কন্যাশ্রী প্রকল্প ঘোষিত হয়।  এবং এই কন্যাশ্রী প্রকল্প সূচনা হয় ১ অক্টোবর ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে।  এর মধ্যে লক্ষ্য করা যায় কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুফল পাওয়া গেছে তাহলো —--

 ১. ছাত্রীরা বৃত্তি রায়তায় থাকাই অভিভাবকেরা জোর করে কন্যার বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। 

 ২. স্কুল ছুট আসানুরূপ পেয়েছে। 


রাষ্ট্রসংঘ প্রদত্ত পুরস্কার ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি  :--- দেখা যায় কন্যাশ্রী প্রকল্পে সাফল্য ও সার্থকতা সম্প্রীতি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সুনাম অর্জন করে স্বীকৃতি পেয়েছে। ৬২ টি দেশের ৫৫২ টি উন্নত প্রকল্পের মত কন্যাশ্রী প্রকল্প প্রথম স্থানের অধিকারী এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের পাবলিক সার্ভিস প্রদত্ত পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছে।  পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও পশ্চিমবঙ্গবাসীর পক্ষ থেকে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। পশ্চিমবঙ্গের এই কন্যাশ্রী প্রকল্প এখন বিশ্বের কন্যাশ্রী প্রকল্পে পরিণত হয়েছে। এ এমন এক স্বীকৃতি গৌরব শুধু কন্যাশ্রী প্রকল্পের প্রাপ্তি নয় পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সহৃদয়তা ও নারী কল্যাণ সাধনের মহতি প্রচেষ্টা। 






আমাদের টেলিগ্রাম ও ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হোন








-------------------------------------------------------------
File Name : কন্যাশ্রী এখন বিশ্বশ্রী

File Format : পিডিএফ

File Language : বাংলা

File Location : গুগল ড্রাইভ

Download Link :  কন্যাশ্রী এখন বিশ্বশ্রী
-------------------------------------------------------------

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url