Join Telegram Join Facebook বাংলা রচনা
সাহিত্যের ইতিহাস সাজেশান Question-Paper
WBCS স্কুল নোটস ইতিহাস

আফ্রিকা [রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর] কবিতার ব্যাখ্যাধর্মী 20+ প্রশ্ন উত্তর, দশম শ্রেণি, Afrika Poem By Rabindranath Tagore, Class 10 Madhyamik, Marks 3

প্রিয় মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা,

আজকে তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো মাধ্যমিক বাংলা আফ্রিকা কবিতা থেকে ব্যাখ্যাধর্মী 20+ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্নোত্তর || ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Question and Answer | 10th Bengali Examination | দশম শ্রেণির Bangla বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবে এগুলি তোমাদের ফাইনাল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।








আফ্রিকা [রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর] কবিতার ব্যাখ্যাধর্মী 20+ প্রশ্ন উত্তর, দশম শ্রেণি, Afrika Poem By Rabindranath Tagore, Class 10 Madhyamik, Marks 3 






প্রশ্নের মান — ৩



১. সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ পুণ্য বাণী — পুণ্যবাণীটি কি? কেনো তা পূর্ণবাণী?

'আফ্রিকা' কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। এই কবিতায় যুগান্তরের কবির কণ্ঠে উচ্চারিত এই বাণীটি কে কবি সভ্যতার শেষ পূর্ণ বাণী বলেছেন।

আফ্রিকা যে হত্যা, লুণ্ঠন, শোসন উৎপিরনের পরিচয় দিয়েছিল যেভাবে অপমানিত করে মানুষদের তা ছিল সভ্যতার পাপ। এবং এই পাপের ফলশ্রুতিতে বিশ্বে ভয়ংকর সংকটকালে ধনিয়ে এসেছিল। এই অবস্থায় বিশ্বকে রক্ষা করার একমাত্র উপায় ছিল মানহারা মানবীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। এবং ক্ষমা সবচেয়ে বড় গুণ। শুধু ক্ষমার ক্ষমতাকেই মানুষ যাবতীয় ভুল, পাপ, অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে পারে। তাই সভ্যতার চরম সংকটকালে কোন প্রার্থনা কে কবি সভ্যতার শেষ পূর্ণ বাণী বলেছেন।



২. আফ্রিকা কিভাবে কৃপণ আলোর অন্তপুর হয়ে উঠল তা লেখো?


'আফ্রিকা' কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। এই কবিতায় কবি গোটা মহলের ভিতরে মহল। কবি বলতে চেয়েছেন সাধারণত রাজবাড়ি মহিলাদের থাকার জন্য যে গোপন স্থান, সেই অন্দরমহলের বাইরে কারাও প্রবেশ ঘটে না। কিন্তু কৃপণ আলোর অন্তপুর বলতে যেখানে অত্যন্ত দিন বা আলোর মতো অবস্থান থাকে। নামমাত্র আলোর অবস্থান থাকে। এবং এরকম ভাগ্যটা ঘটেছিল আফ্রিকার কপালে। গভীর বনে আচ্ছন্ন হওয়ায় আফ্রিকার ভিতরে গোপন আলোয় প্রবেশ করতে পারেনি। তাই আফ্রিকার ভিতরটা এমনই হয়ে গেল বলে মনে করা হয়।




৩. বলো ক্ষমা করো —-- কার কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে? কেনো?

'আফ্রিকা' কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। এই কবিতায় আফ্রিকার কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।

এই কবিতায় আফ্রিকা যে হত্যা, লুন্ঠ, শোষণ উৎপিরণের পরিচয় দিয়েছিল, যেভাবে আফ্রিকার মানুষদের লাঞ্ছিত, অপমানিত কলঙ্কিত করেছিল তা ছিল সভ্যতার পাপ । এই পাপের ফলেই পশ্চিমে দিনের অন্তিম কাল ঘনিয়ে এসেছে। বিশ্বে মহাসংকটের কালো মেঘ দেখা দিয়েছে। কবি বুঝতে পেরেছে কি ঘটতে চলেছে কেন বা ঘুরতে চলেছে। তিনি বুঝতে পেরেছেন এই অবস্থায় মানহারা আফ্রিকার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করাই একমাত্র উপায়। তাই এই কবিতায় সভ্যতার প্রতিনিধি হিসেবে যুগান্তরের কবিতার ক্ষমা চাইতে বলেছেন কবি।




৪. এই যুগান্তরের কবি — যুগান্তরের কবি কে কবি কখন আহ্বান করেছিলেন? তাকে কেন আহবান করেছিলেন প্রকাশ করো।



'আফ্রিকা' কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। এই কবিতায় কবি অনুন্নত দেশগুলোকে নিজেদের শোষণে ব্যাপৃত রাখে। বিষের দ্বিতীয় দশকে বাঁধবে মানব সভ্যতা বিধ্বংসী বিশ্বযুদ্ধ। ঘনালো সভ্যতার সভ্যতার সংকট। আফ্রিকাকে সহানুভূতি জানাতে। কবি যুগান্তরের কবিকে আহ্বান জানিয়েছেন ।

আফ্রিকার দ্বারে এসে পরম করুনিক স্রষ্টা যেনো বলেন ক্ষমা করো। মানবতার অপমানে স্রষ্টারাও দায়ী থাকে বলে মনে করা হয়। ক্ষমা প্রার্থনার মধ্য থাকে মহত্ত্ব।।এইভাবেই কবি যুগান্তরের কবিকে যুগান্তরের পবিত্র আহ্বান জানিয়েছিল ।




৫. রবীন্দ্রনাথের আফ্রিকা কবিতা অনুসারে কবির ইতিহাস চেতনার পরিচয় দাও?

'আফ্রিকা' কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। এই কবিতায় কবিতার ইতিহাস যে তোমার পরিচয় মেলে। প্রায় সতেরো শতক থেকে বিশ শতকের কিছু অংশ জুড়ে আফ্রিকার উপর শ্বেতাঙ্গ উপনিবেশকারীদের অকথ্য শোষণ নির্যাতন চলেছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিষময় ফল এবং আসন্ন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়ংকরতা সংকেত ও ইতিহাস হিসেবে গণ্য হবে।




৬. উদভ্রান্ত সেই আদিম যুগে —- আদিম যুগের কী হয়েছিল ?

'আফ্রিকা' কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। এই কবিতায় কবি প্রাথমিক অবস্থার একটা কাব্যিক রুপচিত্র অঙ্কন করা হয়েছে বলে মনে করা হয়।

এই কবিতায় কবি বলেছেন নিজের সৃষ্টিকর্মে তিনি নিজের সন্তুুষ্ট হতে পারছিলেন না । তাই বারবার ভেঙে গড়ছিলেন। এই ভাঙ্গা গড়ার মধ্য দিয়ে নবরত সৃষ্টির মধ্য দিয়ে লাভ করছিল বিশ্ব। গড়ে উঠেছিল এক একটি মহাদেব। এই সময় আফ্রিকাকে ধরিত্রীর বুক থেকে সরিয়ে নিয়ে বনস্পতি নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ করেন তিনি।




৭. চিরচিহ্ন দিয়ে গেলো তোমার অপমানিত ইতিহাসে —- কারা কিভাবে চির চিহ্ন দিয়ে গিয়েছিল?

'আফ্রিকা' কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। এই কবিতায় কবি শেতাঙ্গ উপনিবেশিক আফ্রিকার অপমানিত ইতিহাসে চির চিহ্ন এঁকেছেন।

এই সাম্রাজ্যবাদী অগ্রসনকারীর সীমাহীন লোভের বসে হিংস্র শ্বাপদের মতো থাবা বিস্তার করেছে আফ্রিকার উপর। আধুনিক অস্ত্রের শক্তিতে প্রদানত করেছে আফ্রিকাকে। নির্দয় লুন্ঠনে, হননে, শোষণে শাসনে, উত্পিরণে ক্ষত বিক্ষত করেছে। এই কবিতায় আফ্রিকার সাধারণ মানুষকে ক্রীতদাসে পরিণত করেছে। এবং ঔপনিবেশিক দস্যুতে কাটা মাড়ানো, জুতোর তলায় আফ্রিকার রক্তে অশ্রুতে মিশে কাদার পিন্ডে পরিণত হয়েছে। এই কবিতায় চিরচিহ্ন দিয়ে গেল বলার এই কারণ।




৮. সমুদ্র পাড়ে সেই মুহূর্তে — কোন মুহূর্ত? তখন সমুদ্রপারে কি হয়েছিল?

'আফ্রিকা' কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। এই কবিতায় কবি বলতে চেয়েছেন অবরোধ লুণ্ঠন, হনন উৎপিরন চালিয়েছিল। তাই ওদের কাটা মারা জুতোর আফ্রিকা যখন রক্তে অশ্রুতে মিশে কাদার পিন্ডে পরিণত হচ্ছিল, সেই সময়ের কথা বলা হয়েছে।

কবি বলতে চেয়েছেন ঈশ্বরের প্রাণ সংসার সচেতন গভীর মানুষ। এবং এই কবিতায় পাড়ায় পাড়ায় মন্দিরে পুজোর ঘন্টা বাজছে সকাল সন্ধ্যায় । প্রভু দয়াময়ের নাম গানে সবাই। এবং শিশুরা মায়ের কোলে খেলা করছে। সে এক অন্যরকম পরিবেশ। কবি সংগীত রচনা ও করে চলেছে। অবশেষে বলা যায় সেখানে জীবনের কোন ধরনের ছন্দ পথ নেই।




৯. শঙ্কাকে চালাচ্ছিল হার মানাতে — কে কিভাবে শঙ্কাকে মানাতে চাচ্ছিল ?

'আফ্রিকা' কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। কবি এই কবিতায় বলতে চেয়েছেন যে আফ্রিকা মৃত্যুময় আরণ্যক জীবনে শঙ্কাকে হার মানাতে চাইছিল।

এবং কবি আরোও বলেছেন যে পত্রপল্লব রহস্য ঘন আফ্রিকা সাদা শঙ্কিত চিত্তে দুর্গমে রহস্য ভেদ করতে ব্যস্ত থেকেছে। বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের ভয়ানক শব্দের স্বয়ং সংহারকের ভূমিকায় নেমে এত আতঙ্ক-জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নিজের মনের শঙ্কা দূর করে অযোগ্য জীবন মন্ত্র উচ্চারণ করেছে।




১০. উদভ্রান্ত সেই আদিম যুগে — কিভাবে সেই আদিম যুগ উদভ্রান্ত ছিল, তা ভৌগোলিক দিক থেকে বিচার করো?


'আফ্রিকা' কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। কবি এই কবিতায় পৃথিবী সেই আদিম যুগে পৃথিবীতে গঠিত হয়েছে বিস্তীর্ণ জলভাগ এবং তুলনায় স্থলভাগ। এই স্থলভাগে পাহাড় পর্বত মালভূমি সমভূমি নদনদী গঠিত হয়েছে। সৃষ্টির সেই যুক্তি ছিল ভাঙা গড়াইতো উদ্দাম। এই ভৌগলিক ভাবনায় পৃথিবী বহি ও অন্ত ভাগে চলছিল বিপর্যয়ের আলোড়ন। উদভ্রান্ত বলা হয়েছে সেই আদিম যুগকেই স্মৃতি ও ভাঙ্গন গরমের দিক।




১১. আফ্রিকার ওপর প্রকৃতির প্রভাবটি কেমন ছিল ?

'আফ্রিকা' কবিতাতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। এই কবিতায় কবি বলেছে আফ্রিকার প্রভাব বা প্রকৃতি বেশ গুরুতর ছিল।

প্রাকৃতিক বিপর্যয় আফ্রিকার বিচ্ছন্ন ভুভাগ হয়েছিল। এবং গহন অরণ্য তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছিল। প্রাকৃতিক রহস্যময় দুর্গম হয়ে উঠেছিল। প্রাকৃতিক বিষ্ময়কর ঘটনাগুলি তাদের অজ্ঞান মনে মন্ত্র জাগিয়ে ছিল। এইসব সমস্যার সম্মুখে পড়েছিল তারা। কিন্তু তারা অদ্যম কৌতু হলে ওই প্রকৃতিকে জানতেও বুঝতে চাইছিল।




১২. সেখানে নিভৃত অবকাশে – নিভৃত অবকাশকালে আফ্রিকার অন্তঃস্বভাবধর্ম কোন পথে চলেছিল লেখ।

'আফ্রিকা' কবিতাটিতে কবি বলেছেন কোনো কারণে রাজ্যে ভাগ বিচ্ছিন্ন আফ্রিকা যোগাযোগবিহীন নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ল। এই আশ্চর্য গোপন অবকাশ তৈরি হলো এই কবিতায়। এক দুর্গম স্থানে পরিণত হলো। আদিম মানুষ আফ্রিকাবাসীর কাছে জল স্থল আকাশের সংকেত দুর্বোধ্যে ঠেকলো। এই প্রকৃতির দুলক্ষ রহস্য যাদুর মতো বোধ হল। এই প্রকৃতিক ভীষনতাকে ব্যঙ্গ করলো তারা। কি পশু কি মানুষ সকলেই হল বিভীষিকাময়।




১৩. প্রকৃতির ওপর আফ্রিকাবাসীর কি রূপ উগ্র প্রতিক্রিয়া হচ্ছিল লেখো?

'আফ্রিকা' কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা । এই কবিতায় কবি বলতে চেয়েছেন আদিম মানুষের হার মানেনি। তারা হারতে হারতেও প্রকৃতির ভীষণতাকাকে ব্যঙ্গ করছিল। এই হার না মানার প্রকৃতির জেতার অদ্যম ইচ্ছা । তারা ভয়ের বিভীকার চেয়েও নিজেকে উগ্ররত করে ভয়কে হার মানতে চেয়েছিল । এই ঘটনা যেন জয়ঢ়াকের আকাশ ফাটানো জয়ধ্বনি।




১৪. হায় ছায়াবৃত্তা — ছায়াবৃত্তাকে? কেন তাকে ছায়াবৃওা বলা হয়েছে?

'আফ্রিকা'কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। এই কবিতাই উদ্ধৃত অংশে ঘন ঘন পত্র পল্লব বেষ্টিত, অরণ্যময় আফ্রিকাকে ছায়াবৃতা বলা হয়েছে।

এক ছায়া বৃথা কথাটির সরলার্থ হলো ছায়া দারা আবৃতা। দুর্গম অরণ্যময় আফ্রিকা বনস্পতির ঘনপত্র পল্লবে আচ্ছাদিত চিরকাল। সূর্যালোক স্পর্শ করে না। দুই ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে আফ্রিকা আধুনিক সভ্যতা সংস্কৃতি এবং জ্ঞানের আলো থেকে বঞ্চিত চিরকাল ।




১৫. উদভ্রান্ত সেই আদিম যুগে —-- সেই আদিম যুগকে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে কি উদভ্রান্ত যুগ বলতে পারি?

'আফ্রিকা' কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। এই কবিতায় কবি হটাৎ প্রবল বিস্ফোরণ কে ক্রমে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি ও বিস্তার হয়েছিল। নিরন্তর ঘূর্ণন আকর্ষণ বিকর্ষন রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে পৃথিবীর ভিতরে ও বাইরে চলছিল তীব্র আলোরন। এবং সব সময় চলছিল পৃথিবীর ভূমি রূপের ভিত্তিতে ভাঙ্গন এর অস্থিরতা। এখন যেটা একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে তা নয়। এবং বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে সৃষ্টির সেই আদিম যুগটাকে উদভ্রান্ত বা উদ্দাম বলতে পারি।




১৬. গর্বে যারা অন্ধ তোমার সূর্য হারা অরন্যর চেয়ে — কাদের সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে? অংশটির নিহিতার্থ লেখো?

'আফ্রিকা' কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। কবি বলেছেন মানব সম্পদের উপর ইউরোপীয় শ্বেতাঙ্গ উপনিবেশিক দের লোভাতুর দৃষ্টি পড়লে তারা মেঘলা রাজ্যের মত আগ্রাসন চালায়। আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বর্বরের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে আফ্রিকার ওপর। আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন করে আবারো লুন্ঠান হনন, শোষণ উৎপীরন চালায়। সটল মানুষ গুলিকে হাট করি পরিয়ে কৃতদাশ হিসাবে বিক্রি করে দেয়। তথাকথিত সভ্য শ্বেতাঙ্গ জাতির এই বর্বরতাকে মানবতাবাদী কবি মেনে নিতে পারেননি।




১৭. উদভ্রান্ত সেই আদিম যুগে – রুদ্র সমুদ্রের বাহু কী করেছিল ?

'আফ্রিকা' কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা । কবি বলতে চেয়েছেন আদিম মানুষ উদভ্রান্ত। সেই নিত্যই তার ইচ্ছা খুশির মতো বদলাচ্ছিল। কখনো রুদ্ররূপে গ্রাস করছিল ভূমিভাগকে কখনো বা আবার নতুন ভূমি তৈরি করছিল। এক সময় প্রাচ্যভূমি থেকে ছিড়ে আনলো আফ্রিকার বিশাল ভূমিকে। প্রাচ্য ও আফ্রিকার মাঝখানে হল সমুদ্রের ব্যবধান। সৃষ্টিরূপ নিয়ে অসন্তোষকে তুষ্ট করবার জন্য সৃষ্টিকে এমনভাবে ওলটপালট করে চেয়েছিলেন এই কবিতায়।




১৮.নখ যাদের তীক্ষ্ণ তোমার নেকড়ের চেয়ে — কাদের সম্পর্কে এই উক্তি? কেন এই উক্তি?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'আফ্রিকা' কবিতা থেকে সংগৃহীত এই কবিতায় ইউরোপীয় তথাকথিত সভ্য, শ্বেতাঙ্গ ও উপনিবেশিকদের সম্পর্কে এটি করা হয়েছে ।

ঔপনিবেশিক হিংস্র আগ্রাসনের পরিচয় দিয়েছেন আফ্রিকায়। ইতালির আবিসিনিয়ায় মুসোলিনি বর্বরোচিত আক্রমণ এনেছিল। আক্রমণকারীদের পৈশাচিক হিংস্রতা প্রাণী আফ্রিকার এত পশুর মধ্যে বাস করেও হিংসার এত চরম রূপ দেখেনি কোনোদিন। কবি আফ্রিকার তীক্ষ্ণ নখদন্ত্র বিশিষ্ট ধারালো ধিক্কার জানিয়েছিলেন তারা।




১৯. আফ্রিকা বাসীর ওপর শ্বেতাঙ্গদের অত্যাচারের রূপটি চিএিত কারো ?

'আফ্রিকা' কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। 

 আফ্রিকাকে কার যত গ্রাস করেছিল শ্বেতাঙ্গরা জোর খাটিয়ে। তীব্র অত্যাচার শোষণ পিরন এবং ওদের ক্রীতদাস বানিয়েছিল। ওই মানুষ দাঁড়ালো দলে নির্যাতনের দিক নখে ওদের আঁচড়ালো কামড়ালো। আফ্রিকাবাসিদের প্রতি উদ্ধত বর্বর লোভে শেতাঙ্গরা নির্লজ্জ অমানুষ হয়ে গেল। অত্যাচারিকাদের নির্বাক ও স্রোতের রক্তে হলো ধূলি।



২০. গর্বে যারা অন্ধ তোমার সূর্য হারা অরণ্যের চেয়ে — কাদের সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে? অংশটির নিহিতার্থ লেখো?

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'আফ্রিকা' কবিতায় শ্বেতাঙ্গ উপনিবেশিকদের সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে।

এই কবিতায় কোনদিন শ্বেতাঙ্গ সভ্য জাতি হিসেবে চিরকালই নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রচার করে থাকে। এই শ্রেষ্ঠার্থের গর্ভে অন্ধ হয়ে বিশ্বের অন্য জাতি গুলিকে ওরা আক্রমণ পদানত অপমানিত করে থাকে। আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ গুলিকে বন্দী করে ক্রীতদাস রূপে বিক্রি করে দিয়েছে। এবং তাদের লুন্ঠন করেছে। এবং পশুর মত হত্যা করেছে। আফ্রিকায় অরণ্যের অন্ধকারের চেয়েও বেশি সূর্যেহারা।




২১. নতুন সৃষ্টিকে বারবার করেছিলেন বিধ্বস্ত — নতুন সৃষ্টির বারবার বিধ্বংসের দিন আফ্রিকা বাহিক্য কিরূপ পেল লেখো?



'আফ্রিকা' কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। 

এই কবিতায় কবি বলতে চেয়েছেন নিজের প্রতি ছিল অসন্তোষ। এবং আত্মসন্তোষ এর জন্য নতুন সৃষ্টিকে তিনি বারবার ভাঙাচ্ছিলেন। সে যেন এক অধৈর্য অবস্থান। প্রকৃতির লোকে চলেছে ভূমিকম্পনাদির তীব্র আলোড়ন। সমুদ্র প্রাচ্য ভূমিভাগ থেকে আফ্রিকাকে বিচ্ছিন্ন করেছিল। এবং অরণ্য ভেদ করে মাটিকে স্পর্শ করতে পারল কবি কবিতায়। অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ হয়ে গেল আফ্রিকা তারপর।




২২.বাধলে তোমাকে বনস্পতির নিবিড় পাহারায় — বক্তব্যটির পরিস্ফুট করো?

'আফ্রিকা' কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। 

এই কবিতায় বিশাল দ্বীপে পরিণত হল সমুদ্র বিচ্ছন্ন আফ্রিকা। অন্য পৃথিবীর সঙ্গে তার সম্পর্ক রইল না । সেই অখন্ড অবকাশে ভূমিভাগে গড়ে উঠতে লাগলো গভীরতা অরণ্য রাজ্য। সূর্যালোকেও মাটিতে পৌঁছাতে পারল না। এই ও অগম্য দ্বারা পরিবর্তিত আফ্রিকাকে কবি বলেছেন যে বিরাটকায় বনস্পতি অর্থাৎ বৃক্ষরাজিত প্রবেশাধিকার বর্জিত নিবিড় বাহারায় বেঁধে ফেলল আফ্রিকাকে। তাই এই কবিতায় এমন মন্তব্য করা হয়েছে ।








দশম শ্রেণির বাংলা অন্যান্য লেখা














পিডিএফ লিঙ্ক নিচে






আমাদের টেলিগ্রাম ও ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হোন















-------------------------------------------------------------
File Name : আফ্রিকা [রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর] কবিতার ব্যাখ্যাধর্মী 20+ প্রশ্ন

File Format : পিডিএফ

File Language : বাংলা

File Location : গুগল ড্রাইভ

Download Link : আফ্রিকা [রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর] কবিতার ব্যাখ্যাধর্মী 20+ প্রশ্ন
-------------------------------------------------------------
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url